ঢাকা, বুধবার, ২৯ মাঘ ১৪৩১, ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১২ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

অপশক্তিকে কঠোর হাতে দমন করে যাবো: ডিএমপি কমিশনার

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০১৯ ঘণ্টা, আগস্ট ১৬, ২০২৩
অপশক্তিকে কঠোর হাতে দমন করে যাবো: ডিএমপি কমিশনার

ঢাকা: দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে সমুন্নত রাখতে অপশক্তিকে কঠোর হাতে দমন করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক।

বুধবার (১৬ আগস্ট) বিকেলে রাজধানীর রাজারবাগ পুলিশ লাইন্স অডিটোরিয়ামে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন।

ডিএমপি কমিশনার গোলাম ফারুক বলেন, আমরা বাংলাদেশ পুলিশ ৭১ এর চেতনায় উজ্জীবিত। একাত্তরে যারা জীবন দিয়েছিল আমরা তাদের চেতনায় উজ্জীবিত। আমরা পুলিশ একাত্তরে ষড়যন্ত্র রুখে দিয়েছি, পঁচাত্তরে আমাদের পুলিশ সদস্য সিদ্দিকুর রহমান তার বুকের রক্ত দিয়েছেন। আমরা ২০১২-২০১৩ সালে আমাদের রক্ত দিয়েছি। আমাদের পুড়িয়ে মেরেছে কিন্তু আমরা বাংলাদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বকে বিপন্ন হতে দেইনি।

তিনি বলেন, ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পেছনে একটি কারণ ছিল। আর সেটি হলো বাংলাদেশকে নেতৃত্ব শূন্য করা। সেটা করতে পারলে যারা পাকিস্তানের দোসর তারা আবার বাংলাদেশকে পাকিস্তান করতে পারতো। হত্যাকারীদের উদ্দেশ্য ছিল বাংলাদেশকে যদি নেতৃত্বশূন্য করা যায় তবে তাদের পেয়ারে পাকিস্তান প্রতিষ্ঠা করা যাবে।

জঙ্গিবাদ আমদানি করে পুলিশকে দমনের চেষ্টা করা হয়েছে জানিয়ে ডিএমপি কমিশনার গোলাম ফারুক বলেন, আবার সেই পরিস্থিতি তৈরির চেষ্টা করা হচ্ছে। আপনারা দেখেছেন গত পরশু একাত্তরের সেই পরাজিত শক্তি আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটানোর জন্য ঢাকা শহরে তাণ্ডব চালিয়েছে। আমরা কঠোর হাতে অতীতেও এসব দমন করেছি। বর্তমান ও ভবিষ্যতেও এ অপশক্তিকে কঠোর হাতে দমন করে যাবো। আমরা দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে সমন্বিত রাখার জন্য একাত্তরে সক্রিয় ছিলাম, সবসময় থাকবো।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে নিহত এসবি সদস্য সিদ্দিকুর রহমানের ছেলে মুস্তাফিজুর রহমান।

অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কুইজ ও রচনা এবং উপস্থিত বক্তব্যে অংশগ্রহণকারী বিজয়ীদের মধ্যে ক্রেস্ট ও সনদ তুলে দেন আইজিপি।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেন, বঙ্গবন্ধু ছিলেন জাতির স্বপ্নদ্রষ্টা এবং স্বাধীনতার রূপকার। বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ এক অভিন্ন সত্তা । বঙ্গবন্ধুই বাংলাদেশ। বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্ম মানেই হলো বাঙালির স্বাধিকার আন্দোলন ও স্বাধীনতা অর্জনের সোনালি ইতিহাস। বঙ্গবন্ধু তার ৫৫ বছরের জীবনকালের প্রায় ছয় ভাগের এক ভাগই কারাগারে কাটিয়েছেন। বঙ্গবন্ধু তার সারাটা জীবন বাঙালি ও এ জনপদের জন্য উৎসর্গ করে গেছেন। জীবনমৃত্যুর সন্ধিক্ষণেও এ জাতির জন্য তিনি ছিলেন দৃঢ়চেতা নেতা।

তিনি বলেন, আজ দেশে যে উন্নয়ন কার্যক্রম তার ভিত্তি বঙ্গবন্ধুর হাতেই হয়েছিল। বঙ্গবন্ধু তনয়া প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বিগত এক দশকের অধিক সময় ধরে দেশের প্রত্যেক সেক্টরে অভূতপূর্ব অগ্রগতি সাধিত হয়েছে। আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে বাংলাদেশ এখন বিশ্বে রোল মডেল। বাংলাদেশ আজ তথাকথিত বটমলেস বাস্কেট থেকে এশিয়ার 'ইমার্জিং টাইগারে' রূপান্তরিত হয়েছে।

শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে আইজিপি বলেন, প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত ‘রূপকল্প ২০৪১’ বাস্তবায়নে আধুনিক স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে আগামী প্রজন্মকে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে। উন্নত দেশের নাগরিক হওয়ার স্বপ্ন তোমাদের বাস্তবায়ন করতে হবে। তোমাদের হাত ধরেই গড়ে উঠবে স্মার্ট বাংলাদেশ ও বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা।

বাংলাদেশ সময়: ২০১৯ ঘণ্টা, আগস্ট ১৬, ২০২৩
পিএম/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।