ঢাকা: রাজধানীর কাকরাইলে এস এ পরিবহনের প্রধান কার্যালয়ের গৌডাউনে আগুন লেগে পুড়ে গেছে গ্রাহকদের অনেক পার্সেল। এসব ক্ষতিগ্রস্ত গ্রাহকদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
সোমবার (৯ অক্টোবর) দুপুরে পুড়ে যাওয়া গৌডাউন পরিদর্শন শেষে এ আশ্বাস দেন এস এ গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সালাউদ্দিন আহমেদ।
আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত গ্রাহকদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে কিনা জানতে চাইলে সালাউদ্দিন আহমেদ বলেন, এখানে গ্রাহকের মালামাল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। গ্রাহক আমাদের তাদের মালামাল ক্ষতিগ্রস্ত করার জন্য দেয় না। তাই আমরা তাদের সঙ্গে আলাপ আলোচনা করে যে ক্ষতি হয়েছে, সেই ক্ষতিপূরণ দেবো।
গ্রাহকের পাঠানো মধুর বোতল বিস্ফোরিত হয়ে এস এ পরিবহনের প্রধান কার্যালের গৌডাউনে আগুন লেগেছে বলে ধারণা করছেন সালাউদ্দিন আহমেদের। এছাড়া কেউ ষড়যন্ত্র করেও আগুন লাগাতে পারে বলে ধারণা করছেন তিনি।
সালাউদ্দিন আহমেদ বলেন, আজকে এখানে ৪০-৪২ বছর ধরে এ প্রতিষ্ঠানটি চলছে। এ প্রতিষ্ঠানে আগে কখনো এমন আগুনের ঘটনা ঘটেনি। তবে আজকে সকালে ১০টার ১০ মিনিট আগে এখানে একটি অঘটনের সূত্রপাত মধুর থেকে হয়েছে। মধুর বোতল বিস্ফোরিত হয়েছে। এর বাইরে আরও অনেক কিছু থাকতে পারে।
তিনি আরও বলেন, মানুষের আমানত রক্ষা করার দায়িত্ব আমাদের। আমাতের যে কর্মী বাহিনী রয়েছে সবাই সচেষ্ট। এখানে সহজে কোনো আগুন লাগার ঘটনা ঘটতে পারে না। তবে এখানে বলার অপেক্ষা রাখে না কেউ কোনো ষড়যন্ত্র করে আগুনের সূত্রপাত ঘটানোর ব্যবস্থা করেছে। এটি আমাদের বিভাগীয় তদন্তে বেরিয়ে আসবে।
আতশবাজি ও কেমি্যিাল বিস্ফোরণের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখানে কোনো কেমিক্যাল ছিল না। তবে হিন্দুদের পূজা উপলক্ষে অনেকগুলো আতশবাজি, আগরবাতি ছিল। এগুলো বিস্ফোরকের আওতায় পড়ে না।
অগ্নি নির্বাপনের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা ছিল কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাদের পুরোপুরি অগ্নি নির্বাপন ব্যবস্থা রয়েছে। এটি একটি ছোটখাটো ঘটনা। এটি বড় কিছু নয়। এখানে আমার জরুরি কিছু পার্সেল পোড়া গেছে, দুইটি গাড়িতে আগুন লেগেছে। এছাড়া এখানে এমন কোনো ঘটনা ঘটেনি, যে এটিকে দেশব্যাপী বিরাট বিস্ফোরণ বলা যাবে।
এর আগে সকাল ১০টা ১০ মিনিটে কাকরাইলে অবস্থিত এস এ পরিবহনের প্রধান কার্যালয়ের গৌডাউনে আগুন লাগার খবর পায় ফায়ার সার্ভিস। ১০টা ১৫ মিনিটে ফায়ার সার্ভিসের প্রথম ইউনিট ঘটনাস্থলে আসে। এরপর একে একে আগুন নিয়ন্ত্রণে যোগ দেয় ফায়ার সার্ভিসের ১২টি ইউনিট। প্রায় পৌনে এক ঘণ্টার চেষ্টায় সকাল ১০টা ৫৮ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয় ফায়ার সার্ভিস। তবে আগুন এখনও পুরোপুরি নির্বাপন হয়নি।
ফায়ার সার্ভিসের পাশাপাশি আগুন নির্বাপনে কাজ করছে সেনাবাহিনী, পুলিশ, এনএসআই, র্যাব, আনসার, সিআইডি, রেড ক্রিসেন্ট, ও স্কাউট সদস্যরা।
বাংলাদেশ সময়: ১৫০৮ ঘণ্টা, অক্টোর ৯, ২০২৩
এসসি/জেএইচ