নীলফামারী: নীলফামারীর সব হাটবাজারে কোরবানির পশু আসতে শুরু করেছে। বড় বড় হাট-বাজারের পাশাপাশি সাপ্তাহিক বাজার বসে এরকম হাটেও কোরবানির গরু ও ছাগল উঠছে।
জেলার মীরগঞ্জ, বোড়াগাড়ি, ঢেলাপীর, টেঙ্গনমারী, শাঁখামাচা প্রভৃতি হাটে খামারি ও কৃষকরা কোরবানির পশু আনছেন। তবে, লালন-পালন করা খামারের গরুর চেয়ে কৃষকের পালন করা গরু কিনতে ক্রেতাদের আগ্রহ বেশি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এবছর নানা সমস্যার কারণে কোরবানিদাতারা একক নয়, ভাগে গরু কিনছেন। তারা জানান, ফসলের দাম নেই, আবাদে সব শেষ। তাই এককভাবে গরু দেওয়ার ক্ষমতাও নেই। তাই আমরা অনেকে ভাগে এ বছর গরু কিনছি।
কোরবানির হাট-বাজারে দালাল চক্রের তৎপরতা বেড়েছে। গরু হাটে আসার আগেই দালালরা দড়ি ধরে নিজেদের কাছে নিচ্ছেন। সাংকেতিক ভাষায় গরু বেচাকেনা করে দিয়ে ক্রেতা-বিক্রেতার কাছ থেকে লাভ আদায় করছেন। এককথায় বলা চলে দালাল ছাড়া কোরবানির গরু-ছাগল বিক্রি হচ্ছে না কোনো হাটে। অনেক হাটে ইজারাদাররা ইচ্ছেমতো হাসিল আদায় করারও অভিযোগ মিলেছে।
গরুর দাম চড়া থাকলেও খামারি ও বিক্রেতারা বলছেন, গোখাদ্যের দাম বাড়ায় গরু বিক্রি করে তেমন পোষাচ্ছে না। বড় গরুর চাহিদা খুবই কম।
তবে হাট ইজারাদার ও ব্যবসায়ীরা বলছেন, এবার বাইরের ক্রেতা ও ব্যবসায়ীরা উত্তরের হাটগুলোতে না আসায় বেচাকেনা এখনো তেমন জমে ওঠেনি। তাই পশুর দাম কিছুটা কম।
নীলফামারী সদরের মশিউর রহমান ডিগ্রি কলেজ মাঠে অনুমতি ছাড়াই অবৈধভাবে বসানো হয়েছে গরুর হাট। জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা হাফিজুর রহমান বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা থাকলে মাঠে গবাদি পশুর হাট বসানোর সুযোগ নেই। তবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলে জনস্বার্থে জেলা প্রশাসকের অনুমতি নিয়ে হাট বসাতে পারে।
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক পঙ্কজ ঘোষ বলেন, কলেজ মাঠে গরুর হাট বসানোর বিষয়ে আমি অবগত নই। আমি কোনো অনুমতি দিইনি।
জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মোনাক্কা আলী বলেন, গোটা নীলফামারীতে কোরবানির জন্য গরু প্রস্তুত রাখা হয়েছে। আসন্ন ঈদুল-আজহা ঘিরে জেলার জন্য এক লাখ ২২ হাজার ৭১৬টি পশু প্রস্তুত আছে। জেলার চাহিদা মিটিয়ে প্রায় ৭৮ হাজার ২৪২টি পশু বাইরের জেলায় যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। গরু লালন-পালন ও বিশেষ খামারের গরু তদারকিতে কাজ করছেন প্রাণিসম্পদ বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪২ ঘণ্টা, জুন ২০২৩
এমএমজেড