ঢাকা, শুক্রবার, ২০ বৈশাখ ১৪৩১, ০৩ মে ২০২৪, ২৩ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

অনলাইনে পশু বেচাকেনায় প্রতারণা করলে কঠোর ব্যবস্থা: র‌্যাব 

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৫৩ ঘণ্টা, জুন ২৬, ২০২৩
অনলাইনে পশু বেচাকেনায় প্রতারণা করলে কঠোর ব্যবস্থা: র‌্যাব  কমান্ডার খন্দকার আল মঈন

ঢাকা: র‌্যাব সদর দপ্তরের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইং পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেছেন, ঈদুল আজহা উপলক্ষে অনলাইনে পশু বেচাকেনায় প্রতারণা করলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।  

সোমবার (২৬ জুন) দুপুরে গাবতলী কুরবানির পশুর হাট ঘুরে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।

 

কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, অনলাইনে অনেকে পশু কেনা-বেচা করেন। এই অনলাইনে পশু কেনাবেচাকে কেন্দ্র করে কেউ যেন প্রতারণার শিকার না হোন সেজন্য র‌্যাবের সাইবার টিম কাজ করছে। বেশ কিছু অভিযোগ এসেছে। সেগুলো নিয়ে আমরা কাজ করছি। যারা অনলাইনে পশু বেচাকেনায় প্রতারণা করবেন তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এক প্রশ্নের জবাবে মঈন বলেন, আমরা বেশ কিছু অনলাইন পশু কেনাবেচার পেইজ শনাক্ত করেছি। যারা কুরবানির পশু বেচাকেনা করেও নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তা সরবরাহ করেনি। ঈদের এখনো দুই দিন বাকি আছে। আমরা মনিটরিং করছি।  

মঈন বলেন, পশুর হাটগুলোত হাসিল ঘর রয়েছে। অনেকের কাছ থেকে অতিরিক্ত হাসিল আদায়ের অভিযোগ এসেছে। আমাদের মোবাইল টিম রয়েছে সবগুলো হাটে, অতিরিক্ত হাসিল গ্রহণ করলে আমাদের জানান, দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।  

তিনি বলেন, হাটে প্রচুর কুরবানির পশু বেচাকেনা হয়, এই কোরবানির পশু বেচাকেনাকে কেন্দ্র করে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী কৃত্রিম উপায়ে রাসায়নিক দ্রব্য খাইয়ে গরু মোটাতাজাকরণ করে অথবা অস্বাস্থ্যকর গবাদি পশু বিক্রি করেন। এসবের বিরুদ্ধে প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায়, ভেটেনারি ডাক্তারের সমন্বয়ে র‌্যাব একটি টিম গঠন করে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করছে। বিভিন্ন হাটে এই টিম পর্যবেক্ষণে যাচ্ছে৷ সকাল থেকে গাবতলী হাটেও ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হচ্ছে। এখন পর্যন্ত আমরা ১৫ জন ব্যবসায়ীকে সতর্ক করেছি। হাট কেন্দ্রিক দালাল অজ্ঞান পার্টি মলম পার্টি প্রতারক চক্র ও জাল টাকা কারবারিদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালিত হচ্ছে। রোববার রাত থেকে অভিযানে প্রতারণা, ছিনতাইয়ে জড়িত ২০ জনকে গ্রেপ্তার করেছি করা হয়েছে।  

তিনি বলেন, হাটকেন্দ্রিক প্রচুর টাকার নগদ লেনদেন হয়। যেখানে এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী জাল টাকা নিয়ে হাটে আসেন, লেনদেনের চেষ্টা করেন। হাটে জাল টাকা শনাক্ত করার মেশিন রেখেছি। সাধারণ ক্রেতা বিক্রেতাদের উদ্দেশ্যে মঈন বলেন, আপনারা যারা পশু হাটে ক্রয়-বিক্রয় করবেন তারা নগদ লেনদেনের ক্ষেত্রে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সহযোগিতা নিন, প্রয়োজনে লেনদেনের টাকা জাল কি না নিশ্চিত হতে মেশিনে জাল টাকা শনাক্ত করুন। এতে করে আমরা জাল টাকা কারবারিদের আইনের আওতায় আনতে পারবো।

গত কয়েকদিনে ৫০ জনের বেশি জাল টাকার কারবারি আটক ও তাদের কাছ থেকে ৫০ লাখ টাকা (জাল) জব্দ করা হয়েছে বলেও জানান এই কর্মকর্তা।  

তিনি বলেন, নারী ক্রেতারা অনেক সময় ভোগান্তি-হয়রানির, ইভটিজিংয়ের শিকার হন। কেউ প্রতারিত বা ভোগান্তির শিকার হলে র‌্যাব কন্ট্রোল রুমে অভিযোগ করুন আমরা আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।  

মঈন বলেন, বিভিন্ন সময় পশুর চামড়ার সঠিক মূল্য পান না প্রান্তিক কৃষক ও ব্যবসায়ীরা। একটি অসাধু ব্যবসায়ী চক্র সিন্ডিকেট করে চামড়ার দাম নির্ধারণ করে। আমি তাদের হুঁশিয়ার করে দিতে চাই, আমাদের গোয়েন্দা শাখার একাধিক টিম কাজ করছে। আমরা বেশ কিছু তথ্য ইতোমধ্যে সংগ্রহ করেছি। চামড়া বেচাকেনা সিন্ডিকেট করলে আমরা আইনে ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।  

মহাখালী ও সাভারে গোয়েন্দা টিম অভিযান পরিচালনা করে দালালচক্রের বেশ কয়েকজন সদস্যকে আইনের আওতায় আনা হয়েছে বলেও জানান তিনি।  

এছাড়া গরু চুরি ঠেকাতেও কাজ করা হচ্ছে বলেও উল্লেখ করেন মঈন।  

বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৩ ঘণ্টা, জুন ২৬, ২০২৩
এমএমআই/এসআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।