ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

অর্থপাচার রোধে শাহজালালে বিশেষ ইউনিট গঠন

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩০১ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৮, ২০২৩
অর্থপাচার রোধে শাহজালালে বিশেষ ইউনিট গঠন

ঢাকা: রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে প্রথমবারের মতো চোরাচালান ও মানি লন্ডারিং (অর্থ পাচার) প্রতিরোধে একটি বিশেষায়িত ইউনিট গঠন করা হয়েছে। ইউনিটে মোট ১২ জন সদস্য রয়েছে।

রোববার (১৫ অক্টোবর) ঢাকা কাস্টম হাউসের যুগ্ম কমিশনার মিনহাজ উদ্দিন স্বাক্ষরিত এক আদেশ থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।

আদেশ অনুযায়ী, প্রতিটি শিফটের সদস্যদের বোর্ডিং ব্রিজ এলাকায় ফ্লাইট রামাগিং, টহল এবং নিরাপত্তা পরীক্ষা পরিচালনা, প্রস্থান স্ক্যানিং তত্ত্বাবধান, এবং গোয়েন্দা কার্যক্রম বাড়ানোর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আসন্ন জাতীয় নির্বাচন পর্যন্ত কিছু ঝুঁকি, প্রধানত অর্থ পাচার এবং স্বর্ণসহ পণ্যের অবৈধ স্থানান্তরে ইউনিট ভূমিকা রাখবে বলে সংশ্লিষ্টদের প্রত্যাশা।

ঢাকা কাস্টমস সূত্রে জানা গেছে, একজন যুগ্ম কমিশনারের নেতৃত্বে ১২ সদস্যের ওই ইউনিট মোট চারটি শিফটে কাজ করবে। ইউনিটে মোট ১২ জন সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা রয়েছেন।  

তারা হলেন- মোহাম্মদ জাফর, মো. তৌহিদুজ্জামান, জান্নাতুল মাওয়া, মো. সোহেল, মো. সানোয়ার হোসেন, জুয়েল চক্রবর্তী, আল আমিন রিয়ন, নাজমুল বাসার, নাজমুল হোসেন, সারোয়ার কবির, একেএম আনিসুর রহমান ও খাদেমুল ইসলাম। এই ১২ জন কর্মকর্তা এ , বি, সি এবং ডি এই ৪ শিফটে তাদের দায়িত্ব পালন করবে।

নতুন এই ইউনিট কাজ শুরুর পরে বিমানবন্দরের প্রস্থান, আগমন, আমদানি এবং রপ্তানি কার্গো অঞ্চলগুলোতে ব্যাপক নজরদারি করবে। এছাড়া, প্রস্থানের সময় স্ক্যানিং তদারকি জোরদার করা হয়েছে। বিমানবন্দরে আগমনী এলাকায় নজরদারি বাড়ানো হয়েছে৷ সন্দেহজনক যাত্রীদের লাগেজও আগের তুলনায় নিবিড়ভাবে পরীক্ষা করা হচ্ছে। ইউনিট সদস্যরা আমদানি ও রপ্তানি কার্গো এলাকায় অনুসন্ধানের জন্য দায়ী, সন্দেহজনক আইটেমগুলির ওপর বেশি জোর দিয়ে নজরদারি করবে।

ইউনিটের প্রধান যুগ্ম কমিশনার মিনহাজ উদ্দিন গণমাধ্যমকে বলেছেন, এটি আমাদের একটি বিশেষায়িত ইউনিট। আমরা এর প্রতিটি সদস্যকে বিশেষ প্রশিক্ষণ দিয়েছি। তাদের প্রাথমিক লক্ষ্য চোরাচালান ও অর্থ পাচার প্রতিরোধ করা। আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলো বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করছে। এ টিমের মাধ্যমে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষও সুনির্দিষ্ট ব্যবস্থা নিয়েছে। নির্বাচনের আগে, তারা চোরাকারবারিদের দেশে এবং বাইরে অবৈধ পণ্য পাচার থেকে বিরত রাখতে সর্বোচ্চ সতর্কতামূলক ব্যবস্থা বাস্তবায়ন করেছে। আমাদের প্রাথমিক উদ্দেশ্য বিমানবন্দরভিত্তিক চোরাচালান শূন্যে নামিয়ে আনা।

বাংলাদেশ সময়: ২৩০১ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৮, ২০২৩
এমকে/এসএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।