ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

কুয়াকাটায় পর্যটকদের সঙ্গে বন্ধুত্বের উদ্দেশ্যই ছিল চুরি 

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১২১ ঘণ্টা, অক্টোবর ৭, ২০২৩
কুয়াকাটায় পর্যটকদের সঙ্গে বন্ধুত্বের উদ্দেশ্যই ছিল চুরি 

পটুয়াখালী: পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সি-বিচে বসেই প্রথম পরিচয়, সেখান থেকে চা-সিগারেট এবং আড্ডা। এরপর চোর নিজেই সেই পর্যটকদের সঙ্গে গড়ে তোলে বন্ধুত্ব।

পর্যটকরাও বিশ্বাস করে নিয়ে যায় হোটেলে, রাতভর আড্ডা দিয়ে সবাই ঘুমিয়ে গেলে সর্বস্ব লুট করে পালিয়ে যায় চোর হৃদয় মোল্লা।  

পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে বেড়াতে আসা তিন পর্যটকের সঙ্গে ঘটে অভিনব চুরির ঘটনা।  

গত বৃহস্পতিবার (৫ অক্টোবর) কুয়াকাটা সৈকতে বসে পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের রুহুল মোল্লার বখাটে খ্যাত হৃদয় মোল্লার সঙ্গে পরিচয় হয় বরিশাল থেকে আসা বাঁধন সাহাসহ তার তিন বন্ধুর। অভিনব কৌশলে তাদের সঙ্গে বন্ধুত্ব স্থাপন করে রাত্রিযাপন করে হোটেল বীচ ডোরে। রাতে সবাই ঘুমিয়ে পড়লে হৃদয় মোল্লা পর্যটকদের মোবাইল ফোন, ডিএসএলআর ক্যামেরা ও নগদ ৩২ হাজার টাকা নিয়ে উধাও হয়ে যায়।

শুক্রবার সকালে তারা হৃদয় মোল্লাকে অনেক খোঁজাখুঁজি করে কোথাও না পেয়ে ট্যুরিস্ট পুলিশের কাছে অভিযোগ করলে ঘটনার তদন্তে নামেন তারা। এ ঘটনার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে শনিবার (৭ অক্টোবর) শেষ রাতে চোর হৃদয় মোল্লাকে গ্রেপ্তার করে ট্যুরিস্ট পুলিশ।

এ বিষয়ে ভুক্তভোগী পর্যটকরা বলেন, আমরা সৈকতে বসা ছিলাম। তখন হঠাৎ করে এসেই আমাদের সঙ্গে গল্প করতে শুরু করে হৃদয় মোল্লা। কুয়াকাটার স্থানীয় বলায় আমরাও তার সঙ্গে দর্শনীয় স্থান ভ্রমণ সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে আলাপ করি। সে আমাদের সঙ্গে খুব ভালো আচরণ করায় আমরা তাকে রাতের খাবারের আহ্বান করি। পরে আমাদের সঙ্গে হোটেলে যায় এবং খাবার খেয়ে রাতে আমরা ঘুমিয়ে পড়লে আমাদের ক্যামেরা, মোবাইল এবং টাকা নিয়ে সে পালিয়ে যায়।

কুয়াকাটা হোটেল বীচ ডোরের ম্যানেজার দেলোয়ার হোসেন বলেন, গত ৫ অক্টোবর বৃহস্পতিবার বরিশাল থেকে আসা চারজন পর্যটক আমাদের হোটেলের ২০৪ নম্বর কক্ষটি ভাড়া নেয়। এবং রাতে তাদের সঙ্গে হোটেলে স্থানীয় একটি ছেলে আসে। সকালবেলা শুনি তাদের মালামাল নিয়ে ওই ছেলে পালিয়ে গেছে। আমি তাৎক্ষণিক ট্যুরিস্ট পুলিশকে বিষয়টি অবগত করি।

 ট্যুরিস্ট পুলিশ কুয়াকাটা জোনের ইনচার্জ হাসনাইন পারভেজ বলেন, কুয়াকাটা বীচ ডোর হোটেল থেকে পর্যটকদের মালামাল চুরি হয়েছে এ সংক্রান্ত একটি অভিযোগ এলে আমরা ঘটনার তদন্তে নামি। বিভিন্ন কৌশলে এবং একাধিক সোর্সের মাধ্যমে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে শনিবার শেষ রাতে চোর হৃদয় মোল্লাকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হই এবং চুরি যাওয়া মালামাল তার বাসা থেকে উদ্ধার করি। তবে এ সময় হৃদয়ের কাছে কোনো নগদ টাকা পাওয়া যায়নি। এ ঘটনায় মহিপুর থানায় একটি চুরির মামলা দায়ের করা হয়েছে, গ্রেপ্তারকৃত হৃদয় মোল্লাকে শনিবার কলাপাড়া আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ২১১২ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৭, ২০২৩
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।