ঢাকা, বুধবার, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১, ০৮ মে ২০২৪, ২৮ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

টাঙ্গাইলে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০২৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৩, ২০২৩
টাঙ্গাইলে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ সংবাদ সম্মেলন

টাঙ্গাইল: টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলার মির্জাপুর হাতেম আলী বিএল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল জলিল তালুকদারের বিরুদ্ধে নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে।  

রোববার (৩ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১টায় মো. রিয়াজুল জান্নাত মিথুন নামে এক ব্যক্তি টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন।

এ বিষয়ে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ও ডিজির প্রতিনিধির কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন তিনি।

রিয়াজুল জান্নাত মিথুন গোপালপুর উপজেলার সুতী দিঘুলীপাড়া গ্রামের মো. মিনহাজ উদ্দিনের ছেলে।

সংবাদ সম্মেলনে রিয়াজুল জান্নাত মিথুন অভিযোগ করেন, ২০২২ সালের ২৫ মার্চ থেকে তিনি ওই বিদ্যালয়ের খণ্ডকালীন শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পান। চলতি বছরের ১৭ মার্চ ওই বিদ্যালয়ে চারটি পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। প্রধান শিক্ষকের আশ্বাসে মিথুন ল্যাব সহকারী পদে আবেদন করেন। পরবর্তীতে প্রধান শিক্ষক আব্দুল জলিল তালুকদার নিয়োগ নিশ্চিত করতে মিথুনের কাছে ছয় লাখ টাকা নেন। পরে বিভিন্ন কারণ দেখিয়ে আরও নয় লাখ টাকা হাতিয়ে নেন প্রধান শিক্ষক।

মিথুন আরও অভিযোগ করেন, গত ৩ জুন নিয়োগ পরীক্ষা থাকলেও প্রধান শিক্ষক আগের রাতে প্রশ্নপত্র তার পছন্দের প্রার্থীদের কাছে হস্তান্তর করেন। পরে বিষয়টি ডিজির প্রতিনিধিকে অবগত করলে পরীক্ষাটি ডিজির প্রতিনিধি স্থগিত করেন। প্রধান শিক্ষক চারটি ভিন্ন পদের জন্য ৮/৯ জনের কাছ থেকে প্রায় ৭০ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন।

মিথুন বলেন, আমার কাছ থেকে কয়েক দফায় ১৫ লাখ টাকা নেওয়া হলেও আমাকে চাকরি দেওয়া হয়নি। চাকরি না পাওয়ায় টাকা ফেরত চাইলে প্রধান শিক্ষক আব্দুল জলিল তালুকদার আমাকে ছয় লাখ টাকা ফেরত দেন। বাকি টাকা ফেরত চাইলে তিনি নানাভাবে হুমকি দেন। আমার নয় লাখ টাকা ফেরতসহ প্রধান শিক্ষক আব্দুল জলিলের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করি।

সংবাদ সম্মেলনে রিয়াজুল জান্নাত মিথুনের স্ত্রী তায়েবা ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।

নিয়োগ পরীক্ষার ডিজির প্রতিনিধি টাঙ্গাইল বিন্দুবাসিনী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা কানিজ সালমা বলেন, দুর্নীতির অভিযোগে নিয়োগ পরীক্ষাটি স্থগিত করা হয়েছে।

অভিযোগের বিষয়ে প্রধান শিক্ষক আব্দুল জলিল তালুকদারের সঙ্গে মোবাইল ফোনে বার বার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তার স্ত্রী ফোন রিসিভ করেন।

এ বিষয়ে গোপালপুর উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা নাজনিন সুলতানা বলেন, নিয়োগ হয়েছে আবার স্থগিত হয়েছে দুটোই আমি মৌখিকভাবে জানি। লিখিতভাবে কোনো কিছুই জানি না। তবে টাকা নেওয়ার বিষয়টি আমার জানা নেই।

বাংলাদেশ সময়: ২০২৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৩, ২০২৩
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।