ঢাকা, শুক্রবার, ১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

কোরবানি ঈদে জমজমাট খুঁটি ও খাইট্টা ব্যবসা 

মো. আমিরুজ্জামান, ডিষ্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৪৮ ঘণ্টা, জুন ২৭, ২০২৩
কোরবানি ঈদে জমজমাট খুঁটি ও খাইট্টা ব্যবসা 

নীলফামারী: কোরবানিকে সামনে রেখে বিশেষ করে কামারদের যেমন ব্যস্ততা বেড়েছে। গো-খাদ্য খর ও ঘাসের ব্যবসার সঙ্গে খুঁটি ও মাংস কাটার খাইট্টা বিক্রিতে ব্যস্ত মৌসুমী ব্যবসায়ীরা।

এ ব্যবসায় বেশি পুঁজি না লাগলেও লাভের পরিমাণ বেশি থাকে।  

নীলফামারীতে কয়েকটি বড় বড় কোরবানির হাট ঘুরে দেখা গেছে, আগে থেকে কোরবানির হাটে একশ্রেণির মানুষ ইজারাদারদের সহযোগিতায় খুঁটি পুতে রাখেন। এসব খুঁটিতে গরু বাঁধলে ৫০ বা ১০০ টাকা গুণতে হবে। আপনার গরু বিক্রি হোক বা না হোক এই খুঁটির টাকা দিতেই হবে। এসব নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে দলগতভাবে। ডাকের হাটে এসব খুঁটি ব্যবসা দেখা গেলেও গ্রামের ছোট হাটগুলোতে তা নজরে পড়ছে না।

নীলফামারী সদরের ঢেলাপীরে গরু বিক্রি করতে আসা আবু হোসেন বলেন, আমি দুটো ষাঁড় লালন-পালন করে বড় করেছি। বাইরে খুব একটা বের করেনি। প্রতিটির দাম লাখ টাকার ওপরে। হাটে এনে আটকানো মুশকিল হয়ে পড়ায় খুঁটিতে বেঁধে রেখেছি গরু দুটিকে। এজন্য আমাকে ২০০ টাকা দিতে হয়েছে। কয়েক ঘণ্টার জন্য এই টাকা আমার কাছে বেশিই মনে হয়েছে।

কোরবানির মাংস কাটার জন্য প্রয়োজনীয় জিনিস হচ্ছে খাইট্টা। এই খাইট্টার ব্যবসা জমে উঠেছে গোটা নীলফামারী জেলা জুড়ে। জেলার সৈয়দপুরে প্রতিটি খাইট্টা বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ১২০০ টাকায়। কাঠ হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে তেঁতুল গাছ। ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে সর্বত্রই কদর বেড়েছে তেঁতুল গাছের তৈরি খাইট্টার।

খাইট্টা ব্যবসায়ী আসমত আলী বলেন, অনেক দূরদূরান্ত থেকে তেঁতুল গাছ সংগ্রহ করে সাইজ করে সমিলে ফাঁড়াই করে বিক্রি করে থাকি। তেঁতুল গাছ ছাড়া অন্য গাছ দিয়ে খাইট্টা তৈরি করলে মাংসের সঙেগ গাছের গুড়ি ওঠে মাংসের মান নষ্ট হয়ে যায়। এবারে এই খাইট্টার চাহিদা একটু কম। কারণ হিসাবে তিনি বলেন, মানুষের অবস্থা ভালো নেই, তাই এবার একটু কম কোরবানি হচ্ছে।

আরেক খাইট্টা ব্যবসায়ী শহিদুল জানান, আগের মতো আর তেঁতুল গাছ পাওয়া যাচ্ছে না। তেঁতুল হচ্ছে জমাট বাঁধা কাঠ। ফলে মাংস কাটতে কোনো ঝামেলা হয়না। এ কারণে খাইট্টার চাহিদাও বেশি থাকে কোরবানি ঈদে।  

বাংলাদেশ সময়: ১১৪৭ ঘণ্টা, জুন ২৭, ২০২৩
এসএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।