ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৯ কার্তিক ১৪৩১, ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ১২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

দেশবরেণ্য সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব মাসুম আজিজের প্রথম স্মরণসভা

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০১৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৭, ২০২৩
দেশবরেণ্য সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব মাসুম আজিজের প্রথম স্মরণসভা

পাবনা: একুশে পদকপ্রাপ্ত দেশবরেণ্য টিভি, চলচ্চিত্র ও মঞ্চ অভিনয় শিল্পী। নাট্যকার নির্দেশক পাবনার কৃতি সন্তান সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব প্রয়াত মাসুম আজিজের প্রথম প্রয়াণ দিবস উপলক্ষে স্মরণসভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে তার নিজ জেলা পাবনার ফরিদপুরে।

 

মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর) বিকেলে ফরিদপুর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হয়। এসময় প্রয়াত মাসুম আজিজ স্মরণে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।  

এসময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট শামসুল হক টুকু।

বিশেষ অতিথি ছিলেন, স্থানীয় সংসদ সদস্য মো. মকবুল হোসেন, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আ স ম আব্দুর রহিম পাকন, ফরিদপুর উপজেলা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. গোলাম হোসেন গোলাপ।  

আমন্ত্রিত অতিথিদের মধ্যে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- প্রবীণ সাংবাদিক আব্দুল মতিন খান, চাটমোহর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জেলা আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল হামিদ মাস্টার, পাবনা প্রেসক্লাব সভাপতি এবিএম ফজলুর রহমান, ফরিদপুর উপজেলার আওয়ামী লীগের সভাপতি খলিলুর রহমান, পৌর মেয়র কামরুজ্জামান মাজেদ।

স্বাগত বক্তব্য দেন- মাসুম আজিজের স্ত্রী সাবিহা জামান। তিনি বলেন, মৃত্যুর পূর্বে প্রয়াত মাসুম আজিজকে একুশে পদক প্রাপ্তিতে যে সম্মান তিনি পেয়েছেন সেটা বলে বোঝাতে পারবো না। এই সম্মান দেওয়াতে  প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানাই। একইসঙ্গে বর্তমান মহামান্য রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের প্রতিও বিশেষ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা হয়।

প্রয়াত মাসুম আজিজের বড় ভাই শামসুজ্জামান তিনি বলেন, মাসুম আজিজের চাইতে বয়সে ৮ বছরের বড় আমি। কিন্তু আমি বেঁচে আছি আর আমার ছোট ভাই নেই। তবে মাসুম তার জীবিত থাকাকালীন যে সম্মান অর্জন করেছেন সেটা আমি করতে পারি নাই। তাই মাসুমকে সবার মাঝে ধরে রাখার জন্য সবাই মিলে কিছু করতে পারলে তবেই তিনি স্মরণীয় হয়ে থাকবেন। তাই সরকার প্রধানসহ রাজনৈতিক নেতা ও জনপ্রতিনিধিদের সহযোগিতা আশা করি।

প্রধান অতিথি শামসুল হক টুকু বলেন, দেশবরেণ্য এই সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব আমাদের দেশের সম্মান বয়ে এনেছে। তার স্মৃতি ধরে রাখার জন্য সবাইকে কাজ করতে হবে। মানুষ চলে যাবে এটাই সত্য কিন্তু তার কর্ম আজীবন বেঁচে থাকে। এই ফরিদপুর উপজেলার কৃতি সন্তান তিনি। মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার স্বপক্ষের মানুষ তিনি। মাসুম আজিজ আজ বেঁচে নেই কিন্তু তার সৃষ্টিশীল অভিনয় শৈলী এখনো দেখতে পাই আমরা। তাই এমন একজন গুণী মানুষের স্মৃতি ধরে রাখতে কাজ করতে হবে আমাদের সবাইকে।  

অনুষ্ঠান শেষে প্রয়াত মাসুম আজিজের আত্মার মাগফেরাত কামনায় দোয়া পরিচালনা করেন মওলানা জহুরুল হক সাবেরি।  

স্মরণসভায় স্থানীয় সাংস্কৃতিক সংগঠনের সদস্য, রাজনৈতিক ব্যক্তি ও বিভিন্ন ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।  

বাংলাদেশ সময়: ২০১৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৭, ২০২৩
এসএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
Veet