ঢাকা, শুক্রবার, ২৪ মাঘ ১৪৩১, ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৭ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

বাংলাদেশ-ভারত রেলওয়ে যোগাযোগের উন্নয়ন হচ্ছে: রেলমন্ত্রী

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৪৯ ঘণ্টা, জুলাই ২৩, ২০২৩
বাংলাদেশ-ভারত রেলওয়ে যোগাযোগের উন্নয়ন হচ্ছে: রেলমন্ত্রী

ঢাকা: ভারতের রেলওয়ে ব্যবস্থায় ইন্টারসেকশন পয়েন্ট যেগুলো ছিল তার পাঁচটি পুনঃ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। দেশটির সঙ্গে বাংলাদেশের রেল যোগাযোগ ব্যবস্থা ডাবল লাইনে রূপান্তর করা হয়েছে।

দুই দেশের যোগাযোগের উন্নয়ন ঘটানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন রেলপথ মন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন।

রোববার (২৩ জুলাই) রেলভবনের সভা কক্ষে এক চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে তিনি এ সব কথা বলেন। এ সময় বাংলাদেশ রেলওয়ে এবং কেইসি ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড, ভারতের মধ্যে ঢাকা-টঙ্গী সেকশনে তৃতীয় ও চতুর্থ ডুয়েলগেজ ট্র্যাক নির্মাণের জন্যে চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠিত হয়।

বাংলাদেশ রেলওয়ের পক্ষে নাজনীন আরা কেয়া, প্রকল্প পরিচালক এবং কেইসি ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড পক্ষে শুভ্রজিত জানা চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। অনুষ্ঠানে গেস্ট অব অনার হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা।

রেলপথ মন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতা যুদ্ধে ভারত যেভাবে আমাদের পাশে ছিল, বাংলাদেশ-ভারতের সে সম্পর্ক রক্তের বাধনে লেখা থাকবে। স্বাধীনতা যুদ্ধে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে রেল যোগাযোগ ব্যবস্থা। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ভারতের সহযোগিতায় হার্ডিঞ্জ ব্রিজ, তিস্তা ব্রিজ ও ভৈরব ব্রিজের মাধ্যমে রেল যোগাযোগ ব্যবস্থা চালু করেছিলেন।

এ চুক্তির মাধ্যমে ডব্লিউডি-২ ডিজাইন, সরবরাহ, ইনস্টলেশন এবং সাতটি স্টেশনে কম্পিউটারভিত্তিক ইন্টারলক সিগন্যালিং সিস্টেমের পরীক্ষা-কমিশন করা হবে। যার মধ্যে নির্বাচিত লেভেল ক্রসিংগুলির ইন্টারলকিং এবং অপটিক্যাল ফাইবারভিত্তিক টেলিকমিউনিক সিস্টেমের কাজ ও আন্তঃসংযোগভিত্তিক টেলিযোগাযোগ সিস্টেমের জন্য সিগন্যালিং সিস্টেম স্থাপন করা হবে।

ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম ডাবল লাইন করা হয়েছে। আখাউড়া থেকে আগরতলা, খুলনা থেকে মোংলা, ঢাকা থেকে পদ্মা ব্রিজ হয়ে ভাঙ্গা এবং ঢাকা থেকে কক্সবাজার রেল যোগাযোগ ব্যবস্থা প্রধানমন্ত্রী অচিরেই উদ্বোধন করবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন মন্ত্রী।

তিনি আরও বলেন, ১৯৭৫ সালের পরে স্বাধীনতা বিরোধীরা কোনো উন্নয়ন করেনি। এমনকি প্রতিবেশী দেশ হিসেবে ভারতের সাথে বৈরি সম্পর্ক ছিল। সম্পর্কের উন্নয়নের কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়নি। দীর্ঘ আন্দোলন সংগ্রামের পর শেখ হাসিনা সরকার গঠনের পর সম্পর্কের উন্নয়ন হয়েছে। ছিটমহল সমস্যা, গঙ্গা চুক্তি, পার্বত্য শান্তিচুক্তিসহ দ্বিপাক্ষিক সমস্যাগুলোর শান্তিপূর্ণ সমাধান হয়েছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৫০ ঘণ্টা, জুলাই ২৩, ২০২৩
এনবি/এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।