ঢাকা, শনিবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

৩০ ঘণ্টা সাঁতরে আখাউড়া থেকে নরসিংদী পৌঁছালেন বকুল 

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০৪৮ ঘণ্টা, আগস্ট ১৩, ২০২৩
৩০ ঘণ্টা সাঁতরে আখাউড়া থেকে নরসিংদী পৌঁছালেন বকুল 

নরসিংদী: ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়ার জিরো পয়েন্ট এলাকা থেকে টানা ৩০ ঘণ্টা সাঁতার কেটে নরসিংদী জেলার রায়পুরা উপজেলার মনিপুরা বাজার ঘাটে পৌঁছেছেন বকুল সিদ্দিকী (৫০) নামে স্থানীয় এক পল্লি চিকিৎসক।

গতকাল শুক্রবার (১১ আগস্ট) সকাল ১১টায় সাঁতার শুরু করে শনিবার বিকেল ৪.৪৯টায় তিনি নরসিংদী পৌঁছান।

এ সময় তার পাহারায় ছিলেন নৌকা, স্বেচ্ছাসেবী ও তাকে সাহস দেওয়ার জন্য এলাকার কিছু যুবক।

ওই পল্লি চিকিৎসক বকুল সিদ্দিকী নরসিংদী সদর উপজেলার আলোকবালী ইউনিয়নের খোদাদিল্লা গ্রামের সিদ্দিকুর রহমানের ছেলে।

তার দাবি তিনি ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত ঘেঁষা এলাকা আখাউড়া জিরো পয়েন্ট ঘাট থেকে সাঁতার শুরু করে খড়মপুর, হাওর মেঘনা নদীতে শনিবার নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলা হাইরমারা ইউনিয়নের মনিপুরা বাজার ঘাট পর্যন্ত বেলা ৪.৪৯টায় বিরতিহীন প্রায় ৩০ ঘণ্টা সময় নেন।

সাঁতারকে কেন্দ্র করে মেঘনা নদীতে বিভিন্ন নৌকা ও স্পিডবোটে শত শত উৎসুক দর্শক উপস্থিত হন। রায়পুরা প্রান্তে পৌঁছালে সাঁতারু বকুল সিদ্দিকীকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান এবং তাদের পক্ষ থেকে এক লাখ টাকা পুরস্কার দেওয়া হয়।

আয়োজক কমিটির সদস্য বজলুর রহমান ফাহিম বলেন, আখাউড়া জিরো পয়েন্ট থেকে সাঁতার শুরু করে বিরতিহীন সাঁতার কেটে রেকর্ড করেন বকুল। সাঁতারের সময় সঙ্গে ভলান্টিয়ার স্পিটবোটে করে নদীপথে নিরাপত্তা নিশ্চিতে কাজ করেন। আমরা ধারণা করছি, সাঁতরে তিনি প্রায় ৩০০ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করেছেন।

বকুল সিদ্দিকী বলেন, ছোটকাল থেকে সাঁতার কেটে অভ্যস্ত আমি। নিয়মিত সাঁতারে ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগ ইত্যাদি দীর্ঘমেয়াদি অসংক্রামক ব্যাধির ঝুঁকি অনেক কম থাকে। সাঁতারের আছে নানা স্বাস্থ্য সুফল। পল্লি চিকিৎসক হিসেবে রোগীদের পরামর্শ দিয়ে যেতাম। তার উপলব্ধি থেকে প্রতিদিন সাঁতার কাটতাম। প্রবল ইচ্ছে শক্তি নিয়ে কাজটা বাড়িয়ে দেই। গিনেজ বুকে নাম লেখানোর ইচ্ছে পোষণ করেই আজকে আমার এ কার্যক্রম। পানিতে সাঁতার কাটাবস্থায় কিছু খাবার খেয়েছি এবং পানি ও জুস পান করেছি। ভবিষ্যতে সাঁতারে বিশ্বরেকর্ড করার ইচ্ছে রয়েছে আমার।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ১৯৯৬ সালে দালালের খপ্পরে পড়ে প্রবাসে পাড়ি দেন বকুল সিদ্দিকী। ওই সময় থাইল্যান্ড থেকে সাগরপথে ১৮ ঘণ্টা সাঁতার কেটে মালয়েশিয়ায় পৌঁছান তিনি। সেই থেকে সাঁতারে তার মনোবল আরও বেড়ে যায়। পরে দেশে ফিরলে এলাকাবাসীর উৎসাহে বকুল সাঁতার প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়।

সর্বপ্রথম ২০১৯ সালে বর্ষাকালে মেঘনা নদীতে ১৭ কিলোমিটার সাঁতরে এলাকায় সবার নজরে আসেন বকুল সিদ্দিকী। পরে পর্যায়ক্রমে ২০২০ সালের ২৫ আগস্ট ৫.১০ ঘণ্টা। ২০২১ সালের ৩ আগস্ট মেঘনা নদীতে টানা ৬ ঘণ্টায় ৪০ কিলোমিটার সাঁতার কেটেছেন তিনি।

বাংলাদেশ সময়: ১০৪৩ ঘণ্টা, আগস্ট ১৩, ২০২৩
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।