জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি): সদরঘাট এলাকায় খেয়া পারাপার বন্ধ থাকায় ভোগান্তিতে পড়েছেন বুড়িগঙ্গার দুই পারের যাত্রীরা। বুধবার (১২ জুলাই) সকাল থেকে নৌকার পাশাপাশি ওয়াটার বাসও বন্ধ রয়েছে।
চরম ক্ষোভ নিয়ে অনেকেই বাধ্য হয়ে বাসায় ফিরে যাচ্ছেন। বিএনপির সমাবেশকে কেন্দ্র করেই নদী পারাপার বন্ধ করে রাখা হয়েছে বলে মাঝিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, ঘাটে কিছু নৌকা বাঁধা রয়েছে। তবে পারাপার বন্ধ। যাত্রীরা নদী পার হতে না পেরে ফিরে যাচ্ছেন। কেরানীগঞ্জ থেকেও এপাশে আসতে পারছেন না যাত্রীরা। খেয়া পারাপার বন্ধ থাকায় আধা কিলোমিটার দূরে বাবুবাজার ব্রিজ ব্যবহার করে নদী পার হতে হচ্ছে তাদের।
নদী পার হতে আসা আল আমিন নামে এক যাত্রী বলেন, আমি একটি প্রাইভেট প্রতিষ্ঠানে চাকরি করি। প্রতিদিন এই ঘাট দিয়েই যাতায়াত করি। ঘাটে এসে শুনছি আজ খেয়া পারাপার বন্ধ। ঘাটের মাঝিদের অনেক অনুরোধ করার পরও নেতাদের ভয়ে তারা যেতে চাচ্ছে না। সময়মতো অফিসে যেতে না পারলে চাকরি নিয়ে ঝুঁকিতে পড়ে যাব।
মালামাল নিয়ে নদী পার হতে আসা ব্যবসায়ী রফিকুল ইসলাম বলেন, আমার দোকান কেরানীগঞ্জে। মালামাল নিতে এসেছিলাম ব্রিজ দিয়ে হেঁটে। এখন মালামাল নিয়ে তো আর সেভাবে যাওয়া যায়না। তাই ঘাটে এসে বসে আছি। অনেক রিকোয়েস্ট করে একটা নৌকা ঠিক করেছি। তাও যেতে চাচ্ছে না।
এ বিষয়ে ওয়াইজঘাটের মাঝি জাবেদ হোসেন জানান, নেতারা আজ নদীতে খেয়া পারাপার বন্ধ রাখতে নির্দেশ দিয়েছেন। সকাল থেকে ঘাটে বসে আছি। গতকাল রাতে পুলিশ ও আওয়ামী লীগের নেতারা এসে বলে গেছেন, খেয়া পারাপার বন্ধ রাখার জন্য। বিএনপির নাকি সমাবেশ আছে। বিকেল বা সন্ধ্যার দিকে খেয়া পারাপার শুরু হতে পারে। সেই আশায় বসে আছি।
তবে কোন নেতা নির্দেশ দিয়েছেন, জানতে চাইলে তিনি ভয়ে কোনো উত্তর দেননি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সদরঘাট নৌ-থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুর রহমান খান বলেন, পুলিশের পক্ষ থেকে খেয়া পারাপার বন্ধের বিষয়ে কোনো নির্দেশনা দেওয়া হয়নি। আমরা এ বিষয়ে কিছু জানিনা। মাঝিরা কেন পারাপার বন্ধ করেছে তাও জানি না। খেয়া চলাচল করবে কি না, সেটা মাঝিরা ভালো বলতে পারবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪২৩ ঘণ্টা, জুলাই ১২, ২০২৩
আরএইচ