ঢাকা: দারিদ্র্য বিমোচনে সস্তা শ্রম থেকে বেরিয়ে আসতে বাংলাদেশকে পরামর্শ দিয়েছে জাতিসংঘ।
সোমবার (২৯ মে) রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই পরামর্শ দেন জাতিসংঘের চরম দারিদ্র্য ও মানবাধিকার বিষয়ক বিশেষ দূত অলিভার ডি শুটার।
তিনি ১২ মে থেকে বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চল পরিদর্শন শেষে দারিদ্র্য ও মানবাধিকার নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন। সফরকালে তিনি ঢাকা ও রংপুর বিভাগের কিছু স্থান এবং কক্সবাজার পরিদর্শন করেন।
তিনি এসব স্থানের স্থানীয় সরকারি কর্মকর্তা, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, দারিদ্র্যপীড়িত সম্প্রদায় ও মানুষের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
অলিভার ডি শুটার বলেন, মানুষকে দারিদ্র্যের মধ্যে রেখে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি কোনো ন্যায্যতা দিতে পারে না।
তিনি বলেন, স্বল্পোন্নত দেশের মর্যাদা থেকে উন্নয়নশীল দেশে যেতে হলে এবং অধিকারভিত্তিক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে হলে বাংলাদেশ সরকারকে সস্তা শ্রমের ওপর নির্ভরতা থেকে সরে আসতে হবে।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়ন মূলত রপ্তানি খাত দ্বারা চালিত হয়েছে যেখানে মজুরি কম রাখা হয়।
২০২৬ সালে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে বের হয়ে আসতে তৈরি পোশাক শিল্পের ওপর নির্ভরতা পুনর্বিবেচনা করতে সরকারের প্রতি ডি শুটারের আহ্বান জানিয়েছেন শুটার।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সংস্কারের কথা জানিয়ে এই বিশেষ দূত বলেন, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি না থাকলে স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা বা সামাজিক সুরক্ষা দেওয়া যাবে না।
শুটার তার ১২ দিনের সফরের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে বলেন, বাংলাদেশ সামগ্রিক আয়ের ওপর দারিদ্র্যের হার কমলেও বহুমাত্রিক দারিদ্র্য রয়ে গেছে এবং আয় বৈষম্য বেড়েছে, বিশেষ করে শহরাঞ্চলে।
শুটার ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী ও বিহারীদের করে কথা তুলে ধরে বলেন, সরকার যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ না করে পর্যাপ্ত আবাসন সুবিধা ও পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ ও পুনর্বাসনের ব্যবস্থা না করে উন্নয়নের আড়ালে অনানুষ্ঠানিক বসতি থেকে উচ্ছেদ চালিয়েছে।
২০২৪ সালের জুনে চূড়ান্ত প্রতিবেদন জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিলে পেশ করবেন বলে জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ২০৪৩ ঘণ্টা, মে ২৯
এনবি/আরএইচ