ফেনী: ফেনীতে বসতঘরে আগুন লেগে দগ্ধ দুই শিশুর মৃত্যুর ঘটনায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।
নিহত শিশুদের বাবা সহিদুল ইসলাম রনি বাদী হয়ে ১৩ জনের নামোল্লেখ ও আরও ৪-৫ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে এ মামলা দায়ের করেছেন।
শুক্রবার (৬ অক্টোবর) রাত ১০টার দিকে এ তথ্য জানিয়েছেন ফেনী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শহিদুল ইসলাম চৌধুরী।
মামলার আসামিরা হলেন, আবদুল আজিম, জনি, আনোয়ার, বাদল, রমজান আলী, দিদার, সাইফুল ইসলাম, রকি, মিয়া ড্রাইভার, সজিব, মো. মিয়া, মোকছেদা আক্তার সুমি এবং মায়া।
এর আগে মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) দিনগত রাত ১টার দিকে ফেনী পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের বিরিঞ্চি এলাকার রনি ও পলি দম্পতির দুই ছেলে মাইদুল ইসলাম শাহাদাত (১৩) এবং রাহাদুল ইসলাম গোলাপ (৬) বসতঘরে আগুন লেগে মারা যায়। বুধবার (৪ অক্টোবর) সন্ধ্যার দিকে জানাজা শেষে দুই ভাইকে পাশাপাশি কবর দেওয়া হয়। পূর্ব বিরোধের জের ধরে দেওয়া আগুনে এ ঘটনা ঘটেছে বলে দাবি পরিবার ও স্থানীয়দের।
স্বজন ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার দিনগত রাত ১টার দিকে রনির বাড়িতে আগুন লাগে। ঘরের দরজা দুই দিক থেকে বন্ধ থাকায় কেউই ঘর থেকে বের হতে পারেনি। পরে তাদের চিৎকারে আশপাশের লোকজন এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। আগুন কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এলে রনির বড় ছেলে মাইদুলের দগ্ধ মরদেহ খাটের ওপরে পাওয়া যায়। আর ছোট ছেলে রাহাদুলকে দগ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার পথে সেও মারা যায়। এ ঘটনায় মা পলিও দগ্ধ হয়েছেন।
মৃত দুই শিশুর চাচা কামরুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, গত ৩০ সেপ্টেম্বর ফকির বাড়ির হোনা মিঞা মারা যান। পারিবারিক কবরস্থানে অনুমতি ছাড়া প্রতিবেশী জনি ও আনোয়ার তাদের স্বজনের মরদেহ দাফন করতে গেলে কথা কাটাকাটি হয়। এ সময় আনোয়ার, বাদল, রমজান ও জনি আমাদের মেরে ফেলার হুমকি দেন। এ বিরোধের জেরেই পেট্রল ঢেলে ঘরে আগুন লাগিয়ে দুই ছেলেকে হত্যা করা হয়েছে বলে আমাদের ধারণা।
আগুন নেভাতে অংশ নেওয়া স্থানীয়রা জানান, আগুন নেভাতে গিয়ে তারা দেখেছেন ঘরের মূল গেট বাইরে থেকে কাপড়ের টুকরো দিয়ে বেঁধে রাখা হয়েছিল, যাতে কেউ বের হতে না পারে। এ থেকে হত্যার উদ্দেশ্যে ঘরে আগুন দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করছেন তারা।
ওসি শহিদুল জানান, এ ঘটনার রহস্য উদঘাটনে পুলিশের বিভিন্ন টিম কাজ করছে। দ্রুতই আসামিদের গ্রেপ্তার করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ০৮৫৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৭, ২০২৩
এসএইচডি/আরআইএস