ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৮ কার্তিক ১৪৩১, ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ১২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

পাবিপ্রবিতে শ্রমিক নিহতের ঘটনায় পিডিসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩০৩ ঘণ্টা, আগস্ট ২৬, ২০২৩
পাবিপ্রবিতে শ্রমিক নিহতের ঘটনায় পিডিসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা

পাবনা: পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্মাণাধীন ভবন থেকে পড়ে দুই শ্রমিক নিহতের ঘটনায় প্রকল্প পরিচালকসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। ইতোমধ্যে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পাবনা সদর থানা পুলিশ।

শুক্রবার (২৫ আগস্ট) রাত ১১টার দিকে মামলা ও গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কৃপা সিন্ধু বালা।

আসামিরা হলেন- প্রকল্প সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার নাজিরুল হক, পরিচালক হারুনুর রশিদ, প্রকল্প পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) জিএম আজিজুর রহমান, আরেক ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার মিজানুর রহমান, সাইট ইঞ্জিনিয়ার সুজাদৌল্লাহ এবং সাইট ইঞ্জিনিয়ার মো. হোসাইন। এর মধ্যে মো. হোসাইনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

ওসি কৃপা সিন্ধু বালা বলেন, নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে তদারকি ও অবহেলাজনিত অভিযোগ দায়ের পর মামলা হিসেবে গ্রহণ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আমাদের অভিযান চলমান রয়েছে। বাকি আসামিদের দ্রুতই আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ জানায়, শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়টির নির্মাণাধীন ১২তলা শেখ রাসেল হল ভবন থেকে দড়ির রশি ছিঁড়ে পড়ে গিয়ে তিনজন গুরুত্ব আহত হোন। তাদের উদ্ধার করে পাবনার জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক একজনকে মৃত ঘোষণা করেন। বাকিদের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় রাজশাহী জেনারেল হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। রাজশাহীতে নেওয়ার পথে আরও একজনের মৃত্যু হয়। আহত অপরজনের অবস্থাও আশঙ্কাজনক।

নিহতরা হলেন- চাঁপাইনবাবগঞ্জের চর মসুদেবপুর বাগানপাড়া এলাকার আনিসুর রহমানের ছেলে তুহিন ও রমনার গ্রাম ঘান্টি গেতাগাড়ী এলাকার মৃত মজিবুর রহমানের ছেলে আসাদুল আলী।

ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের গাফিলতিতে বার বার পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে শ্রমিকের প্রাণ ঝরছে। সর্বশেষ দুইজনসহ এ নিয়ে নির্মাণের সময় অন্তত ১৫ জন শ্রমিকের প্রাণ গেল পাবিপ্রবিতে।

ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের গাফিলতিতে বার বার শ্রমিকদের মৃত্যুর কারণ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. কামাল হোসেন দায় চাপালেন ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের ওপর। তবে বিষয়টি নিয়ে প্রকল্প পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) জি এম আজিজুর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করেও কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।  

বাংলাদেশ সময়:১৩০৩ ঘণ্টা, আগস্ট ২৬, ২০২৩
এসএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।