ঢাকা, মঙ্গলবার, ৯ পৌষ ১৪৩১, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

বগুড়ায় সাগর হত্যার লোমহর্ষক বর্ণনা দিলেন খুনি মুছা

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২১৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৩০, ২০২৩
বগুড়ায় সাগর হত্যার লোমহর্ষক বর্ণনা দিলেন খুনি মুছা

বগুড়া: বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলায় নিখোঁজের ১৩ দিন পর জমির ধারের ডোবাতে পুঁতে রাখা সাগর ইসলাম (২৩) নামে এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। এ ঘটনায় জড়িত তিনজন গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার আসামিরা সাগর হত্যার লোমহর্ষক বর্ণনা দিয়েছেন।  অপহরণ করে টাকা আদায় করার জন্য সাগরকে হত্যা করা হয় বলে জানিয়েছেন এ হত্যাকাণ্ডের অন্যতম আসামি মুসা।

শুক্রবার (২৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে উপজেলার খাদাস পশ্চিমপাড়া এলাকা থেকে সাগরের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহত সাগর ইসলাম ওই এলাকার মৃত রফিকুল ইসলামের ছেলে।

এ হত্যাকাণ্ডে গ্রেপ্তার আসামিরা হলেন- বগুড়া শাহজাহানপুর উপজেলার খাদাশ পশ্চিমপাড়া এলাকার আবু মুছা (৩৮), মো. কালাম (২৬) এবং খাদাস আলুবাড়ী এলাকার বাবলু হোসেন (২৫)।  

পিবিআই বগুড়ার পুলিশ সুপার কাজী এহসানুল কবীর এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, গত ১৬ সেপ্টেম্বর রাতে মোবাইল ফোনে কল দিয়ে সাগরকে ডেকে নেয় আসামিরা। এরপর থেকে তিনি নিখোঁজ ছিলেন। এ ঘটনায় ২৩ সেপ্টেম্বর সাগরের মা ঝর্না বেগম শাজাহানপুর থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। এরপর পিবিআই বগুড়ায় সাধারণ তদন্ত শুরু করে। তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় তিন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়।  

পুলিশ সুপার আরও জানান, অপহরণ করে টাকা আদায় করার জন্য সাগরকে হত্যা করা হয় বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারদের মধ্যে মুছা জানান, প্রথমে তারা গামছা পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ এবং পরে ধারালো অস্ত্র দিয়ে সাগরকে হত্যা করা হয়। সাগরের মরদেহ কোথায় আছে তা জানতে চাইলে মুছা জানান, সাগরের বাসার অদূরেই জমির ধারের পাশে ডোবায় পুঁতে রাখা হয়েছে। পরে সেখান থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

এসপি আরও বলেন,  বৃহস্পতিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) রাতে নিহত সাগরের মা বাদী হয়ে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। হত্যাকাণ্ডে জড়িতে অন্যান্য পলাতক আসামিদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রেখেছি এবং এ ঘটনা আরও অধিকতর তদন্ত চলছে।

বাংলাদেশ সময়: ১২১৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৩০, ২০২৩
কেইউএ/এসএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।