ঢাকা, বুধবার, ৬ ফাল্গুন ১৪৩১, ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৯ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

এমটিএফই প্রতারণা: তথ্য ও অভিযোগ চেয়েছে সিআইডি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৪৪ ঘণ্টা, আগস্ট ২৫, ২০২৩
এমটিএফই প্রতারণা: তথ্য ও অভিযোগ চেয়েছে সিআইডি

ঢাকা: মেটাভার্স ফরেন এক্সচেঞ্জ গ্রুপ ইনকর্পোরেটেড (এমটিএফই) অনলাইন বা ভার্চ্যুয়াল দুনিয়ায় ডলার, শেয়ার বা ক্রিপ্টোকারেন্সি কেনা-বেচার কানাডা ও দুবাইভিত্তিক প্রতিষ্ঠান। এ এমটিএফই’র মাধ্যমে সারাদেশে অন্তত পাঁচ লাখ গ্রাহক কয়েক হাজার কোটি টাকা খুইয়েছেন।

এ অবস্থায় প্রতারক চক্রের তথ্য ও অভিযোগ জানাতে ভুক্তভোগীদের পরামর্শ দিয়েছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।

সিআইডি জানায়, এমটিএফই অ্যাপসের মাধ্যমে গ্রাহকদের শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ করতে আহ্বান জানানো হয় এবং লেনদেন পরিচালনা করা হয়। নিজেদের ছায়া প্ল্যাটফর্মে ট্রেড করার সুযোগ দিয়ে এ অ্যাপ সম্প্রতি আফ্রিকা ও এশিয়ার বিভিন্ন দেশে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠে।  

বাংলাদেশে এর কোনো অফিস না থাকলেও চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে এর কার্যক্রম শুরু হয়। ঘরে বসে সহজে আয়ের পথ বলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক-ইউটিউবে ব্যাপক প্রচারণা চালায়।

বিভিন্ন ভিডিও ও বিজ্ঞাপন দেখে ভুক্তভোগীরা আগ্রহী হয়। সবচেয়ে বেশি আগ্রহী হয় একজন আরেকজনকে দেখে। এক্ষেত্রে রেফারেল বা মাল্টিলেভেল মার্কেটিং কাজ করে। এমটিএফইও এমএলএম পদ্ধতিতে কাজ করেছে।

বেশি লাভের আশায় লাখ লাখ মানুষ অ্যাপসটিতে বিনিয়োগ করেছে। কিছু মানুষ অবশ্য লাভের অংশ পেয়েছে। তবে চূড়ান্ত বিচারে বিনিয়োগের সব অর্থই খোয়াতে হয় গ্রাহকদের।

ঢাকাসহ বরিশাল, নওগাঁ, কুষ্টিয়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, রাজশাহী, কুমিল্লা ও সাতক্ষীরাতে প্রতারণা সবচেয়ে বেশি হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, সারাদেশে চার থেকে পাঁচ লাখ গ্রাহক এমটিএফই’র মাধ্যমে কয়েক হাজার কোটি টাকা খুইয়েছেন।

গুগল প্লে-স্টোর থেকে যে কেউ এমটিএফই অ্যাপসটি ডাউনলোড করে রেজিস্ট্রেশন করতে পারতেন। রেজিস্ট্রেশনের পর তাদের নিজস্ব ওয়ালেটে ট্রেড করার জন্য ডলার রাখতে হতো। ডলারের পরিমাণ অনুযায়ী তাদের প্রতিনিয়ত প্রলোভন দিয়ে লাভের কথা বলা হতো।

৫০০ ডলার বিনিয়োগ করলে দিন শেষে পাঁচ হাজার টাকা লাভ হবে- এমন কল্পিত মুনাফার কথাও বলা হতো। ভার্চ্যুয়ালি ক্রিপ্টোকারেন্সি ও ডলার কেনা-বেচা করা হলেও লভ্যাংশ দেওয়া হতো মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে।

সিআইডির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আজাদ রহমান জানান, শুধু এমটিএফই না, দেশে এখনও সক্রিয় আছে অনিবন্ধনকৃত মোবাইল অ্যাপ্লিকেশনভিত্তিক এ ধরনের প্রতারক চক্র। যেখানে বাংলাদেশের প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ী, এমএলএম ব্যবসা এবং ক্রিপ্টোকারেন্সিতে লেনদেন অবৈধ ও নিষিদ্ধ। অ্যাপস ও অনলাইনভিত্তিক যেকোনো ব্যবসায় বিনিয়োগকারীদের এ ব্যাপারে যথেষ্ট সচেতনতার দরকার।

সিআইডি সাইবার ইন্টেলিজেন্স টিম এ ব্যাপারে নজরদারি করছে। ভুক্তভোগী গ্রাহকরা প্রতারক চক্রের তথ্য ও অভিযোগ জানাতে সিআইডি সাইবার সাপোর্ট সেন্টারে যোগাযোগ করার পরামর্শ দেন তিনি।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৪১ ঘণ্টা, আগস্ট ২৫, ২০২৩
পিএম/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।