নীলফামারী: আশ্চর্যজনক হলেও সত্য। নীলফামারীর ডোমারের হরিণচড়া ইউনিয়নের কঞ্চনা বিলের মাটি যেন অলৌকিক হয়ে দেখা দিয়েছে।
সেখানের মাটিতে জ্বলছে আগুন। আবার সেটি পানিতে দিলেও ভাসছে। এমন দৃশ্য দেখে অনেকে সেটি মশা তাড়ানোর কাজসহ জমিতে সার হিসেবেও ব্যবহার করছেন। এমন ঘটনার প্রমাণ হয়ে থাকতে ওই এলাকাটিতে বিভিন্ন দূর-দূরান্ত থেকে লোকজন আসছেন।
স্থানীয়রা জানান, বৃষ্টি হলেই বিলের মাটি ভেসে ওপরে উঠে আসে। শুষ্ক মৌসুমে আবার তা নিচে দেবে যায়। আবার মাছ চাষের জায়গা বের করতে প্রতি বছর এলাকাবাসী এই মাটি সরিয়ে নেন।
মাটি কাটার সময় ২০১৯ সালের ১১ জানুয়ারি স্থানীয়রা পেয়েছিল কষ্টিপাথরের বুদ্ধমূর্তি ও বেশ কিছু মাটির হাঁড়ি। কষ্টিপাথরের মূর্তির মুণ্ডটি লম্বায় সাড়ে ৬ ইঞ্চি এবং প্রস্থ আড়াই ইঞ্চি ছিল। সেটির ওজন ছিল ৭৫০ গ্রাম। পরে সেখানে প্রাচীন আমলের কয়েকটি ইট পাওয়া যায়।
বিলের পাশের গ্রামের বাসিন্দা মাজেদা বেগম বলেন, চৈত্র মাসে বিলের মাটি বস্তায় করে বাড়ি এনে রাখি। সেগুলো দিয়ে চুলা জ্বালাই। এই মাটি দিয়ে চুলা ভালো জ্বলে। তাছাড়া মশা তাড়ানোর জন্য সেগুলো কাজে দেয়। এলাকার অনেকেই এভাবে মাটি ব্যবহার করেন বলেও জানান তিনি।
এ বিষয়ে নীলফামারীর জেলা প্রশাসক (ডিসি) পঙ্কজ ঘোষ বলেন, এটা অফিসিয়ালি একটা বিল। শুকনো মৌসুমে এর একটা অংশ চাষাবাদের কাজে ব্যবহার হয়। বিল হওয়ার কারণে এই মাটিটা অর্গানিক মিটারে খুব সমৃদ্ধ মনে হচ্ছে। এ বিষয়ে কোনো মৃত্তিকা বিশেষজ্ঞ ভালো বলতে পারবেন। প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে, সেখানের মাটি অত্যন্ত উর্বর। এটি ফসলের জন্য যথেষ্ট সহায়ক হতে পারে।
বাংলাদেশ সময়: ১০২৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১২, ২০২৩
এফআর