ঢাকা: বৈদেশিক কর্মসংস্থানের রিক্রুটিং প্রক্রিয়ায় মধ্যস্বত্বভোগীদের আইনি কাঠামোর আওতায় আনা হচ্ছে। এক্ষেত্রে তারা নিবন্ধনের মাধ্যমে স্বীকৃতি পাবেন।
রোববার প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী ইমরান আহমদ বিলটি সংসদে উত্থাপন করেন। পরে বিলটি পরীক্ষা করে রিপোর্ট দেওয়ার জন্য প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়।
এ সময় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন।
উত্থাপিত এ বিলের সংজ্ঞায় ‘সাব এজেন্ট বা প্রতিনিধি’ সংজ্ঞা নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, সাব এজেন্ট বা প্রতিনিধি অর্থ এই আইনের অধীনে নিবন্ধিত কোনো ব্যক্তি যিনি কোনো রিক্রুটিং এজেন্টের সাব এজেন্ট বা প্রতিনিধি হিসেবে বৈদেশিক কর্মসংস্থানের জন্য এই এজেন্টের চাহিদা অনুযায়ী অভিবাসী কর্মী সংগ্রহ করেন।
এছাড়া বিলটিতে অভিবাসী কর্মী ও তাদের পরিবারের সদস্যদের কল্যাণে ব্যাংক ঋণ, কর রেয়াত, সঞ্চয়, বিনিয়োগ, আর্থিক সহায়তা, বৃত্তি দেওয়া ইত্যাদি প্রবর্তন ও সহজ করার ব্যবস্থা করার বিধান রাখা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, বৈদেশিক কর্মস্থলে নারী অভিবাসী কর্মীদের সম্মান, মর্যাদা, অধিকার, নিরাপত্তা ও সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য বিশেষ আর্থিক ও অন্যান্য কল্যাণমূলক কর্মসূচি গ্রহণ করা যাবে।
বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ সম্বলিত বিবৃতিতে মন্ত্রী বলেন, বিলে রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোর জবাবদিহিতা বাড়াতে বিদ্যমান প্রশাসনিক ব্যবস্থার অতিরিক্ত হিসেবে অপরাধ সংঘটনের জন্য রিক্রুটিং এজেন্সিকে অন্যূন ৫০ হাজার টাকা এবং অনধিক ২ (দুই) লাখ টাকা জরিমানার বিধান করা হয়েছে। তদন্ত ও শুনানি ছাড়াই অভিযোগের গুরুত্ব বিবেচনায় রিক্রুটিং লাইসেন্সের কার্যক্রম স্থগিতকরণের বিধান করা হয়েছে। বৈদেশিক কর্মসংস্থানের রিক্রুট প্রক্রিয়ায় মধ্যস্বত্বভোগীদের আইনি কাঠামোর জবাবদিহিতার আওতায় আনতে সাব-এজেন্ট বা প্রতিনিধি নিয়োগ এবং সংশ্লিষ্টদের দায়-দায়িত্বের বিধান সংযোজন করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩২৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১১, ২০২৩
এসকে/এসআইএস