সাভার (ঢাকা): ঢাকার সাভারে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে কিশোর গ্যাংয়ের হামলার ঘটনায় আহত আকাশ মাহমুদ (২২) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। এ ঘটনায় আহত আরেও তিনজন সাভারের এনাম মেডিকেলে ভর্তি রয়েছেন।
বুধবার (১২ জুলাই) মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন এনাম মেডিকেল কলেজের ডিউটি অফিসার ইউসুফ আলী।
এর আগে, বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে মারা যান আকাশ।
নিহত আকাশ মাহামুদ মানিকগঞ্জ জেলার শিবালয় থানার কল্যানপুর গ্রামের আবুল বাশার। সে সাভারের ব্যাংক কলোনি কাস্টমস রোডে ভাড়া থেকে একটি প্রতিষ্ঠানে বিক্রয় প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করতো।
এর আগে ৯ জুলাই আরিচা মহাসড়কের সাভারের রাজ্জাক প্লাজা ও সুপার ক্লিনিক সংলগ্ন একটি খাবার হোটেলের ভেতর পিনিক রাব্বি গ্রুপ ও হৃদয় গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।
আহতরা হলেন- ইয়াসিন (২২) , সোহাগ (২১)।
অভিযুক্তরা হলেন কিশোর গ্যাং লিডার হৃদয় (২২), আকাশ (২১), নুর উদ্দিন (২২) ও জনি (২১) সহ আরও আট থেকে ১০ জন সদস্য।
নিহেতর বাবা আবুল বাশার বলেন, আকাশ একটি কোম্পানিতে বিক্রয় প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করতো। সে অফিসের টাকা বুঝিয়ে দেওয়ার কথা বলে বাসা থেকে বের হয়। এরপর রাত ৮টায় জানতে পারি হৃদয় গ্রুপের লোকজন তাকে কুপিয়ে আহত করেছে। আজ সকালে আকাশ মারা যায়। আমি দোষীদের গ্রেপ্তার ও শাস্তি দাবি করছি।
এলাকাবাসী জানান, পিনিক রাব্বি ও হৃদয় সন্ত্রাসী কার্যক্রমের সঙ্গে সরাসরি জড়িত। দুই গ্রুপের সদস্যরাই চাঁদাবাজি, সন্ত্রাসীসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কাজ করে চলেছে। তাদের জন্য সর্বদা আতঙ্কে থাকতে হয়। নুরুদ্দিন নামে এক ব্যক্তি এলাকায় কিশোর গ্যাং পরিচালনা করেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সাভার মডেল থানার উপ-পরিদর্শক সুদীপ কুমার গোপ বলেন, ঘটনার পর দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। তদন্তের স্বার্থে পরিচিয় দেওয়া যাচ্ছে না। বাকিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত আছে।
প্রসঙ্গত, কিশোর গ্যাংয়ের প্রভাব বিস্তারকে কেন্দ্র করে পিনিক রাব্বি ও হৃদয় গ্রুপের মধ্যে গত ৯ জুলাই সংঘর্ষ হয়। এতে পিনিক রাব্বি গ্রুপের ৪ জন আহত হলে তাদের মধ্যে একজন মারা যায়।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০০ ঘণ্টা, জুলাই ১১, ২০২৩
এসএফ/জেএইচ