ঢাকা, শনিবার, ১৩ পৌষ ১৪৩১, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

ন্যূনতম মজুরি ২৫ হাজার টাকা নির্ধারণের দাবিতে সমাবেশ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০১৩ ঘণ্টা, আগস্ট ১০, ২০২৩
ন্যূনতম মজুরি ২৫ হাজার টাকা নির্ধারণের দাবিতে সমাবেশ

ঢাকা: গার্মেন্টস শ্রমিকদের নিম্নতম মজুরি ২৫ হাজার টাকা নির্ধারণের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল করেছে রাষ্ট্র সংস্কার শ্রমিক আন্দোলন।

বৃহস্পতিবার (১০ আগস্ট) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সংগঠনটির নেতাকর্মীও গার্মেন্টস শ্রমিকরা এ বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল করেন।

এর আগে মজুরি বোর্ড ঘেরাও করে বিক্ষোভ করেন তারা।  

রাষ্ট্র সংস্কার শ্রমিক আন্দোলনের সমন্বয়ক শ্রমিক নেতা শাহ আলম হোসেনের সভাপতিত্বে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ুম, সাংগঠনিক সমন্বয়ক ইমরান ইমন, রাষ্ট্র সংস্থার শ্রমিক আন্দোলনের ঢাকা জেলার সমন্বয়ক শফিকুল ইসলাম ও বার্ডস গ্রুপের শ্রমিক রুবেল হোসেন।

সমাবেশে হাসনাত কাইয়ুম বলেন, সরকারের প্রত্যক্ষ পৃষ্ঠপোষকতাই দেশ থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ পাচার হচ্ছে। অর্থ পাচারের ফলে সামগ্রিকভাবে জিনিসপত্রের দাম, বাসা ভাড়া, সন্তানের শিক্ষার খরচসহ সব কিছু বেড়ে যাচ্ছে। কিন্তু শ্রমিকদের বেতন না বাড়িয়ে বিভিন্ন রকম অজুহাতে কারখানা বন্ধ করে শ্রমিকদের ভয়াবহ দুর্দশায় ফেলা হচ্ছে। শ্রমিকদের এ দুর্দশা থেকে বাঁচতে হলে পাচারের বিপক্ষে, শ্রমিকদের অধিকারের পক্ষে আইন বানানোর জন্য রাষ্ট্র সংস্কার করতে হবে।

শাহ আলম বলেন, মালিকরা বিভিন্ন অজুহাতে এক নোটিশে কারখানা বন্ধ করে দেয়, শ্রমিকদের বেতন-বোনাস সময়মতো দেয় না। এজন্য শ্রম আইন বদলাতে হবে। সরকারের পৃষ্টপোষকতায় গার্মেন্টস মালিকরা শ্রমিকদের বিভিন্ন নির্যাতন নিপীড়ন করে পার পেয়ে যায় এমন অবস্থা আর হতে দেওয়া হবে না। গার্মেন্টস শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি ২৫ হাজার টাকা আজকের মজুরি বোর্ডের সিদ্ধান্তে জানাতে হবে। একই সঙ্গে বেতনের ৭০ শতাংশ বেসিক নির্ধারণ করতে হবে। প্রতিবছর ১০ শতাংশ হারে ইনক্রিমেন্ট প্রদান করতে হবে। ৫ এর বেশি গ্রেড রাখা যাবে না।  শ্রমিকদের স্বাভাবিক বসবাস এবং সন্তানদের সুষ্ঠু পরিবেশে লেখাপড়ার অধিকার নিশ্চিত করার জন্য সব প্রকার ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। অন্যথায়, বৃহৎ শ্রমিকদের ঐক্যবদ্ধ করে আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।

ইমরান ইমন বলেন, দেশের সামগ্রিক পরিস্থিতিতে পরিবর্তন আনতে ভাত এবং ভোটের লড়াই সমান্তরালে লড়তে হবে। ভোটের অধিকার নিশ্চিত করতে না পারলে ভাতের অধিকারও অনিরাপদ হয়ে পড়বে। বর্তমান সরকার যেহেতু জনগণের ম্যান্ডেট ছাড়া ক্ষমতায় আছে তাই জনগণের সুবিধা-অসুবিধার তোয়াক্কা করছে না। উল্টো লুটেরাদের পক্ষে থেকে শ্রমিকদের অধিকার খর্ব করতে গুটিকয়েক লুটেরা মালিকপক্ষকে আশ্রয়-প্রশ্রয় দিচ্ছে।

শ্রমিক নেতা শফিকুল ইসলাম বলেন, শ্রমিকদের অধিকার আদায়ের জন্য রাষ্ট্র সংস্কার শ্রমিক আন্দোলন যেভাবে মাঠে লড়াই করছে সেই ধারাবাহিকতায় আগামীতে ন্যূনতম মজুরি ২৫ হাজার এবং ১৪ দফা দাবিতে আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।

বার্ড গার্মেন্টসের শ্রমিক রুবেল বলেন, এক নোটিশে কারখানা বন্ধ করে হাজার হাজার শ্রমিকের কর্মজীবন অনিশ্চয়তার মুখে ফেলে দেওয়া হয়েছে। দ্রুত সব বন্ধ কারখানা খুলে দিয়ে শ্রমিকদের কাজে যুক্ত হওয়ার সুযোগ করে দিতে হবে।

বাংলাদেশ সময়: ২০১৩ ঘণ্টা, আগস্ট ১০, ২০২৩
এসসি/জেএইচ
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।