ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

বাগেরহাটে বাঁধ ভেঙে তিন শতাধিক পরিবার পানিবন্দি

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৪৬ ঘণ্টা, আগস্ট ৪, ২০২৩
বাগেরহাটে বাঁধ ভেঙে তিন শতাধিক পরিবার পানিবন্দি

বাগেরহাট: বাগেরহাট সদর উপজেলার ভৈরব নদীর তীরে থাকা গ্রাম রক্ষা বাঁধ ভেঙে তিনটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এতে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে তিন শতাধিক পরিবার।

 

শুক্রবার (০৪ আগস্ট) দুপুরের জোয়ারের পানির চাপে ভদ্রপাড়া থেকে গ্রাম রক্ষা বাঁধ ভেঙে যায়।  

মুহূর্তের মধ্যে ভৈরবের পানিতে প্লাবিত হয় ভদ্রপাড়া, বৈটপুর ও বেমরতা গ্রামের অধিকাংশ স্থান। অতিরিক্ত পানিতে ২০ থেকে ২৫টি ঘের ও বেশ কিছু পুকুর তলিয়ে মাছ ভেসে গেছে। তিন গ্রামে তিন শতাধিক পরিবার পানিবন্দি রয়েছে। অনেকের বাড়িঘর ও রান্না ঘরে পানি উঠে যাওয়ায় খাওয়া-দাওয়া বন্ধ রয়েছে। ভোগান্তিতে পড়েছেন ওই এলাকার বাসিন্দারা। দ্রুত সময়ের মধ্যে গ্রাম রক্ষা বাঁধ সংস্কার করার দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।

ভদ্রপাড়া এলাকার ক্ষতিগ্রস্ত চিংড়িঘের মালিক মশিউর রহমান বাদশা বলেন, দুপুরে জোয়ারের পানির চাপে গ্রামরক্ষা বাঁধ ভেঙে লোকালয়ে পানি ঢোকে। পানিতে তিনটি মাছের ঘের ডুবে আমার ১০ লাখ টাকার মাছ বের হয়ে গেছে।

আলমগীর হোসেন বলেন, জোয়ার ও বৃষ্টিতে বাড়ির আঙ্গিনায় হাঁটু পানি জমে রয়েছে। রান্না-বান্না বন্ধ রয়েছে। পানিতে পুকুর, বাথরুম, রান্নাঘর, উঠান, বাগান সব একাকার হয়ে গেছে।

একই এলাকার বৃদ্ধা হায়াতুন্নেছা বেগম বলেন, নদীর পানি ঠেকানোর জন্য কোনো বেড়িবাঁধ নেই। এলাকাবাসী মিলে ছোট বাঁধ দিয়ে কোনোমতে বসবাস করছি। জোয়ারের পানিতে ঘরের বাইরে বের হওয়া যাচ্ছে না। সব জায়গায় পানি, আমাদের দুর্ভোগ কোনোভাবে কমছে না। বাঁধ না থাকায় দীর্ঘদিন ধরে এরকম মানবেতর জীবনযাপন করে আসছি। দুর্ভোগ লাঘবের জন্য ভদ্রপাড়া এলাকায় একটি বেড়িবাঁধ দেওয়ার দাবি জানান তিনি।  

এদিকে ভদ্রপাড়া, বৈটপুর ও বেমরতা ছাড়াও সদরন উপজেলার হাড়িখালি, মাঝিডাঙ্গা, মোরেলগঞ্জ উপজেলার ঘষিয়াখালী, বহরবুনিয়া, সানকিভাঙ্গা, খাওলিয়া, গাবতলা, মোংলার জয়মনির ঘোলসহ বেশ কিছু এলাকা জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এসব এলাকায় কয়েক হাজার পরিবার পানিবন্দি রয়েছেন।

পানি উন্নয়ন বোর্ড, বাগেরহাটের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মাসুম বিল্লাহ বলেন, দড়াটানা ও ভৈরব নদীর পানি বিপৎসীমার ১২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়াও জেলার বিভিন্ন নদী ও খালের পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। যেসব এলাকায় বেড়িবাঁধ নেই, সেসব এলাকার নিম্নাঞ্চল জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হওয়ার খবর পেয়েছি। পানি কমে গেলে প্লাবিত হওয়া এলাকাগুলোতে জরুরি ভিত্তিতে রিং-বেড়িবাঁধ নির্মাণের আশ্বাস দেন এই কর্মকর্তা।  

বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৮ ঘণ্টা, আগস্ট ০৪, ২০২৩ 
এসআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।