ঢাকা, শনিবার, ০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ১৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

বাজার সিন্ডিকেট দমনের দাবিতে জাতীয় জনতার জোটের বিক্ষোভ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৫৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ১১, ২০২৩
বাজার সিন্ডিকেট দমনের দাবিতে জাতীয় জনতার জোটের বিক্ষোভ ছবি: শাকিল আহমেদ

ঢাকা: দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতি ও সিন্ডিকেট দমনের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে ‘জাতীয় জনতার জোট’ নামে একটি সংগঠন।

শনিবার (১১ নভেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এ বিক্ষোভ সমাবেশ করা হয়।

বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান আলোচকের বক্তব্যে বাংলাদেশ জাস্টিস অ্যান্ড ডেভলপমেন্ট পার্টি এবং জাতীয় জনতার জোটের চেয়ারম্যান মো. দেলোয়ার হোসাইন বলেন, দেশে বিভিন্ন ধরনের নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে, যার জন্য জনজীবনে অনেক দুর্ভোগ নেমে এসেছে। বাজারের ওপর সরকারের কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই। ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে বিভিন্ন অজুহাতে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়িয়ে সাধারণ মানুষকে বিপদে ফেলছে।

তিনি বলেন, একবার যে পণ্যের দাম বাড়ে, তা আর কমে না। সরকারি বিভিন্ন সংস্থাগুলো এ ব্যাপারে লোক দেখানো কাজ করলেও, তা তেমন কার্যকর ভূমিকা না রাখায় দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে আসছে না।

নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য বর্তমানে সাধারণ মানুষের ধরাছোঁয়ার বাইরে চলে যাচ্ছে উল্লেখ করে মো. দেলোয়ার হোসাইন বলেন, ঘণ্টার পর ঘণ্টা টিসিবির ট্রাকের পেছনে বিশাল লাইন প্রমাণ করে নিঃসন্দেহে দরিদ্র মানুষেরা স্বল্প আয়ে সংসার চালাতে পারছে না এবং মূল্যস্ফীতির সঙ্গে কুলিয়ে উঠতে পারছেন না। স্বল্প আয়ের মানুষ থেকে শুরু করে মধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষের জীবনধারণ ক্রমশ দুর্বিষহ হয়ে পড়ছে। তাদের কাছে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি যেন নতুন এক অভিশাপের নাম। এভাবে চলতে থাকলে মধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখা কঠিন থেকে কঠিনতর হয়ে পড়বে।

দেলোয়ার হোসাইন আরও বলেন, কোভিড মহামারির ধাক্কায় গত দুই আড়াই বছরের মধ্যে অনেকে চাকরি হারিয়েছেন। আবার অনেকেই বেতন-ভাতা বাড়া তো দূরের কথা বরং মালিকপক্ষ নানা অজুহাতে কর্মীদের বেতন-ভাতা কমিয়ে দিচ্ছে। কোথাও কোথাও কর্মী ছাঁটাই করছে। দ্রব্যমূল্য না কমলে এসব মানুষের অবস্থা কোন পর্যায়ে গিয়ে দাঁড়াবে, তা অনুমান করা খুব মুশকিল।

মুনাফালোভী ব্যবসায়ীদের অসৎ উদ্দেশ্যও নস্যাৎ করে বাজার নিয়ন্ত্রণের সামগ্রিক বিষয় সরকারের হাতে নিয়ে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের ঊর্ধ্বগতি নিম্নগামী করার ব্যবস্থা করতে দাবি জানানো হয় বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে৷ 

বিক্ষোভ সমাবেশের প্রধান আলোচক ছিলেন বাংলাদেশ জাস্টিস অ্যান্ড ডেভলপমেন্ট পার্টি এবং জাতীয় জনতার জোটের চেয়ারম্যান মো. দেলোয়ার হোসাইন।

এতে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ সর্বজনীন দলের চেয়ারম্যান মো. রাসেল কবির।

বিক্ষোভ সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান হামদুল্লাহ মেহেদী, ঐক্যবদ্ধ গণতান্ত্রিক আন্দোলনের সমন্বয়কারী সৈয়দ হারুন-অর রশিদ, গণ-আজাদী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ আতা উল্লাহ খান, বাংলাদেশ গণমুক্তি পাটি সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মোনেম, মানবতা পার্টির চেয়াম্যান মাওলানা ক্বারী মো. আব্দুল মজিদ পদাড়ী, বাংলাদেশ জনতা ঐক্যের চেয়ারম্যান আরিফুর রহমান, ন্যাশনাল সবুজ বাংলা পার্টির চেয়ারম্যান শাহ আলম তাহের, বাংলাদেশ ইসলামী গণতান্ত্রিক পার্টির চেয়ারম্যান মো. সাখাওয়াত হোসাইন, জাগ্রত বাংলাদেশের চেয়ারম্যান আজমল জিহাদ, বাংলাদেশ সর্বজনীন দলের মহাসচিব সাহেল আহমেদ সোহেল ও চাষী মাসুম তালুকদার।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ১১, ২০২৩
ইএসএস/জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।