ঢাকা, শনিবার, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১১ মে ২০২৪, ০২ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

খতনার সময় বিশেষ অঙ্গ পুড়ে ছাই, চিকিৎসকসহ ৪ জনের নামে মামলা

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮১৫ ঘণ্টা, আগস্ট ১, ২০২৩
খতনার সময় বিশেষ অঙ্গ পুড়ে ছাই, চিকিৎসকসহ ৪ জনের নামে মামলা

লক্ষ্মীপুর: লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে মাহাদি (৩) নামে এক শিশুকে সুন্নতে খতনা করাতে গিয়ে বিশেষ অঙ্গ (পুরুষাঙ্গ) পুড়িয়ে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় চিকিৎসকসহ চার জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

সোমবার (১ আগস্ট) দুপুরে মামলার বিষয়টি বাংলানিউজকে নিশ্চিত করেছেন বাদির আইনজীবী মো. জাকির হোসেন।  

তিনি বলেন, রোববার (৩১ জুলাই) রামগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনে এজাহার দায়ের করা হয়েছে। আদালতের বিচারক তাহরিনা নুরিন অভিযোগটি আমলে নিয়ে রামগঞ্জ থানাকে নিয়মিত মামলা রুজু করার নির্দেশ দিয়েছেন।  

মামলার বাদি শিশুটির নানা আনোয়ার হোসেন। তিনি উপজেলার ভোলাকোট ইউনিয়নের শাকতলা পাটোয়ারী বাড়ির বাসিন্দা।  

মামলার আসামিরা হলেন, রামগঞ্জ ইসলামীয়া হাসপাতাল (প্রা.) এর ডিএমএফ চিকিৎসক মো. সরোয়ার হোসেন, হাসপাতালের পরিচালক সাইফুল্লাহ মানিক, রবিউল আলম রিয়াজ ও চিকিৎসকের সহযোগী আবদুল্যাহ আল মাহমুদ।

ভুক্তভোগী শিশুর নানা জানান, নাতি মাহাদিরকে সুন্নতে খতনা করানোর জন্য গত ৩১ মে দুপুরে রামগঞ্জ শিশু পার্ক সংলগ্ন ইসলামীয়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে ডিএমএফ চিকিৎসক মো. সরোয়ার হোসেন ও তার সহযোগীরা লেজার মেশিনের মাধ্যমে মাহাদির খৎনার জন্য অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যায়। কিছুক্ষণ পর নাতির আত্মচিৎকার শোনা যায়। এতে আমরা বিচলিত হয়ে পড়ি।  

তিনি আরও বলেন, আমরা দ্রুত বিষয়টি জানার জন্য অপারেশন থিয়েটারে গিয়ে দেখি আমার নাতির পুরুষাঙ্গ পুড়ে কয়লা হয়ে গেছে। এদিনই নাতিকে নিয়ে নোয়াখালীর ট্রাস্ট ওয়ান হসিপটালে নিয়ে গেলে সেখান থেকে তিনদিন চিকিৎসার পর ঢাকার স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হসপিটালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে এখনো তার চিকিৎসা চলছে। এ ঘটনার বিচার চেয়ে আমরা আদালতের শরণাপন্ন হয়েছি।

শিশুটির নানা আনোয়ার হোসেন বলেন, স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হসপিটালের কর্তব্যরত চিকিৎসক বলেছে ইলেকট্রিক মেশিনের অতিরিক্ত তাপের কারণে মাহাদির পুরুষাঙ্গ সম্পূর্ণ পুড়ে কয়লা হয়ে গেছে। এতে মাহাদী আজীবনের জন্য পুরুষত্ব হারিয়ে ফেলেছে।  

এদিকে, মামলার পর গা-ঢাকা দিয়েছে অভিযুক্তরা। তবে হাসপাতালের একজন কর্মচারী জানান, মামলার হওয়ার পর থেকে হসপিটালে মালিক পক্ষের লোকজন হাসপাতালে আসেন না।  

লক্ষ্মীপুর জেলা সিভিল সার্জন আহম্মেদ কবীর বলেন, আমি মামলার বিষয়টি জানি না। মামলার কপি হাতে পেলে অবশ্যই বিধিমতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আর ডিএমএফ চিকিৎসক এ ধরনের অপারেশন বা সুন্নতে খতনা করাতে পারেন না বলে জানান তিনি।  

রামগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. এমদাদুল হক বলেন, এ ঘটনায় মামলার কপি এখনো হাতে পাইনি। পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৮১৫ ঘণ্টা, আগস্ট ০১, ২০২৩
এসএম
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।