ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

মাছের গাড়ির জন্য ক্ষতিগ্রস্ত সৈয়দপুরের ব্যস্ত দুই সড়ক

মো. আমিরুজ্জামান, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৪৯ ঘণ্টা, আগস্ট ১, ২০২৩
মাছের গাড়ির জন্য ক্ষতিগ্রস্ত সৈয়দপুরের ব্যস্ত দুই সড়ক

নীলফামারী: মাছের গাড়ির জন্য ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে নীলফামারীর বাণিজ্যিক শহর সৈয়দপুরের শহীদ ডা. জিকরুল হক সড়ক। শহরের মাছহাটি সংলগ্ন প্রায় ১০০ মিটার রাস্তা মাছের আষ্টে পানিতে সয়লাব হয়ে আছে।

পানি জমে থাকায় সড়কটির কার্পেটিং উঠে গেছে। বর্তমানে শহরের শহীদ ডা. জিকরুল হক সড়কে মদিনা মোড় থেকে উত্তরদিকের দৃশ্য ভয়াবহ হয়ে উঠেছে।

সরজমিন গিয়ে দেখা গেছে, সেখানে সারি সারি মাছের গাড়ি দাঁড়িয়ে আছে। ছোট পিকআপভ্যান ও ট্রাকে করে বিভিন্ন নদীবন্দর ও আড়দ থেকে আমদানি করা হচ্ছে মাছ। যানবাহনগুলো এসে দাঁড়াচ্ছে মাছহাটি সংলগ্ন ওই রাস্তায়।

এসব ট্রাক ও পিকআপভ্যানে স্থাপন করা হয়েছে চৌবাচ্চা বা জলাধার। চৌবাচ্চার পানিতে ঢেউ তুলছে যান্ত্রিক মোটর। ঘর ঘর শব্দ করে ওই মোটরগুলো চলছে। মোটরের ঝাঁকুনিতে চৌবাচ্চার পানি উপচে পড়ছে রাস্তায়। সড়কের পাশে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হচ্ছে। জমে থাকা দুর্গন্ধময় পানি মাড়িয়ে চলাচল করছেন ওই এলাকার ব্যবসায়ী ও পথচারীরা। সেই সঙ্গে যানবাহন চলাচল করায় সৃষ্টি হচ্ছে খানা-খন্দকের।

কথা হয় মাছ ব্যবসায়ী নীরা রায়ের সঙ্গে। তিনি বলেন, কী করবো? রাস্তায় গাড়ি দাঁড় করানো ছাড়া অন্য কোনো ব্যবস্থা আমাদের হাতে নেই। অমদানি করা মাছ নিয়ে ট্রাকগুলো এসে দাঁড়ায় শহরের শহীদ ডা. জিকরুল হক সড়ক ও পাশের শহীদ ডা. সামসুল হক সড়কে। ওই রাস্তাগুলোতে পানি নিষ্কাশনের তেমন ব্যবস্থা নেই। তাই সড়কে পানি জমে থাকে। এদিকে পৌরসভার নজর দেওয়া উচিত।

মাছ ব্যবসায়ী বাদল রায় বলেন, এই মাছ হাটিটি হচ্ছে শহরের প্রধান মাছের বাজার। এখানে প্রচুর মাছ আমদানি হয়। মাছ বহনকারী ট্রাকের কারণে সড়কের ক্ষতি হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, পৌরসভা মাঝে মধ্যে সড়কটি সংস্কার করলে দুর্ভোগ কমে আসবে। সহজে রাস্তাও আর নষ্ট হবে না।

ওই পথ দিয়ে যাচ্ছিলেন পথচারী মাহতাব হোসেন। তিনি একজন ব্যবসায়ী। তিনি বলেন, রাস্তায় নোংরা পানি জমে থাকায় মুসল্লিরা চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। আমরা এই পথে মসজিদে যেতে পারি না। দ্রুত সড়ক সংস্কারের দাবি আমাদের সবার।

সৈয়দপুর বণিক সমিতির সভাপতি ইদ্রিস আলী বলেন, খানা-খন্দতে পরিণত হওয়া সড়কটি দীর্ঘদিন সংস্কার হয়নি। সর্বশেষ ২০১৮ সালে তৎকালীন প্রয়াত মেয়র আমজাদ হোসেন সরকার এখানে ট্রাক দাঁড়ানোর জন্য ৫০ গজ রাস্তা কংক্রিট (বালু, সিমেন্ট ও পাথর) ঢালাই করেন। তা না হলে সড়কটি আরও ভয়াবহ হয়ে উঠতো।

তিনি আরও বলেন, এ নিয়ে আমি বর্তমান মেয়রের সঙ্গে কথা বলেছি। মাছহাটি এলাকার সড়কের ১০০ ফুট কংক্রিট ঢালাই ও পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করতে অনুরোধ করেছি তাকে।

এ নিয়ে সৈয়দপুর পৌরসভার মেয়র রাফিকা আকতার জাহানের সঙ্গে কথা হয়। তিনি ঘটনার বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, মাছের গাড়ির কারণে দুইটি সড়কের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। সেগুলো দ্রুত সংস্কারের ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৭ ঘণ্টা, আগস্ট ০১, ২০২৩
এফআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।