ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

৪৮ বছর পরও বঙ্গবন্ধুর খুনিদের নামে স্লোগান দেওয়া বন্ধ হলো না: সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী 

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০২৫ ঘণ্টা, আগস্ট ১৯, ২০২৩
৪৮ বছর পরও বঙ্গবন্ধুর খুনিদের নামে স্লোগান দেওয়া বন্ধ হলো না: সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী  সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ

ঢাকা: সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেছেন, এটি জাতির জন্য অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক, কষ্টদায়ক ও আক্ষেপের বিষয় যে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের ৪৮ বছর পরও বঙ্গবন্ধুর খুনিদের নামে স্লোগান দেওয়া বন্ধ হলো না। এটি আজ প্রমাণিত সত্য যে জাতির পিতাকে সপরিবারে হত্যাকাণ্ডের মূল কুশীলব জিয়াউর রহমান।

তার স্ত্রী প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন, তার পুত্র লন্ডন থেকে রাষ্ট্র পরিচালনা করতে চায়। এ স্বপ্ন তো জাতির পিতা দেখেননি। তিনি ধাপে ধাপে বিভিন্ন আন্দোলন-সংগ্রামের মাধ্যমে আত্মত্যাগ, অবর্ণনীয় কষ্ট ও নির্যাতন সহ্য করে বাংলাদেশকে স্বাধীন করেছেন।

প্রতিমন্ত্রী শনিবার (১৯ আগস্ট) বিকেলে রাজধানীর বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদাতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস ২০২৩ উপলক্ষে জাদুঘর আয়োজিত ‘আগস্ট হত্যাকাণ্ড: বর্তমানের দায়’ শীর্ষক সেমিনার ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

প্রধান অতিথি বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধর সময় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী বঙ্গবন্ধুকে ধরে নিয়ে গিয়েও হত্যা করার সাহস পায়নি, কিন্তু কিছু কুলাঙ্গার বাঙালি ষড়যন্ত্র করে জাতির পিতাকে হত্যা করলো। বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর তৎকালীন জার্মান চ্যান্সেলর মন্তব্য করেছিলেন যে জাতি তাদের জাতির পিতাকে হত্যা করতে পারে, সে জাতিকে বিশ্বাস করা যায় না।

এ সময় অভিভাবকদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে কে এম খালিদ বলেন, তারা যেন তাদের সন্তানদের জাতির পিতার হত্যাকারীদের নামে স্লোগান দেওয়া থেকে নিবৃত্ত করেন। বঙ্গবন্ধুর খুনির নামে যেন আর রাজনীতি, হরতাল, অবরোধ করা না হয়। স্বাধীনতা বিরোধীরা যেন আর কোনদিন রাষ্ট্র ক্ষমতায় না আসতে পারে এ বিষয়ে তিনি উপস্থিত সবাইকে দীপ্ত শপথ নেওয়ার আহ্বান জানান।

বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর পর্ষদের সভাপতি বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব খলিল আহমদ।  
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিশিষ্ট সাংবাদিক মনজুরুল আহসান বুলবুল।  

আলোচনা করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা, গবেষক এবং রাজনৈতিক ও নিরাপত্তা বিশ্লেষক মেজর জেনারেল (অব.) মোহাম্মদ আলী সিকদার।  

স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের মহাপরিচালক মো. কামরুজ্জামান।  

অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের শিক্ষা অফিসার সাইদ সামসুল করিম।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সংস্কৃতি সচিব বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার রায়ের বাংলা ও ইংরেজি কপি বাংলা একাডেমির মাধ্যমে প্রকাশের উদ্যোগ নেওয়া হবে যাতে নতুন প্রজন্ম এ সম্পর্কে জানতে পারে। সাংবাদিক মনজুরুল আহসান বুলবুল রচিত ‘পনেরো আগস্ট: নেপথ্য কুশীলব’ বইটিও এ সংক্রান্ত প্রামাণ্য গ্রন্থ।

তিনি বলেন, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পৃষ্ঠপোষকতায় বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিবের ওপর নির্মিত স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘বঙ্গমাতা’র মাধ্যমে স্বাধীনতা যুদ্ধে বঙ্গমাতার অবদান সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যাবে। জেলা ও উপজেলা প্রশাসন এবং বাংলাদেশ মিশনগুলোর মাধ্যমে চলচ্চিত্রটিকে দেশে-বিদেশে ব্যাপক প্রচারের ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।  

পরে বিশিষ্ট সংগীতশিল্পী অনিমা রায়ের কণ্ঠে শোকের গান পরিবেশিত হয়।

বাংলাদেশ সময়: ২০২৫ ঘণ্টা, আগস্ট ১৯, ২০২৩ 
এইচএমএস/জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।