ঢাকা: মহেশখালী-মাতারবাড়ী এলাকায় মেগা প্রকল্পসহ অন্যান্য উন্নয়ন প্রকল্প দ্রুত বাস্তবায়ন এবং উক্ত এলাকাকে শিল্প ও বাণিজ্যিক অঞ্চলে রূপান্তরে ‘মহেশখালী-মাতারবাড়ী শিল্প ও বাণিজ্যিক অঞ্চল আইন, ২০২২’ প্রণয়ন করতে যাচ্ছে সরকার।
আইনটি প্রণীত হলে চাহিদা অনুযায়ী স্থানীয়ভাবে এই অঞ্চলের মানসম্মত পরিচালনা অব্যাহত রাখা যাবে বলে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠানো খসড়া থেকে জানা গেছে।
এই আইন কার্যকর হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ‘মহেশখালী-মাতারবাড়ী শিল্প ও বাণিজ্যিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ’ নামে একটি সংস্থা প্রতিষ্ঠিত হবে। কর্তৃপক্ষের প্রধান কার্যালয় থাকবে মহেশখালীতে। তবে কর্তৃপক্ষ গভর্নিং বোর্ডের অনুমোদন গ্রহণ করে প্রয়োজনে যেকোনো স্থানে লিয়াজোঁ অফিস স্থাপন করতে পারবে। কর্তৃপক্ষের স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি অর্জন করার, অধিকারে রাখার এবং হস্তান্তর করার ক্ষমতাও থাকবে।
গভর্নিং বোর্ড
এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে প্রধানমন্ত্রীকে চেয়ারম্যান করে একটি গভর্নিং বোর্ড গঠিত হবে। ভাইস-চেয়ারম্যান থাকবেন অর্থমন্ত্রী। সড়ক পরিবহণ ও সেতু মন্ত্রী, শিল্পমন্ত্রী, বাণিজ্যমন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব, এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক, বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নির্বাহী চেয়ারম্যান, বিদ্যুৎ বিভাগ, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ এবং ভূমি মন্ত্রণালয়ের সচিব, ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বারস অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি, কর্তৃপক্ষের অধিক্ষেত্রাধীন এলাকার চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি (তবে অধিক্ষেত্রাধীন এলাকায় নিজস্ব চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ গঠিত না হওয়া পর্যন্ত সরকার কর্তৃক মনোনীত উক্ত এলাকার শিল্প বাণিজ্য সংশ্লিষ্ট একজন প্রতিনিধি) সদস্য থাকবেন।
নির্বাহী পরিষদের চেয়ারম্যান গভর্নিং বোর্ডের সদস্য-সচিবের দায়িত্ব পালন করবেন। সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, কোনো মন্ত্রী, সচিব বা কোনো ব্যক্তিকে, প্রজ্ঞাপনের উল্লিখিত মেয়াদের জন্য গভর্নিং বোর্ডের সদস্য হিসাবে যেকোনো সময় কো-অপ্ট করতে পারবে।
গভর্নিং বোর্ডের সদস্য পদের শূন্যতা এবং বোর্ড গঠনে ত্রুটি থাকার কারণে বোর্ডের কোনো কার্যধারা অবৈধ হবে না এবং এ সম্পর্কে কোনো প্রশ্ন তোলা যাবে না।
নির্বাহী পরিষদ গঠন ও কার্যাবলী
একজন নির্বাহী চেয়ারম্যান ও সরকার কর্তৃক নির্ধারিত প্রয়োজনীয় সংখ্যক নির্বাহী সদস্য সমন্বয়ে কর্তৃপক্ষের একটি নির্বাহী পরিষদ গঠিত হবে। নির্বাহী চেয়ারম্যান এবং নির্বাহী সদস্যগণের পদমর্যাদা, চাকরির মেয়াদ ও শর্তাবলি সরকার কর্তৃক নির্ধারিত হবে। নির্বাহী চেয়ারম্যান কর্তৃপক্ষের প্রধান নির্বাহী হবেন।
কর্তৃপক্ষের কার্যাবলি
ভূমির যৌক্তিক ব্যবহার নিশ্চিত করে মহাপরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন বিনিয়োগ উন্নয়নের লক্ষ্যে সুনির্দিষ্ট কৌশল উদ্ভাবন ও উহার বাস্তবায়ন; কর্তৃপক্ষের অধিক্ষেত্রের মধ্যে কর্তৃপক্ষ কর্তৃক অনুমোদিত নকশা ও প্ল্যান অনুযায়ী ভবন, রাস্তা, অবকাঠামো, ইত্যাদি নির্মাণ নিশ্চিতকরণ এবং অননুমোদিত অবকাঠামো নির্মাণ রোধকরণ ও এরূপে নির্মিত অবকাঠামো অপসারণ; শিল্প ও বাণিজ্যের জন্য প্রয়োজনীয় অবকাঠামোগত সুবিধা নিশ্চিতকরণ; কর্তৃপক্ষের অধিক্ষেত্রাধীন ভূমি, স্থান ও ভবন অধিকতর উপযোগী অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে ব্যবহারের জন্য দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীকে বরাদ্দ প্রদান; দ্রুত শিল্পায়নের উদ্দেশ্যে দেশি ও বিদেশি পুঁজি বিনিয়োগে প্রয়োজনীয় সুযোগ-সুবিধা প্রদানের ভূমি বরাদ্দ গ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানসমূহের কাজের অগ্রগতি মূল্যায়ন ও পরিবীক্ষণ; কর্তৃপক্ষের অধিক্ষেত্রাধীন এলাকার উন্নয়নের উদ্দেশ্যে দেশি বা বিদেশি ব্যক্তি এবং সরকারি বা সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে বিনিয়োগ কার্যক্রম গ্রহণ ও বাস্তবায়ন; কর্তৃপক্ষের অধিক্ষেত্রাধীন এলাকায় পর্যটন এলাকা চিহ্নিতকরণ, উন্নয়ন, পরিচালনা ও সংরক্ষণ; পানি সরবরাহ ও নিষ্কাশন, জলাধার নির্মাণ ও সংরক্ষণ এবং বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও পয়ঃনিষ্কাশন; কোনো উদ্যোক্তা বা বিনিয়োগকারীকে প্রয়োজনীয় যেকোনো সেবা, সুবিধা, প্রণোদনা, লাইসেন্স, অনুমতি, পারমিট, ছাড়পত্র, তা যে নামেই অভিহিত হোক না কেন- নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে প্রদানের জন্য ওয়ান স্টপ সার্ভিস প্রবর্তন; জননিরাপত্তা নিশ্চিত করণার্থ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ; শিল্প-বাণিজ্যের তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ, সংকলন, বিশ্লেষণ, বিতরণ এবং তদুদ্দেশ্যে তথ্যভাণ্ডার স্থাপন; কর্তৃপক্ষের অধিক্ষেত্রাধীন এলাকার উন্নয়ন, পরিচালনা, ব্যবস্থাপনা এবং নিয়ন্ত্রণ বিষয়ক আবশ্যকীয়। নীতিমালা প্রস্তুত; কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম সুষ্ঠু ও সুচারুভাবে পরিচালনার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ; কর্তৃপক্ষের অধিক্ষেত্রাধীন এলাকার ভূমি ও স্থাপনা বরাদ্দ, ভাড়া ও ইজারা প্রদানের শর্তাবলি ও হার নির্ধারণ করবে।
এছাড়াও কর, রেট, টোল, ফি, সার্ভিস চার্জ, ইত্যাদি নির্ধারণ ও আদায়; শ্রমিক-কর্মচারীদের ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠা করা, তাহাদের কল্যাণ নিশ্চিত করা এবং মালিক ও শ্রমিক কর্মচারীদের মধ্যে সুষ্ঠু সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা; কর্তৃপক্ষের অধিক্ষেত্রাধীন এলাকার উন্নয়ন ও বিকাশের লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, বিভাগ বা কর্তৃপক্ষের সঙে সমন্বয় সাধন করবে।
মহাপরিকল্পনা প্রণয়ন, ভূমি বরাদ্দ
কর্তৃপক্ষ যত দ্রুত সম্ভব নিজ অধিক্ষেত্রাধীন এলাকার জন্য একটি মহাপরিকল্পনা প্রণয়ন করবে। এজন্য কর্তৃপক্ষের অধিক্ষেত্রাধীন এলাকার ভূমির উপযোগিতা বিবেচনাক্রমে শিল্প ও বাণিজ্যের ধরন অনুযায়ী উক্ত এলাকাকে বিভিন্ন ব্লকে বিভক্তকরণ; ভূমি ব্যবহার, জোনিং এবং প্রাকৃতিক ল্যান্ডস্কেপ অনুসরণ করে ভূমি সংরক্ষণের ব্যবস্থা গ্রহণ; আবাসিক, বাণিজ্যিক ও শিল্প এলাকার অবস্থান নির্ধারণ, সংরক্ষণ এবং এতদসংক্রান্ত বিষয়াদি; পরিবহণ ও যোগাযোগ, বন্দর সুবিধা, ইত্যাদির জন্য স্থান নির্ধারণ; ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা এবং এসব বিষয়াদি; পানি সরবরাহ, সংরক্ষণ, পয়ঃপ্রণালী ও পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা; মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য ভবিষ্যতে প্রয়োজন হতে পারে এইরূপ ভূমি চিহ্নিতকরণ ও উহার অবস্থান নির্ধারণ; বিদ্যুৎ উৎপাদন, সঞ্চালন, বিতরণ এবং এতদসংক্রান্ত বিষয়াদি; জ্বালানি সরবরাহ এবং তৎসংশ্লিষ্ট অন্যান্য প্রয়োজনীয় বিষয়াদি; পর্যটন শিল্প বিকাশের জন্য স্থান নির্ধারণ এবং উহার উন্নয়ন; কর্তৃপক্ষের কার্যাবলি সংশ্লিষ্ট এবং আধুনিক শিল্প ও বাণিজ্যিক এলাকা গড়িয়া তোলার জন্য প্রয়োজনীয় অন্যান্য বিষয় নজরে রাখবে।
কর্তৃপক্ষ প্রস্তুতকৃত মহাপরিকল্পনা সরকারি গেজেট, ইলেকট্রনিক গেজেট ও কর্তৃপক্ষের নিজস্ব ওয়েবসাইটে প্রাক-প্রকাশ করবে। প্রাক-প্রকাশিত মহাপরিকল্পনার বিষয়ে কারও কোনো আপত্তি বা পরামর্শ থাকলে তা প্রাক-প্রকাশের পর কর্তৃপক্ষ কর্তৃক নির্ধারিত সময়ের মধ্যে লিখিতভাবে কর্তৃপক্ষের নিকট পাঠাতে হবে। কর্তৃপক্ষ প্রাপ্ত আপত্তি বা পরামর্শ বিবেচনাক্রমে সংশোধনসহ বা সংশোধন ব্যতিরেকে উক্ত মহাপরিকল্পনা চূড়ান্ত করবে এবং সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা চূড়ান্ত প্রকাশ করবে।
শিল্প ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের জন্য ভূমি বরাদ্দ
কর্তৃপক্ষ কোনো ব্যক্তিকে তার চাহিদা অনুযায়ী ও প্রতিষ্ঠানের উপযুক্ততা বিবেচনাক্রমে, মহাপরিকল্পনার কোনো ব্যত্যয় না ঘটিয়ে অনুমোদিত শিল্প স্থাপন বা বাণিজ্যিক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য অধিক্ষেত্রাধীন এলাকার উপযুক্ত ব্লকে ভূমি বা স্থান বরাদ্দ প্রদান করতে পারবে। এই ধারার উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, শিল্প ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানসমূহকে সুবিধাদি প্রদানের লক্ষ্যে কর্তৃপক্ষ সময় সময়, স্থাপিত শিল্প এবং বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের শ্রেণি নির্ধারণ করতে পারবে।
মহাপরিকল্পনা লঙ্ঘন করে ভূমি ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা
মহাপরিকল্পনা লঙ্ঘন করে বা চিহ্নিত বা উল্লিখিত উদ্দেশ্য ব্যতিরেকে অন্য কোনো উদ্দেশ্যে কোনো ভূমি ব্যবহার করা যাবে না। কর্তৃপক্ষের অধিক্ষেত্রাধীন এলাকায় সকল সরকারি ও বেসরকারি উন্নয়ন এবং নির্মাণ কাজ মহাপরিকল্পনার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ হতে হবে।
স্থানীয় পরিকল্পনা
কর্তৃপক্ষের অধিক্ষেত্রাধীন এলাকায় বিদ্যুৎ, পানি সরবরাহ, নৌ, বিমান, সড়ক ও রেল যোগাযোগ, টেলিযোগাযোগ বা অন্য কোনো সংস্থার বা কোনো স্থানীয় কর্তৃপক্ষ এবং সরকারি, বেসরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তি বা কোম্পানি মহাপরিকল্পনার সাথে সামঞ্জস্য রেখে ভবিষ্যৎ কার্যক্রমের জন্য উন্নয়ন ও নির্মাণ পরিকল্পনা সম্পর্কিত স্থানীয় পরিকল্পনা প্রণয়ন করবে অনুমোদনের জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠাবে।
স্থানীয় কর্তৃপক্ষের নিয়ন্ত্রণাধীন ভূমি, ইমারত ন্যস্তকরণ
স্থানীয় কর্তৃপক্ষের নিয়ন্ত্রণাধীন কোনো ভূমি, ইমারত, রাস্তা, চতুর, জলমহাল বা তার কোনো অংশবিশেষ কর্তৃপক্ষের কোনো উন্নয়ন প্রকল্পের আওতাধীন খূমি উন্নয়নে প্রয়োজন হলে কর্তৃপক্ষ উক্ত ভূমি, ইমারত, রাস্তা, চতুর, জলমহাল বা উহার অংশবিশেষ উহার অধীন ন্যস্ত করার জন্য উক্ত স্থানীয় কর্তৃপক্ষের নিকট অনুরোধ করবে এবং নির্ধারিত পদ্ধতিতে উক্ত ভূমি, ইমারত, রাস্তা, চতুর, জলমহাল বা উহার অংশবিশেষ কর্তৃপক্ষের অধীনে ন্যস্ত হবে।
কর্তৃপক্ষের বিশেষ অধিকার
কর্তৃপক্ষের অধিক্ষেত্রাধীন এলাকায় কোনো কোম্পানি, শিল্প বা বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের কাছে কর্তৃপক্ষের কোনো পাওনা অপরিশোধিত থাকলে উক্ত কোম্পানি বা শিল্প বা বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের মালিক, পরিচালনা বা পরিচালক পর্ষদ চুক্তি অনুযায়ী তার বা তাদের ব্যক্তিগত সম্পদ হতে দেনা পরিশোধের জন্য দায়ি হবেন; এবং উক্তরূপ দেনা পরিশোধে ব্যর্থতার ক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষ উহার পাওনা আদায়ের জন্য উষ্ণ কোম্পানি বা শিল্প বা বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের মালিক, পরিচালক বা পরিচালনা পর্ষদের বিরুদ্ধে কার্যধারা গ্রহণের অধিকার সংরক্ষণ করবে।
কোনো কোম্পানি বা শিল্প বা বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের কোনো শ্রমিক, কর্মচারী, নির্বাহী বা ব্যবস্থাপনা কর্মচারী যদি এরূপ কোনো কাজের সঙ্গে জড়িত থাকেন বা এমন কোনো কাজে প্ররোচনা দেন- যার ফলে কোনো শিল্প বা বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে কোনো শ্রমিক অসন্তোষ, ধর্মঘট বা লক-আউটের উদ্ভব হয় তাহলে কর্তৃপক্ষ উক্তরূপ শিল্প প্রতিষ্ঠানকে উহার সংশ্লিষ্ট শ্রমিক, কর্মচারী, নির্বাহী বা ব্যবস্থাপনা কর্মচারীকে বরখাস্ত করাসহ নির্ধারিত সময়ের জন্য উক্ত শিল্প বা বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম বন্ধ রাখিবার জন্য নির্দেশ প্রদান করিতে পারবে এবং তদন্য কর্তৃপক্ষ কোনো ক্ষতিপূরণ প্রদানের জন্য দায়ি হবে না।
যদি কোনো শিল্প বা বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষের বকেয়া পাওনা, অন্যান্য পাওনা এবং দায়-দেনা পরিশোধ করতে ব্যর্থ হয়, তাহলে কর্তৃপক্ষ এককভাবে উক্ত প্রতিষ্ঠানের মেশিন, যন্ত্রপাতি, কাঁচামাল অথবা অন্য কোনো পণ্য অপসারণক্রমে তা, গণপূর্ত অধিদপ্তরের নির্ধারিত হারে মূল্যায়ন করে অন্য কোনো শিল্প বা বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানকে বরাদ্দ দিতে পারবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৩০, ২০২৩
এমআইএইচ/এমজে