ঢাকা, বুধবার, ৩১ চৈত্র ১৪৩১, ১৫ মে ২০২৪, ০৬ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

বাবার চাকরি ফেরত চেয়ে প্ল্যাকার্ড ঝুলিয়ে প্রতিবন্ধী মেয়ের প্রতিবাদ  

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৫৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৭, ২০২৩
বাবার চাকরি ফেরত চেয়ে প্ল্যাকার্ড ঝুলিয়ে প্রতিবন্ধী মেয়ের প্রতিবাদ  

ময়মনসিংহ: মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলায় সাময়িক বরখাস্ত হয়েছেন ময়মনসিংহের তারাকান্দা শাখা সোনালী ব্যাংকের প্রিন্সিপাল অফিসার মো. মাইনুল হক। এতে হতাশা বিরাজ করছে ভুক্তভোগীর পরিবারে।

এ পরিস্থিতিতে বাবার চাকরি ফেরত চেয়ে গলায় প্ল্যাকার্ড ঝুলিয়ে প্রতিবাদে নেমেছেন প্রতিবন্ধী মেয়ে মোছা. শারমিন হক (১৫)।

রোববার (১৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ময়মনসিংহ প্রেসক্লাবের সামনে এ প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করেন মোছা. শারমিন হক।

এ ঘটনায় স্থানীয় বাসিন্দা ও পথচারীদের মধ্যে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

এসময় ‘বাবার চাকরি ফিরিয়ে দিন, ভয় আতঙ্ক আমাদের গ্রাস করছে’ -এমন শিরোনামে প্ল্যাকার্ড গলায় ঝুলিয়ে প্রতিবন্ধী শারমিন হক জানান, মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলায় আমার বাবাকে চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এ ঘটনায় গত এক বছর ধরে আমার বাবা মানসিক যন্ত্রণায় ভুগছেন। তা দেখে নিজেও মানসিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়ছি। এ অবস্থায় ঘটনাটির সুষ্ঠু তদন্তপূর্বক আমার বাবার চাকরি ফেরত দেওয়া হোক। আমি আমার বাবাকে সুখী দেখতে চাই।

শারমিন হকের মা মোছা. নাসরিন হক নূপুর জানান, আমার স্বামী মাইনুল হক তার পৈত্তিক সম্পত্তির মধ্যে ভাগ-বাটোয়ারার মাধ্যমে ছয়টি ফ্ল্যাটের মালিক হন। তবে ভবন নির্মাণকারী ডেভলপার কোম্পানি কানন প্রপার্টিজ ভবনের দশ তলার কাজ অসম্পন্ন রেখে গাঁ ঢাকা দেয়। এতে আমরা নিরুপায় হয়ে আমাদের ভাগের তিনটি ফ্ল্যাট অন্যত্র বিক্রি করে বাকি তিনটির ডেকোরেশনের কাজ শেষ করি। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে আমার স্বামীর ভগ্নিপতি আবু ছিদ্দিক খান একটি মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলা দায়ের করে আমার স্বামী মাইনুল হককে চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করিয়েছেন।

ভুক্তভোগী মাইনুল হক জানান, ২৪ বছর ধরে সততার সঙ্গে চাকরি করে আসছি। মামলায় উল্লিখিত ঘটনার দিনও আমি ব্যাংকে কর্মরত ছিলাম, ব্যাংকের সিসি ক্যামেরায় এর প্রমাণ রয়েছে। অথচ এই সাজানো মামলায় আমাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এখন আমি ভাড়া বাসায় থেকে অসহায় দিনযাপন করছি।

ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে মামলার বাদী আবু ছিদ্দিক খান বলেন, আমি আমার প্রাপ্য ফিরে পেতে মামলা করেছি। এতে হয়রানির কোনো কারণ নেই।

এ বিষয়ে মামলার বিবাদী পক্ষের আইনজীবী মো. নূরুল হক বলেন, যে কয়েকটি ধারায় মামলাটি করা হয়েছে, এর বেশির ভাগ হয়রানিমূলক। আশা করছি বিবাদী ন্যায় বিচার পাবেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৭, ২০২৩
এসএম/এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।