ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৯ কার্তিক ১৪৩১, ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ১২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

নাটোরে হাসপাতাল থেকে নবজাতক চুরি!

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮১৪ ঘণ্টা, জুন ৯, ২০২৩
নাটোরে হাসপাতাল থেকে নবজাতক চুরি!

নাটোর: নাটোর আধুনিক সদর হাসপাতাল থেকে এক নবজাতক চুরির ঘটনা ঘটেছে।  

শুক্রবার (৯ জুন) দুপুরে হাসপাতালের প্রসূতি ওয়ার্ড থেকে সেবিকার পোশাক পরিহিত মধ্য বয়সী এক নারী নবজাতকটি চুরি করে নিয়ে যান।

 

তবে এখনো নবজাতকটি উদ্ধার ও অভিযুক্ত ওই নারীর সন্ধান করতে পারেনি পুলিশ।

চুরি যাওয়া নবজাতকটি জেলার নলডাঙ্গা উপজেলার খাজুরা ইউনিয়নের মহিষডাঙ্গা গ্রামের মাহফুজুর রহমান পলাশ ও হাসনা হেনা শিল্পী নামে এক দম্পতির প্রথম সন্তান।

পুলিশ ও হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, গৃহবধূ হাসনা হেনা শিল্পী গত বুধবার (৭ জুন) সন্তান প্রসবের জন্য নাটোর আধুনিক সদর হাসপাতালের প্রসূতি ওয়ার্ডে ভর্তি হন। বৃহস্পতিবার (৮ জুন) দুপুর ১২টার দিকে তিনি একটি কন্যা সন্তান প্রসব করেন। নবজাতকটি নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত থাকায় কিছু সময়ের মধ্যেই তাকে হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে নিয়ে ভর্তি করা হয়।

শিশু ওয়ার্ডে ভর্তি করা হলেও নবজাতকটি গাইনি ওয়ার্ডের ৯ নম্বর বেডে তার মায়ের সঙ্গেই ছিল। শুক্রবার (৯ জুন) সকালে হাসনা হেনা শিল্পীর সঙ্গে তার শাশুড়ি খায়রুন নাহারকে রেখে অন্যরা বাড়ি চলে যায়। এই সুযোগে দুপুর পৌনে ১২টার দিকে হাসপাতালের গাইনি ওয়ার্ডের ৯ নম্বর বেড থেকে সেবিকার পোশাক পরা মধ্য বয়সী এক নারী নবজাতকটি হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে নিয়ে নিউমোনিয়ার চিকিৎসা দেওয়ার কথা বলে দাদির কাছ থেকে নিয়ে যান।

সঙ্গে সঙ্গেই নবজাতকের দাদি খায়রুন নাহার শিশু ওয়ার্ডে ছুটে গিয়ে ওই নারী ও তার নাতনিকে আর খুঁজে পাননি। তার চিৎকারে হাসপাতালের লোকজন বিষয়টি পুলিশে জানায়। খবর পেয়ে পুলিশ কর্মকর্তারা তাৎক্ষণিক হাসপাতালে ছুটে আসেন।

তারা হাসপাতালের সিসিটিভির ফুটেজ পরীক্ষা করে দেখেন বেলা ১১টা ৩৬ মিনিটে সেবিকার পোশাক পরা মধ্য বয়সী ওই নারী নবজাতকটিকে কোলে নিয়ে সোজা হাসপাতালের মেইন গেট দিয়ে বের হয়ে একটি অটোরিকশা নিয়ে বাইরে চলে যান।  

এইকে নবজাতকটি চুরি হওয়ার পর থেকে শিশুটির দাদি ও নানির কান্না-চিৎকারে হাসপাতালের পরিবেশ ভারী হয়ে উঠেছে।

নাটোর আধুনিক সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) আবু সাঈদ সরকার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বাংলানিউজকে বলেন, বিষয়টি সঙ্গে সঙ্গেই তারা নাটোর থানা পুলিশকে জানিয়েছেন।

নাটোর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি, তদন্ত) আবুল কালাম আজাদ বাংলানিউজকে জানান, বিষয়টি শুনে তাৎক্ষণিক তারা সিসিটিভির ফুটেজ দেখে ওই নারীকে আটক এবং শিশুটিকে উদ্ধারে অভিযান শুরু করেছেন।

খুব তাড়াতাড়ি তারা শিশুটিকে উদ্ধার করে তার মায়ের কোলে ফিরিয়ে দিতে পারবেন বলে আশা প্রকাশ করেন।

এদিকে, হাসপাতালে উপস্থিত অন্য রোগীর লোকজন জানান, গাইনি ওয়ার্ডে নির্মাণ কাজ চলছে। ইট-বালি-সিমেন্ট-পানি দিয়ে খুব খারাপ পরিবেশের মধ্যে তাদের রোগীদের চিকিৎসা চলছে। রোগীর লোকজন ছাড়াও নির্মাণ কাজ চলার সুযোগে অনেক মানুষ ওয়ার্ডে অবাধে যাতায়াত করায় সহজেই এই নবজাতক চুরির ঘটনা ঘটেছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৮০১ ঘণ্টা, জুন ৯, ২০২৩
এনএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।