সিলেট: সিলেটে চা দোকানি আবুল হোসেন লিচু মিয়াকে হত্যার পর তিন অভিযুক্ত পালিয়েছিল নোয়াখালি উপকূলের নিঝুম দ্বীপে।
তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সকালে নিঝুম দ্বীপে অভিযান চালিয়ে অভিযুক্তদের ৩ জনকে গ্রেপ্তার করে সিলেটের জকিগঞ্জ থানা পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টায় গ্রেপ্তারদের নিয়ে জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে অভিযানের বিষয়ে বিস্তারিত জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) শেখ মো. সেলিম।
গ্রেপ্তাররা হলেন- সিলেটের জকিগঞ্জ উপজেলার কাজলশার ইউনিয়নের মঙ্গলশার গ্রামের ছয়াব আলীর ছেলে জাকারিয়া আহমদ (২৫), একই গ্রামের মৃত ময়না মিয়ার ছেলে মামুন আহমদ (২২) ও জুবেল আহমদ (২৫)। এছাড়া ঘটনার পরপরই নিহতের চাচাতো বোন প্রধান অভিযুক্ত জাকারিয়ার মা চায়না বেগমকে গ্রেফতার করা হয়।
ব্রিফিংয়ে বলা হয়, নিহত আবুল হোসেন লিচু মিয়া জকিগঞ্জের কাজলসার ইউনিয়নের মঙ্গলশাহ গ্রামের মৃত সৈয়ব আলীর ছেলে। গত ২২ সেপ্টেম্বর তার চাচাতো বোনের ছেলে জাকারিয়াসহ কয়েকজনের পিটুনিতে তিনি নিহত হন। অভিযুক্তদের সঙ্গে লিচু মিয়ার জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছিল। ঘটনার দিন দুপুরে অভিযুক্ত জাকারিয়া বাড়িতে এসে লিচু মিয়াকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয় এবং তার ছোট ছেলেকে ধরে মেরে ফেলবে বলে জানায়। ছেলেকে উদ্ধার করতে গেলে লিচু মিয়াকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় বেশ কিছু আলামত উদ্ধার করা হয়।
এদিকে, হত্যাকাণ্ডের ঘটনার পর নিহতের স্ত্রী সারমিন আক্তার সুমি (২৬)বাদী হয়ে জকিগঞ্জ থানায় নারী-পুরুষসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। এরই মধ্যে মামলার প্রধান আসামি জাকারিয়া তার মা চায়না বেগমসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন মঙ্গলশাহ গ্রামের হাবিব আলীর মেয়ে মনি বেগম (৩০), মৃত রজব আলীর স্ত্রী পিয়ারা বেগম (৫০), ময়না মিয়ার ছেলে হেলাল আহমদ আহমদ (২৬), মৃত রজব আলীর ছেলে নজমুল ইসলাম (৩০), আব্দুল জলিলের ছেলে হারুন মিয়া (৫০), দরগা বাহারপুর গ্রামের মৃত হুতু মিয়ার ছেলে আফতাব উদ্দিন (৫০) ও জামুরাইল গ্রামের মৃত মছদ্দর আলীর স্ত্রী মনোয়ারা বেগম (৫০)।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৮, ২০২৩
এনইউ/জেএইচ
Md. Juglul Haider