ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

কানে আসে, আমরা গুরুত্ব দিই না: বিএনপির মহাসমাবেশ নিয়ে মোমেন

ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭০৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ২২, ২০২৩
কানে আসে, আমরা গুরুত্ব দিই না: বিএনপির মহাসমাবেশ নিয়ে মোমেন সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন

ঢাকা: বিএনপির ২৮ অক্টোবরের  মহাসমাবেশের বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, এসব আমাদের কানে আসে। আমরা গুরুত্ব দিই না।

 

রোববার (২২ অক্টোবর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি এসব কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ব্রাসেলস সফর নিয়ে সংবাদ সম্মেলনটির আয়োজন করা হয়।

বিএনপির বিএনপির ২৮ অক্টোবরের  মহাসমাবেশের বিষয়ে মন্তব্য জানতে চাইলে মোমেন বলেন, আমাদের দেশে অপপ্রচার এখন তুঙ্গে। আর মিডিয়া সেই অপপ্রচারে সাহায্য সহায়তা করে। এখন শুনছি ২৮ তারিখ, এর আগে একবার ১০ তারিখ ছিল, এসব আমাদের কানে আসে, কানে চলে যায়। আমরা গুরুত্ব দিই না।  

তিনি বলেন, ভারী কলস নড়েচড়ে কম, হালকা কলসই বেশি বাজে। এখন হালকা কলস নড়াচড়া করছে। তবে দেশবাসী এত মূর্খ নয়। দেশবাসী যথেষ্ট পরিপক্ব। কেউ (বিএনপি) কিছু বলবে, আর তারা লাফিয়ে উঠবে এমন নয়। অনেক মিডিয়া এসব বড় করে দেখানোর চেষ্টা করে, কিন্তু জনগণ এসব গ্রহণ করে না।

মোমেন বলেন, কোনো প্রকার গুজবে কান দেবেন না। কদিন পরপর গুজব শুরু হয়, এই সরকার গেল। আমি একদিন বাসায় ঢুকেছি, বাসায় ঢোকার সঙ্গে সঙ্গেই কাজের লোক আমাকে বলল, স্যার শেখ হাসিনা পদত্যাগ করেছেন। তখন আমি বললাম, এটা কোথায় পেলে। সে আমাকে সেলফোন দেখাল। এই ধরনের গুজব অনেক আছে। আমরা যেহেতু মিডিয়া ফ্রিডমে বিশ্বাসী, তাই গুজব ছড়াচ্ছে ছড়াক।

তিনি বলেন, একটি গুজব দেখলাম যে, জয়কে আমেরিকা বের করে দিয়েছে। আমরা তখন ওয়াশিংটনে। আমাদের সঙ্গে তার দেখা হলো। তিনি দিব্যি আছেন, কোনো ধরনের কোনো দুশ্চিন্তা নেই। কিন্তু সেই অপপ্রচার অনেকেই লুফে নিয়েছে।

মন্ত্রী বলেন, আমরা যখন জনগণের কাছে যাই, তখন আমাদের তারা কী বলে? নিত্যপণ্যের দাম বেশি, বিভিন্ন এলাকায় লোডশেডিং, জলাবদ্ধতা, তারা এসব বলে। তত্ত্বাবধায়ক, অমুক তমুক, তারা এসবের ধারে কাছে  নেই। তারা দৈনন্দিন ইস্যুগুলো নিয়েই আলাপ করে। তারা রাস্তা, কালভার্ট, মসজিদ নিয়ে আমাদের সঙ্গে আলাপ করে। কোথায় আন্দোলন হচ্ছে, এগুলো নিয়ে তাদের কোনো মাথাব্যথা নেই।

তিনি বলেন, ইদানীং শুনছি, (বিএনপির) আন্দোলনে যাওয়ার জন্য টাকা-পয়সা দেওয়া হয়। চারদিনের ঢাকায় আসার জন্য এক হাজার টাকা দেওয়া হয়। এটা অবশ্য শোনা কথা। জিনিসপত্র ও মুড়ি-টুড়ি নিয়ে যাওয়ার জন্য দেওয়া হয়। এটা ভালো যে, জনগণ কিছু টাকা-পয়সা পাচ্ছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬২৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ২২, ২০২৩
টিআর/আরএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।