ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

‘ব্যাংকে ‘ইসলামিক শরিয়াহ মোতাবেক’ একটা ফ্যাশন হয়ে গেছে’

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১২৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ২, ২০২৩
‘ব্যাংকে ‘ইসলামিক শরিয়াহ মোতাবেক’ একটা ফ্যাশন হয়ে গেছে’

ঢাকা: আজকাল ব্যাংকগুলোতে ইসলামিক শরিয়াহ মোতাবেক পরিচালিত বিষয়টি একটা ফ্যাশন হয়ে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী ফিরোজ রশিদ।

বুধবার (১ নভেম্বর) জাতীয় সংসদে ফাইন্যান্স কোম্পানি বিল-২০২৩ পাসের সময় আনা জনমত যাচাই বাছাই প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে কাজী ফিরোজ রশিদ এ মন্তব্য কেরন।

অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের পক্ষে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বিলটি পাসের প্রস্তাব করলে তা কণ্ঠ ভোটে পাস হয়। এসময় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন।

আলোচনায় অংশ নিয়ে কাজী ফিরোজ রশিদ বলেন, লাইসেন্স দেওয়া, ব্যবস্থাপনা এবং নিয়মতান্ত্রিকভাবে পরিচালনা, আর্থিক খাত সুসংহত করা ইত্যাদিও এই আইনটি আনা হয়েছে, স্বচ্ছতার জন্য। মনে হয় এতো দিন এই গুলি সঠিক ছিল না। এতদিন আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলি আইন দিয়েই চলছে। সেই আইনে কিন্তু কোথাও অনিয়ম ঢাকা যায়ান। এই আইনটাও যাবে না। আজকাল একটা ফ্যাশন হয়ে গেছে সব জায়গা ইসলামিক শরিয়া মোতাবেক পরিচালিত।  

তিনি হাসতে হাসতে বলেন, আমাদের সংসদের উপনেতা আছেন, মতিয়া আপা (মতিয়া চৌধুরী)। ব্যাংকিং ব্যবস্থা হল আমরা ব্যাংকে আমানত রাখবো, ওইখান থেকে আমি ইন্টারেস্ট পাবো। ইন্টারেস্টটা আপনি যে নামেই বলেন, সুধ বলেন, যাই বলেন। মুনাফা বলেন, আমি এটা পাবো। আবার আমি ব্যাংক থেকে যে লোনটা নেবো, সেখানে আমাকে ব্যাংকের টাকাটা দিতে হবে না হলে ব্যাংক চলবে কিভাবে। সেখানে যদি আমি ৮ শতাংশ সুদে টাকা আনি ব্যাংক আমার কাছ থেকে নেবে ৯ দশমিক ৯ ভাগ, ৯ টাকা ৯০ পয়সা নেবে, ওই টাকা দিয়ে ব্যাংক চলবে। অথচ তারা কিন্তু ইসলামি শরিয়া মোতাবেক। ইসলামে কোথাও আছে সুদের ব্যবসা? এইটা লিখে লাভটা কি, ব্রাকেটটা উঠিয়ে দিলেই হয়ে যায়। এতো দিন ব্যাংকে কোথাও এটা ছিল না, এখন প্রত্যেকটা ব্যাংকে লেখে ইসলামিক শরিয়া মাফিক পরিচালিত ব্যাংক। হালাল, হালাল ব্যাংক, ওই যে বিদেশে গেলে দেখা যায় হালাল খাবার পাওয়া যায়, এই ব্যাংকগুলি সব হালাল করে ফেলেছেন।  

কাজী ফিরোজ বলেন,  এই গুলো চলবে না, অর্থমন্ত্রীকে জবাব দিতে হবে। আর আমাদের আইনমন্ত্রী উনি তো জবাব দিতে পটু, উনি জবাব দেবেন কিন্তু আমরা সেই জবাব চাই না। আপনি দয়া করে ইসলামি শরিয়া মাফিকটা উঠিয়ে দিতে পারেন, কোনো ব্যাংকে ইসলাম লাগবে না। আমাদের যথেষ্ট ইসলাম আছে পাকাপোক্ত। ওইটা মসজিদে আমরা রেখে দেই, বাসে লেখে দেই, ব্যাংকে ইসলামটা আইনেন না ধন্যবাদ।

তিনি আরও বলেন, এই যে আর্থিক কোম্পানিগুলো এখানে জবাবদিহিতা নেই, কেন জবাবদিহিতা নেই। এই ব্যাংকের মালিক ওই ব্যাংক থেকে লোন নেয়, ওই ব্যাংকের মালিক এই ব্যাংক থেকে লোন নেয়। লোন নেওয়া কোনো ক্ষতি না, ব্যবসা করতে হলে লোন নিতে হবে, ব্যাংক থেকে আনতে হবে কিন্তু টাকাটা দিতে হবে। যেস খাতের টাকা উঠবে না সেইখানে আমরা টাকা দিচ্ছি, আর সেখানে টাকা দিলে লাভজনক সেইখানে আমরা টাকা দিচ্ছি না। এইটা দেখতে হবে। ব্যাংকগুলো চলুক, জবাবদিহিতা বাড়ুক, জবাবদিহিতা নাই। বাংলাদেশ ব্যাংক, ব্যাংকিং ডিভিশন কোথাও জবাবদিহিতা নেই।

বাংলাদেশ সময়: ০১২৮ ঘণ্টা,, নভেম্বর ২, ২০২৩
এসকে/এসএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।