ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

জমতে শুরু করেছে গাবতলী পশুর হাট

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯২৭ ঘণ্টা, জুন ২৪, ২০২৩
জমতে শুরু করেছে গাবতলী পশুর হাট ছবি: জিএম মুজিবুর

ঢাকা: আর মাত্র চারদিন পর উদযাপিত হতে যাচ্ছে মুসলমানদের অন্যতম বড় ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল আজহা। কোরবানির ঈদকে ঘিরে এরই মধ্যে জমতে শুরু করেছে রাজধানীর সবচেয়ে বড় স্থায়ী পশুর হাট গাবতলী।

শনিবার (২৪ জুন) গাবতলী স্থায়ী গবাদি পশুর হাটে গিয়ে দেখা যায়, হাটের স্থায়ী ও অস্থায়ী দুই অংশই কোরবানির পশুতে ভরে গেছে। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ছোট বড় গবাদি পশু নিয়ে এসেছেন ব্যাপারীরা। এখনো ট্রাকে ট্রাকে ঢুকছে গরু-ছাগল। হাটে আসা ক্রেতার সংখ্যাও নেহাতই কম নয়। পশু বিক্রিও হচ্ছে টুকটাক।

তবে এখনো বেশিরভাগ ক্রেতা বাজার যাচাই করতে আসছেন বলে জানিয়েছেন বিক্রেতারা। ঈদের আগের দুইদিন হাট পুরোপুরি জমে উঠবে বলে আশা বিক্রেতা ও হাট কর্তৃপক্ষের।

গাবতলী স্থায়ী গবাদি পশুর হাটের ব্যবস্থাপক আবুল হাসেম বলেন, শুক্রবার (২৩ জুন) রাত থেকে হাট জমে উঠতে শুরু করেছে। বেচাকেনাও ধীরে ধীরে বাড়ছে। ঈদ যত এগিয়ে আসবে, বেচাকানাও তত বাড়বে। ঈদের আগের দুইদিন হাট পুরো জমে উঠবে।

তিনি আরও বলেন, এখন পর্যন্ত ৭ হাজার পশু এসেছে। আরও পশু আসছে। আশা করছি এবার ২০-২৫ হাজার পশু বিক্রি হবে।

প্রস্তুতির বিষয়ে তিনি বলেন, হাটের প্রস্তুতি পুরোপুরি সম্পন্ন হয়েছে। ১১টি হাসিল ঘর, র‌্যাব, পুলিশ ও সিটি এসবির জন্য বুথ, ব্যাংকের জন্য বুথ এবং তিনটি ওয়াচ টাওয়ার নির্মাণ করা হয়েছে। হাটে চারটি চেকপোস্ট রয়েছে। পাশাপাশি দুই শিফটে ১২০০ স্বেচ্ছাসেবক দায়িত্ব পালন করছে।

জাল টাকা শনাক্তের জন্য প্রতিটি হাসিল ঘরে পর্যাপ্ত মেশিন থাকবে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, হাসিল ঘরের পাশাপাশি ১০ থেকে ১২টি ব্যাংকের বুথ থাকবে। কারো সন্দেহ হলে সেসব বুথ বা হাসিল ঘরে গিয়ে টাকা পরীক্ষা করেতে পারবেন। এ ছাড়া পশুদের চিকিৎসায় প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়, সিটি করপোরেশন ও চিড়িয়াখানার চিকিৎসকসহ আলাদা আলাদা তিনটি টিম থাকবে।

বিক্রেতারা বলছেন, হাটে বেচাকেনা শুরু হলেও পুরোপুরি জমতে আরও দুই দিন সময় লাগবে। হাটে বড় এবং মাঝারি গরু বেশি এসেছে। সেগুলোই এখন বিক্রি হচ্ছে। ছোট গরু এখনো তেমন আসেনি। শেষের দিকে ছোট গরু এলে সেগুলোই বেশি বিক্রি হবে।

আমান উল্লাহ আমান নামের এক ব্যাপারী বলেন, কুষ্টিয়া থেকে ৩০টি গরু এনেছি। এর মধ্যে ১৫টি বিক্রি হয়ে গেছে। সবগুলোই বড় সাইজের। হাটে মানুষ অনেকে এলেও বেশিরভাগ দেখতে এসেছে। গরুর দাম শুনলেও নিজেরা বলছে না। যাদের রাখার জায়গা আছে তারাই এখন গরু কিনছে। যাদের জায়গা নেই তারা ঈদের এক-দুই দিন আগে কিনবে।

আক্তারুজ্জামান নামে আরেক বিক্রেতা বলেন, ১৭টি গরু আনছি গতকাল। আজকেই ৬টি বিক্রি হয়েছে। এবার গরুর দাম বেশি, তাই এখনো বেচাকেনা এখনো পুরোপুরি জমেনি। মানুষ ভাবছে শেষেরদিকে দাম কমবে। কিন্তু এবার শেষের দিকে গরুর সংকট হতে পারে। তখন দাম উল্টো আরও বাড়তে পারে।

মিরপুর ২ নম্বর থেকে কোরবানির পশু দেখতে গাবতলী হাটে এসেছেন ব্যবসায়ী শাকিল হাজারী। হাট মোটামুটি জমে উঠেছে। তাই আজকে চলে এলাম গরু কিনতে। পছন্দ হলে আজকেই কিনে নিয়ে যাবো। তবে এবার গরুর দাম বেশি।

ধানমন্ডি থেকে ৯ বন্ধু মিলে হাটে এসেছেন শিক্ষার্থী সাজিদুল ইসলাম। তিনি বলেন, আজকে বাজার পরিস্থিত দেখতে এসেছি। বাসায় রাখার সমস্যা তাই আজকে কিনবো না। ঈদের আগে কিনবো৷ এখন শুধু দেখে যাচ্ছি৷ এবার গরুর দাম বেশি। শেষের দিকে কমতে পারে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯২৭ ঘণ্টা, জুন ২৪, ২০২৩
এসসি/জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।