ঢাকা: রাজধানীর গ্রিন রোডের সেন্ট্রাল হাসপাতালের চিকিৎসকদের ভুল চিকিৎসা ও কর্তৃপক্ষের প্রতারণার শিকার হয়ে মৃত মাহবুবা রহমান আঁখি (২৫) ও সন্তানের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) মর্গে পাঠানো হয়েছে।
রোববার (১৮ জুন) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে ধানমন্ডি থানা পুলিশ মরদেহ দুটি মর্গে পাঠায়।
ধানমন্ডি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) অমৃতা চাকমা এ তথ্য জানান। তিনিই আঁখির সুরতহাল প্রতিবেদন করেন। এতে তিনি উল্লেখ করেন, সেন্ট্রাল হসপিটালের চিকিৎসার ত্রুটির কারণে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে আঁখির মৃত্যু হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। তবে ময়নাতদন্তের পর তার মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে।
এর আগে আঁখির ছেলের মরদেহের সুরতহাল করেন এসআই শাহিদী হাসান। এতে তিনি উল্লেখ করেন, সেন্ট্রাল হসপিটালের অব্যবস্থাপনার কারণে নবজাতকটি মারা গেছে।
এদিন স্ত্রী ও ছেলের মরদেহ মর্গে নিয়ে এসেছিলেন ইয়াকুব আলী সুমন। তিনি সেন্ট্রাল হসপিটালের বিরুদ্ধে আঁখিকে হত্যার অভিযোগ করেন। সুমন বলেন, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কঠোর শাস্তি চাই। এছাড়া হাসপাতালটির লাইসেন্স বাতিল করতে হবে। আর ডা. সংযুক্ত সাহাকে গ্রেপ্তার করে শাস্তির আওতায় আনতে হবে।
তিনি আরও বলেন, আমি চেয়েছিলাম যেভাবেই হোক আমার স্ত্রীকে ফিরে পেতে। ওকে পেলে আমি সবকিছু মেনে নিতে পারতাম।
আঁখির চাচা আহমেদ উল্লাহ মজুমদার কাজল বলেন, ওর ৯ মাস বয়সে আমার ভাই তেজগাঁও থানার এসআই মাহবুবুর রহমান মজুমদার সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যান। আজ মেয়েটাও মারা গেল। ভুল অস্ত্রোপচারের পর তাকে ৪০ ব্যাগ রক্ত দেওয়া হয়েছে। তবুও বাঁচানো যায়নি। আমরা মা ও সন্তানের হত্যার বিচার চাই।
এর আগে গত শুক্রবার (১৬ জুন) ডা. সংযুক্ত সাহার ফাঁসি চান বলে বাংলানিউজকে জানিয়েছিলেন।
আঁখির গ্রামের বাড়ি কুমিল্লার লাঙ্গলকোট উপজেলার কাশিপুরে। তার বাবার নাম মাহবুবুর রহমান মজুমদার (মৃত)। স্কুল শিক্ষক স্বামী ইয়াকুব আলীর সঙ্গে কুমিল্লাতেই থাকতেন আঁখি। তিনি ইডেন কলেজে গণিত বিভাগে মাস্টার্সের শিক্ষার্থী ছিলেন।
গত তিন বছর আগে আঁখি ও সুমনের বিয়ে হয়। প্রথমবার মা হয়েছিলেন আঁখি।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২৮ ঘণ্টা, জুন ১৮, ২০২৩
এজেডএস/এমজে