ঢাকা: হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের থার্ড টার্মিনালের নির্মাণ শ্রমিকরা তিনমাস ধরে বেতন পাচ্ছে না। টার্মিনাল নির্মাণ প্রকল্প বাস্তবায়নকারী প্রতিষ্ঠান স্যামসাং গ্রুপের কনস্ট্রাকশন ইউনিট স্যামসাং কনস্ট্রাকশন অ্যান্ড ট্রেডিং (সিঅ্যান্ডটি) করপোরেশন কর্মীদের বেতন-ভাতা পরিশোধ করছে না বলে উঠেছে অভিযোগ।
সরেজমিনে গিয়ে নির্মাণ শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য পেয়েছে বাংলানিউজ। শ্রমিকরা জানান, দফায়-দফায় সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা আশ্বাস দিলেও তাদের বেতন-ভাতা দিচ্ছে না স্যামসাং কনস্ট্রাকশন অ্যান্ড ট্রেডিং করপোরেশন।
শ্রমিকরা অভিযোগ করেন, বেতন-ভাতা না পেয়ে প্রতিবাদ করায় কোম্পানি পরিচয়পত্র রেখে তাদের বের করে দিয়েছে। সোমবার দুপুর পর্যন্ত তাদের বেতন-ভাতা পরিশোধের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হলেও সিঅ্যান্ডটি কর্তৃপক্ষ তা রাখেননি। যে কারণে তারা প্রতিবাদ করছেন। এর ধারাবাহিকতায় বিমানবন্দরে জ্বালানি সরবরাহের রুট ও জ্বালানির পরিবহন আটকে দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ারভাইস মার্শাল এম মুফিদূর রহমানের মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
কথা বলতে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন কামরুল ইসলামের সঙ্গেও। তাকেও মুঠোফোনে পাওয়া যায়নি।
২০১৭ সালের ২৪ অক্টোবর শাহজালাল বিমানবন্দর সম্প্রসারণ প্রকল্পটির অনুমোদন দেয় একনেক। নির্মাণ কাজে অর্থায়ন করছে জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা)। থার্ড টার্মিনাল প্রকল্পটির ব্যয় প্রথমে ধরা হয়েছিল ১৩ হাজার ৬১০ কোটি টাকা। পরে অবশ্য প্রকল্প ব্যয় ৭ হাজার ৭৮৮ কোটি ৫৯ লাখ টাকা বাড়ানো হয়েছে।
২০১৯ সালের ৩০ ডিসেম্বর তৃতীয় টার্মিনালের নির্মাণকাজ উদ্বোধন হয়। জাপানের মিতসুবিশি ও ফুজিতা এবং কোরিয়ার স্যামসাংয়ের এভিয়েশন ঢাকা কনসোর্টিয়াম (এডিসি) এই টার্মিনালের নির্মাণকাজ করছে। এতে ব্যয় ধরা হয়েছিল ২১ হাজার ৩০০ কোটি টাকা। এর মধ্যে পাঁচ হাজার কোটি টাকা দেবে বাংলাদেশ সরকার। বাকিটা আসবে জাপানের আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থার (জাইকা) কাছ থেকে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩২ ঘণ্টা জুন ১২, ২০২৩
এমকে/এমজে