ঢাকা, শনিবার, ২৮ বৈশাখ ১৪৩১, ১১ মে ২০২৪, ০২ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

হাসপাতালের নার্সকে কুপিয়ে জখম, গ্রেপ্তার প্রধান আসামি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮০০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৭, ২০২৩
হাসপাতালের নার্সকে কুপিয়ে জখম, গ্রেপ্তার প্রধান আসামি

বরিশাল: ঝালকাঠি সদর হাসপাতালের নার্সকে শ্লীলতাহানী ও কুপিয়ে জখম করার ঘটনায় দায়ের করা মামলার প্রধান আসামি আরিফ সিকদারকে (২৭) গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব।

রোববার (১৭ সেপ্টেম্বর) বিকেলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র‌্যাব-৮ এর সদর দপ্তর।

গ্রেপ্তার আরিফ সিকদার ঝালকাঠি জেলা সদরের উত্তর কেস্তাকাটিয়া এলাকার মো. ইসরাফিল সিকদারের ছেলে।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ঝালকঠি সদর হাসপাতালে সিনিয়র স্টাফ নার্স সাজমিন জাহান ওরফে সাজিয়া (৩৮)। সে গত ২২ আগস্টে সকালে কোয়ার্টারের বাসা থেকে বের হয়ে ঝালকাঠি সদর হাসপাতালের সীমানার ভেতরে হাঁটতে ছিলেন, ওই সময় মুখ বাধা অবস্থায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি তার সঙ্গে খারাপ আচরণ করেন। এতে বাধা দিলে ধারালো অস্ত্র দেখিয়ে তাকে শ্লীলতাহানি করে।

আর এর প্রতিবাদ করলে অজ্ঞাতনামা ওই ব্যক্তি চাকু দিয়ে সিনিয়র স্টাফ নার্স সাজমিনকে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। পরে ভিকটিম সাজমিন ডাক চিৎকার দিলে ওই ব্যক্তি পালিয়ে যায় এবং ভিকটিম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

এ ঘটনার পর ভিকটিম ঝালকাঠি সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

তবে ঘটনার পরপরই হামলাকারী আত্মগোপনে চলে যায়। তবে আলোচিত ওই ঘটনার পর র‍্যাব-৮ বরিশাল ছায়া তদন্ত শুরু করে।

এদিকে মামলার তদন্তকারী অফিসার সিসিটিভি ক্যামেরা বিশ্লেষণ করে উক্ত আসামিকে শনাক্ত করে গ্রেপ্তারের জন্য র‌্যাব-৮, বরিশালে একটি পত্র প্রেরণ করেন।

পরে র‌্যাব-৮, সিপিএসসি, বরিশাল কর্তৃক ছায়াতদন্ত করে আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে আসামির অবস্থান শনাক্ত করে ঝালকাঠি জেলার নলছিটি পৌরসভাধীন বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।  

গ্রেপ্তার আসামিকে ঝালকাঠি সদর থানা পুলিশের নিকট হস্তান্তর করা হয় বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।

আরও পড়ুন: ঝালকাঠিতে কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় নার্সকে কুপিয়ে জখম

বাংলাদেশ সময়: ১৮০০ ঘণ্টা, ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৩
এমএস/এসএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।