ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

বসতঘরে ঝুলছিল গৃহবধূর মরদেহ, পরিবারের দাবি হত্যা

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৩২ ঘণ্টা, আগস্ট ৩০, ২০২৩
বসতঘরে ঝুলছিল গৃহবধূর মরদেহ, পরিবারের দাবি হত্যা

লক্ষ্মীপুর: লক্ষ্মীপুরের দত্তপাড়ায় শারমিন আক্তার নুপুর (১৯) নামে এক গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।  

বুধবার (৩০ আগস্ট ) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সদর উপজেলার দত্তপাড়া ইউনিয়নের করইতোলা গ্রামে স্বামীর বসতঘর থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।

 

নুপুর সদর উপজেলার দিঘলী ইউনিয়নের জামিরতলী গ্রামের ফখরুল ইসলামের পালক মেয়ে। এবং ওই এলাকার ওমান প্রবাসী মো. উল্যা লিটনের স্ত্রী। তাদের ঘরে ৮ মাস বয়সী বাবান নামে এক ছেলে সন্তান রয়েছে। ঘটনার পর স্বামী ও শ্বশুর-শাশুড়ি বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে গেছে।  

নুপুরের পরিবারের অভিযোগ, নির্যাতন করে নুপুরকে হত্যা করা হয়েছে। স্থানীয়রা জানিয়েছে, গৃহবধূ শারমিনের ওপর দীর্ঘদিন ধরে নির্যাতন করতেন স্বামীসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন। নির্যাতনে অতিষ্ঠ হয়ে সে আত্মহত্যা করে থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

নুপুরের ছোট ভাই রাকিব হোসেন বলেন, ২০২২ সালের দিকে দত্তপাড়া ইউনিয়নের করইতোলা গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে ওমান প্রবাসী লিটনের সঙ্গে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয় নুপুরের। আমার বোন নুপুর আমাদের পালক বোন, বিষয়টি জানতে পেরে নুপুরকে মানসিক এবং শারীরিকভাবে নির্যাতন করতো। বিভিন্ন সময়ে যৌতুকও দাবি করতো শ্বশুর বাড়ির লোকজন। ঘটনার দিন বুধবার সকাল ৭ টার দিকে নুপুর ফোন করে নির্যাতনের কথা জানায় আমাদের। পরে ৯টার দিকে তার মৃত্যুর সংবাদ পাই আমরা।  

নুপুরের বড় ভাই মো. রাজু বলেন, নুপুরকে হত্যা করে মরদেহ ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। এটা আত্মহত্যা নয়।  

নুপুরের মা মোফাস্বেরা বেগম বলেন, আমার মেয়েকে প্রতিনিয়ত নির্যাতন করতো। আমাদের বাড়িতে যেতে দিত না। পালক মেয়ে বলে সবসময় অপমান করতো। আমি আমার মেয়ের হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবি জানাচ্ছি।  

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান এটিএম কামাল উদ্দিন বলেন, বিভিন্ন সময়ে নুপুরকে তার স্বামী ও শ্বশুর পক্ষের লোকজন নির্যাতন করতেন বলে জানতে পেরেছি। যৌতুকও নাকি দাবি করেছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট ইউপি সদস্যকেও জানিয়েছে নুপুর। এতে নাকি নির্যাতনের মাত্রা বেড়ে যায়। তাই পরবর্তীতে নুপুর বিষয়টি আর আমাদের জানায়নি। আজ তার মৃত্যুর খবর পেয়েছি। মরদেহটি সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলানো ছিল। মৃত্যুর বিষয়টি তদন্ত করছে পুলিশ।  

দত্তপাড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের উপ-পরিদর্শক (এসআই) আনোয়ার হোসেন বলেন, মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ মর্গে পাঠানো হবে।  
বাংলাদেশ সময়: ১৩৩২ ঘণ্টা, আগস্ট ৩০, ২০২৩
এসএম/এসআরএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।