ঢাকা, শনিবার, ০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ১৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

নরসিংদীতে ইজারার দ্বন্দ্বে কিশোরকে কুপিয়ে হত্যা

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৫৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৮, ২০২৩
নরসিংদীতে ইজারার দ্বন্দ্বে কিশোরকে কুপিয়ে হত্যা হত্যাকাণ্ডের পর পুলিশের তৎপরতা

নরসিংদী: নরসিংদীতে নদীর ঘাটের ইজারা ও নৌকার সিরিয়াল নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে প্রকাশ্য দিবালোকে প্রতিপক্ষরা গরু জবাইয়ের ছুরি ও রামদা দিয়ে কুপিয়ে সাজিন (১৬)  নামে এক কিশোরকে হত্যা করেছে। এ সময় প্রতিপক্ষের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে আরও ৫ জন গুরুতর আহত হয়েছে।

 

শুক্রবার (৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে শহরের কাউরিয়াপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় জড়িত থাকার সন্দেহে ১ নারীসহ ৩ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে পুলিশ।  হত্যাকাণ্ডের পর পর এলাকায় থমথমে পরিস্থতি বিরাজ করছে। সহিংসতা এড়াতে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

নিহত সাজিন কাউরিয়া পাড়া এলাকার আমির হোসেনের ছেলে। সে আলীজান জে এম একাডেমির অষ্টম শ্রেণির ছাত্র।

পুলিশ ও নিহতের স্বজনরা জানান, দীর্ঘদিন ধরে নরসিংদীর কাউরিয়া পাড়ায় নতুন লঞ্চ ঘাটের ইজারাদার ছিলেন মতিন মিয়া। গত জুন মাসে আলমাস কমিশনারসহ আরও কয়েকজন নতুনভাবে ইজারা নেয়। ইজারাদার পরিবর্তন হওয়ার পরও মতিন ও তার সমর্থকরা ঘাটের নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালাতো। এরই ফলে মতিন মিয়ার বোটগুলো বিনা সিরিয়ালে চালাতো। এতে ইজারাদারের লোকজন বাধা দিলে মতিন মিয়ার ছেলে রাব্বি নাজমুলসহ তার সমর্থকরা ইজারাদারদের সমর্থকদের মারপিট করতো। একইসঙ্গে ক্যাশবক্স থেকে টাকা লুট করে নিয়ে আসতো।  

শুক্রবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মতিন মিয়ার ছেলে রাব্বিসহ কয়েকজন লঞ্চ ঘাটে গিয়ে হট্টগোল করে। এতে বাধা দিলে বর্তমান ইজারাদার আলমাস কমিশনারের সমর্থকদের মারপিট করেন। পরে লঞ্চ ঘাট থেকে ইজারাদারে পক্ষের ৭ থেকে ৮ জন মতিনের বাড়িতে নালিশ জানাতে আসে। ওই সময় মতিন তার ছেলেসহ ২০ থেকে ২৫ জন সমর্থক গরু কাটার ছুরি, রামদাসহ ধারালো অস্ত্র নিয়ে তাদের ওপর হামলা চালায়। ওই সময় প্রতিপক্ষের ছুরির আঘাতে সাজিনসহ ৬ জন গুরুতর আহত হয়। পরে তাদের আত্মচিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে মতিন সমর্থকরা চলে যায়। পরে তাদের উদ্ধার করে নরসিংদী সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে সাজিনের অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঢাকায় নেওয়ার পথে সাজিনের মৃত্যু হয়। খবর পেয়ে পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমানসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার ঘটসাস্থল পরিদর্শন করেন।

নরসিংদী মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সাইয়াদুর বলেন, ঘাটের ইজারা ও বোটের সিরিয়াল নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে এ হত্যাহতের ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি। ঘটনার পর পরই পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শনসহ হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যের কারণ অনুসন্ধান ও অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারে মাঠে নেমেছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৮, ২০২৩
জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।