ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

কচুরমুখি-কাঁকরোলে স্বস্তি, বরবটি-চিচিঙ্গা-ধুন্দল-ঝিঙার দাম বাড়তি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৫৬ ঘণ্টা, জুন ১৬, ২০২৩
কচুরমুখি-কাঁকরোলে স্বস্তি, বরবটি-চিচিঙ্গা-ধুন্দল-ঝিঙার দাম বাড়তি

ঢাকা: কোরবানি ঈদের আগেই সবজির বাজারে দাম বাড়ার হিড়িক লেগেছে। গত সপ্তাহের তুলনায় এ সপ্তাহে বেশ কিছু সবজির দাম অস্বাভাবিক হারে বেড়েছে।

দেশি শসা, ধনেপাতা, বরবটি, চিচিঙ্গা, ধুন্দল ও ঝিঙার দাম বেড়েছে। কমেছে কচুরমুখি ও কাঁকরোলের দাম কমেছে। অন্যান্য সবজি বিক্রি হচ্ছে আগের দামেই।

শুক্রবার (১৬ জুন) সরেজমিনে রাজধানীর খিলগাঁও, সেগুনবাগিচা, মালিবাগ ও মেরাদিয়াসহ বেশ কয়েকটি বাজার ঘুরে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।

বাজার ঘুরে দেখা গেছে, লাউ-চালকুমড়া প্রতি পিস বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকায়। আলুর কেজি ৪০ টাকায়। গোল বেগুন প্রতি কেজি ৬০ টাকা। মূলা প্রতি কেজি ৫০ টাকা। লতি প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকায়।

করলা ও উস্তা প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়। পেঁপে প্রতি কেজি ৪০ থেকে ৫০ টাকায়। পটল প্রতি কেজি ৪০ টাকা। ঢেঁড়স প্রতি কেজি ৩০ থেকে ৪০ টাকায় মিলছে।

দেশী শসা গত সপ্তাহে ৫০ টাকা কেজি বিক্রি হয়েছে। এ সপ্তাহের ১০ টাকা বেড়ে এ শস্যের। চিচিঙ্গা গত সপ্তাহে ৪০ কেজি বিক্রি হলেও চলতি সপ্তাহে বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকায়।

গত সপ্তাহে ৪০ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া ধুন্দল ও ঝিঙা এ সপ্তাহে বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা কেজি প্রতি। বরবটি বিক্রি হচ্ছিল ৫০ টাকায়; এখন ৬০ টাকা কেজি। গত সপ্তাহে ১০০ টাকা কেজি বিক্রি হওয়ার ধনেপাতার দাম ৫০ টাকা বেড়ে এ সপ্তাহে বিক্রি হচ্ছে দেড়শ টাকায়।

দাম কমেছে কাঁকরোলের। গত সপ্তাহে এ সবজির দাম ছিল ৬০ টাকা। এ সপ্তাহে বিক্রি হচ্ছে কেজি প্রতি ৫০ টাকা। কচুরমুখি গত সপ্তাহে ১০০ টাকা কেজি বিক্রি হয়েছে। এখন বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকায়।

মেরাদিয়া হাটের সবজি বিক্রেতা মো. শিকদার মিয়া বাংলানিউজকে বলেন, এ সপ্তাহের বাজারে সবজির দাম কিছুটা বেশি। আগামী সপ্তাহ থেকে সবজির দাম কমতে পারে; কারণ সামনে কোরবানির ঈদ। এ সময় সাধারণত মানুষ সবজি কম কেনেন।

খিলগাঁও বাজারের সবজি বিক্রেতা ফজলে রাব্বি বাংলানিউজকে বলেন, পাইকারি বাজারে যখন কোনো সবজির দাম বাড়ে তখনই ব্যবসায়ীরা ওই সবজির সিন্ডিকেট করেন। যে কারণে খুচরা পর্যায়ে গ্রাহকদের বেশি দামে সবজি কিনতে হয়। কোনো সপ্তাহে দুয়েক পদের সবজির দাম কমে, কিন্তু অন্যান্যগুলোর বেড়ে যায়। এতে করে আমাদের বেচা-কেনার ওপরও প্রভাব পড়ে। আগে মানুষ যে পরিমাণ সবজি কিনতো, এখন সে পরিমাণ কেনে না। পরিমাণ কমে যাচ্ছে।

বিক্রেতারা যা-ই বলুক, সবজির দাম বাড়ায় ক্রেতারা খুশি নন। তারা সবজির পাইকারি ও খুচরা বিক্রেতাদের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। ক্রেতাদের দাবি, সব ধরনের সবজির দাম বেড়ে যাওয়াটা সম্পূর্ণ কারসাজি। বাজার এখন সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে। সবজিসহ সব ধরনের পণ্যের দাম যদি নিয়ন্ত্রণে না আনা হয়, মানুষের খাদ্যাভ্যাসে সমস্যা সৃষ্টি হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১১৫৫ ঘণ্টা, জুন ১৬, ২০২৩
ইএসএস/এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।