ঢাকা: ঢাকার কেরানীগঞ্জে বুড়িগঙ্গা নদীতে বালুবোঝাই বাল্কহেডের ধাক্কায় যাত্রীবাহী ওয়াটার বাস ডুবে যাওয়ার ঘটনায় নিখোঁজদের সন্ধান করছে ফায়ার সার্ভিস।
আটজন ডুবুরি এই সন্ধান কাজে অংশ নিয়েছেন।
তিনি জানান, এখনো ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরিরা নিখোঁজদের সন্ধানে কাজ করে যাচ্ছেন। তবে কতজন নিখোঁজ হয়েছেন, সঠিক তথ্য পাওয়া যাচ্ছে না। কারণ একেক সময় একেক সংখ্যা শোনা যাচ্ছে। তবে আমাদের কাজ চলছে। ঘটনার পর থেকে এই পর্যন্ত আমরা আটজনকে উদ্ধার করেছি। এদের মধ্যে পাঁচজন জীবিত, তিনজন মৃত।
নৌ পুলিশের সদরঘাট থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মেহেদী হাসান মারুফ ঘটনাস্থল থেকে জানান, এখন পর্যন্ত তিনজনের মরদেহ পাওয়া গেছে। তবে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরিদল উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রেখেছে।
তিনি জানান, মৃত তিনজনের মধ্যে দুজনের নাম জানা গেছে। এদের মধ্যে একজন দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের চুনকুঠিয়া এলাকার বাবু মিয়ার সন্তান আলিফ (১৪) এবং আরেকজন ঢাকা দোহার জয়পাড়া এলাকার সবুজ মিয়ার সন্তান ফাহিম (২০)। আরেকটি মরদেহের পরিচয় মেলেনি। এই ব্যক্তির বয়স হবে আনুমানিক ৫০ বছর। যতটুক জানা গেছে, আলিফের ভাইকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে।
নৌ পুলিশের হিসাব অনুযায়ী, ছয়জনকে জীবিত উদ্ধারের পাশাপাশি তিনজনকে মৃত অবস্থায় পাওয়া গেছে।
যাত্রীবোঝাই করে করে ৯ নম্বর ওয়াটার বাসটি শ্যামবাজার থেকে নদী পার হয়ে কেরানীগঞ্জের দিকে যাচ্ছিল। রাত আটটার পরে ফায়ার সার্ভিস দুর্ঘটনার খবর পায়।
ওয়াটার বাস ডুবির ঘটনায় উদ্ধার অভিযানে নৌ পুলিশ, ফায়ার সার্ভিসের পাশাপাশি কাজ করছে কোস্ট গার্ড।
বাংলাদেশ সময়: ০১৫৭ ঘণ্টা, জুলাই ১৭, ২০২৩
এজেডএস/আরএইচ