ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৯ কার্তিক ১৪৩১, ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

কিস্তিতে কেনা অটোরিকশা উধাও, আদালত প্রাঙ্গণে দম্পতির কান্না

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯১২ ঘণ্টা, আগস্ট ২০, ২০২৩
কিস্তিতে কেনা অটোরিকশা উধাও, আদালত প্রাঙ্গণে দম্পতির কান্না

আদালতে হাজিরা দিয়ে ফিরে দেখেন, অটোরিকশা নেই, থামছে না দম্পতির কান্না 

লক্ষ্মীপুর: লক্ষ্মীপুর আদালতে একটি মামলার হাজিরা দিতে আসেন মো. নূর আলম (৩৫) নামে এক ব্যক্তি। নিজের ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা (মিশুক) চালিয়ে স্ত্রী মুক্তা বেগমকে সঙ্গে নিয়ে আসেন তিনি।

 

অটোরিকশাটি আদালত প্রাঙ্গণে রেখে তাতে স্ত্রীকে বসিয়ে ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ভবনের অষ্টম তলায় হাজিরা দিতে যান নূর আলম। স্বামীর আসতে দেরি দেখে অটোরিকশা থেকে নেমে খোঁজ করতে যান স্ত্রী। পরে দুজন এসে দেখেন, তাদের অটোরিকশাটি নেই। এতে কান্নায় ভেঙে পড়েন দুজনই। কারণ কিস্তির মাধ্যমে কেনা হয়েছিল অটোরিকশাটি।  

রোববার (২০ আগস্ট) দুপুরে জেলা জজ আদালত প্রাঙ্গণে এমন ঘটনা ঘটে। জীবিকার একমাত্র সম্বল অটোরিকশাটি হারিয়ে চালক নূর আলম ও তার স্ত্রী মুক্তা বেগমকে আদালত পাড়ায় হাউমাউ করে কাঁদতে দেখা গেছে।

নূর আলম সদর উপজেলার বশিকপুর ইউনিয়নের রশিদপুর গ্রামের রাধা বাড়ির মৃত নূর নবীর ছেলে।

এদিকে খবর পেয়ে শহর পুলিশ ফাঁড়ির (ইনচার্জ) মো. জহিরুল আলম আদালত পাড়ায় এসে রিকশাচালক নূর আলমের সঙ্গে কথা বলেন এবং তাকে থানায় লিখিত অভিযোগ দেওয়ার পরামর্শ দেন।

ভুক্তভোগী নূর আলম জানান, রোববার সকালে একটি মাদক মামলায় আদালতে হাজিরা দিতে আসেন তিনি। স্ত্রী মুক্তা বেগমকে তার রিকশায় বসিয়ে আদালতের অষ্টম তলায় হাজিরা দিতে যান। দেরি হওয়ায় স্ত্রী মুক্তা বেগম তার খোঁজে ওই ভবনে ওঠেন। পরে হাজিরা শেষ করে নূর আলম ও তার স্ত্রী মুক্তা এসে দেখেন, গাড়িটি নেই।

নূর আলমের স্ত্রী মুক্তা বেগম জানান, ঋণ নিয়ে অটোরিকশাটি কেনা হয়েছিল। এখন আমরা কীভাবে চলব? কিস্তিই বা শোষ করব কীভাবে? 

লক্ষ্মীপুর শহর পুলিশ ফাঁড়ির (ইনচার্জ) জহিরুল আলম বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। ভুক্তভোগী চালককে লিখিত অভিযোগ দিতে বলেছি। এছাড়া আদালত প্রাঙ্গণের সিসি ক্যামেরাগুলোর ফুটেজ সংগ্রহ করে অটোরিকশা উদ্ধারে অভিযান চালানো হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৮২২ ঘণ্টা, আগস্ট ২০, ২০২৩
এসআই
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।