ঢাকা: একদফা দাবি আদায়ে বিএনপি ও জামায়াতসহ কয়েকটি দল ঘোষিত চতুর্থ দফায় ৪৮ ঘণ্টার অবরোধের দ্বিতীয় দিনে চলছে।
অবরোধে সকাল থেকেই সড়কে যানবাহনের চাপ তেমন দেখা যায়নি।
সোমবার (১৩ নভেম্বর) সকালে রাজধানীর মিরপুর-১২, ১১, ১০ নম্বর গোল চত্বর এলাকা ঘুরে এমন চিত্র দেখা যায়।
এই এলাকাগুলোর সড়কে ব্যক্তিগত যানবাহনও ছিল কম। অবরোধের কারণে সড়কে গণপরিবহন কম। সড়কে বাস চলাচল কম থাকলেও রিকশা, সিএনজিচালিত অটোরিকশা, প্রাইভেটকারের আধিক্য বেশি।
সোমবার সরকারি অফিস খোলার দ্বিতীয় দিনে অবরোধে অফিসমুখী যাত্রীদের বাসের জন্য অপেক্ষা করতে দেখা গেছে। অনেকেই বাসে উঠতে না পেরে রিকশা -সিএনজিযোগে অফিসে যাচ্ছেন।
সকালে ভিকারুন্নেসা নুন স্কুলের পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে এক ছাত্রীকে নিয়ে যাচ্ছিলেন তার অভিভাবক ফায়জুল আহমেদ তরু।
তিনি বলেন, আমার ভাতিজিকে পরীক্ষা দিতে নিয়ে যাচ্ছি। অবরোধের মধ্যে বাসে যাব না, মেট্রোরেলে করে নিয়ে যাব। আসার সময় আমার ভাই আবার ভাতিজীকে নিয়ে আসবে। পরীক্ষাতে অংশগ্রহণ তো করাতেই হবে। অবরোধ হোক আর যাই হোক। এই অবরোধের মাঝে ঝুঁকি নিয়ে বের হতে হচ্ছে, কি আর করার।
রাজধানী পরিবহনের চাল মো. বেলাল হোসেন বলেন, অবরোধে মানুষজন প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হচ্ছে না। সড়কে বাসের সংখ্যাও অনেক কম। যাত্রীদের মধ্যে বেশিরভাগই যারা অফিসে যাচ্ছে তারাই যাতায়াত করছেন। আমাদের অফিস টাইম আর অফিস ছুটিতে যাত্রী হয় বাকি সময় ফাঁকাই যাচ্ছে বাস।
পল্লবী থানার এসআই মারুফ বলেন, চলমান অবরোধকে কেন্দ্র করে যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতেই আমাদের অবস্থা। নাশকতা ঠেকাতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তৎপর রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১০৩০ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৩, ২০২৩
এমএমআই/এসএএইচ