ঢাকা: আসন্ন নির্বাচন নিয়ে বিদেশি দূতাবাসের কর্মকর্তারা কি বিএনপির মুখপাত্রের ভূমিকা পালন করছেন এমন প্রশ্ন তুলেছেন সাবেক ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম।
তিনি বলেন, আসন্ন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবার পূর্বেই যুক্তরাষ্ট্র কয়েকজনকে স্যাংশন দিয়েছে।
সোমবার (২ অক্টোবর) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মায়ের কান্না আয়োজিত মানববন্ধনে এসব কথা বলা হয়।
মানববন্ধনটি আয়োজন করা হয়, ১৯৭৭ সালের ২ অক্টোবর সামরিক স্বৈরশাসক জিয়াউর রহমান কর্তৃক নির্মম ফাঁসির শিকার বীর মুক্তিযোদ্ধা সেনা ও বিমান বাহিনীর শহীদ সদস্যদের হত্যাকারী খুনি জিয়ার তথাকথিত কবর সংসদ ভবন থেকে অপসারণের দাবিতে।
আগামী নির্বাচনের বিষয়ে বিদেশি দূতাবাস গুলো কথা বললেও সাতাত্তরের নারকীয়তা তাদের মানবাধিকার অনূভূতিকে নাড়া দিচ্ছে না বলে মন্তব্য করে তারানা হালিম বলেন, জিয়াউর রহমানের নির্দেশে কয়েক হাজার মুক্তিযোদ্ধাকে হত্যার ঘটনায় সে সময় বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা তদন্তের দাবি তুলেছিল। সেই তদন্তের ফলাফল আজও আলোর মুখ দেখেনি। আজ বাংলাদেশের নির্বাচনের বিষয়ে কয়েকটি দূতাবাসের কর্মকর্তারা কথা বলছেন। কিন্তু সাতাত্তরের এই নারকীয়তা তাদের মানবাধিকার অনূভূতিকে নাড়া দিচ্ছে না।
মায়ের কান্না সংগঠনের আহবায়ক কামরুজ্জামান মিয়া লেলিনের সভাপত্বিতে মানববন্ধনে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্ত্যব রাখেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদের।
প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী।
এছাড়া আরও বক্তব্য রাখেন এসময় আরো বক্তব্য রাখেন কর্পোরাল নওরেজ ডি রোজারিও, সার্জেন্ট মোবারক আলীর মেয়ে মমতাজ বেগম, বীর মুক্তিযোদ্ধা নূরুল হক, সার্জেন্ট আজিজুর রহমানের স্ত্রী সুফিয়া বেগম, সার্জেন্ট মো হাবিবুর রহমান এর ছেলে মো সাইদুর রহমান প্রমূখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৩২ঘণ্টা,অক্টোবর ২, ২০২৩
ইএসএস/এমএম