ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

প্রগতি সরণিতে গাড়ির চাপ বাড়লেও যাত্রীর দেখা নেই

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৪০ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৩, ২০২৩
প্রগতি সরণিতে গাড়ির চাপ বাড়লেও যাত্রীর দেখা নেই

ঢাকা: চলছে বিএনপি-জামায়াতসহ বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দল ও জোটের চতুর্থ ধাপের টানা ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ। চতুর্থ ধাপের এই অবরোধের দ্বিতীয় দিনে রাস্তায় কিছুটা বেড়েছে গণপরিবহন চলাচল।

 

তুলনামূলক গণপরিবহন বেশি থাকায় কোথাও কোথাও যানজটেরও দেখা মিলেছে। তবে যাত্রীর সংখ্যা আগের তুলনায় কম বলছেন পরিবহন সংশ্লিষ্টরা।  

সোমবার (১৩ নভেম্বর) সকালে সরেজমিনে রাজধানীর মেরাদিয়া, দক্ষিণ বনশ্রী, রামপুরা ব্রিজ, মেরুল বাড্ডা, মধ্য বাড্ডা ও নতুন বাজার এলাকা ঘুরে এই চিত্র দেখা যায়।

সরেজমিনে দেখা যায়, গত কয়েকদিনের অবরোধের তুলনায় আজ রাস্তায় তুলনামূলক বাস, সিএনজি চলাচল বেড়েছে। আগের মতোই চলছে প্রাইভেটকার, রিকশা। গণপরিবহন চলাচল বাড়লেও রাস্তায় তেমন বাড়েনি সাধারণ মানুষের চলাচল। রাস্তায় চাকরিজীবীদেরই মূলত চলাচল করতে দেখা গেছে। বেশিরভাগ যাত্রীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে প্রয়োজন ছাড়া তেমন একটা বের হচ্ছেন না তারা।  

পরিবহন সংশ্লিষ্টরা জানান, গত কয়েক দিনের অবরোধের তুলনায় আজ কিছুটা বাস চলাচল বেড়েছে। তবে অনেকেই আগুনের ভয়ে বাস বের করছে না।  

রামপুরা ব্রিজে কথা হয় অনাবিল পরিবহনের হেলপার আসলামের সঙ্গে।  

তিনি জানান, সাইনবোর্ড যাত্রাবাড়ী এলাকায় বাস চলাচল আজ কিছুটা বেড়েছে। সাইনবোর্ড থেকে রামপুরা ব্রিজ পর্যন্ত আসতে গাড়ির চাপ লক্ষ্য করেছেন তিনি। এমনকি সায়দাবাদ মালিবাগ রেলগেট ও আবুল হোটেল এলাকায় যানজট ছিল। পাশাপাশি বাস চলাচল বাড়লেও যাত্রী বাড়েনি।

রাইড শেয়ারিং অ্যাপের চালক মো. রাজীব বলেন, প্রথম কয়েকদিন রাস্তায় বের হতে ভয় করত, এই জ্বালাও-পোড়াও দেখে। তবে কয়েকদিনে ঢাকার যে পরিস্থিতি দেখলাম তাতে পরিস্থিতি স্বাভাবিক মনে হয়েছে। এই কারণে আজকে বের হয়েছি। অবরোধের সময় রাস্তা ফাঁকা থাকায় মোটরসাইকেল চালিয়ে অনেকটা স্বাচ্ছন্দ্য পাওয়া যায়। যা অন্য দিনে জ্যামের কারণে পাওয়া যায় না। তবে রাইডের রিকোয়েস্ট কম পাওয়া যাচ্ছে, মানুষ ভয়ে বের হচ্ছে না।

রামপুরা ব্রিজ সংলগ্ন বনশ্রী রোডে যাত্রীর জন্য অপেক্ষমাণ লেগুনা ড্রাইভার জহিরুল জানান, আমাদের লেগুনাতে স্বাভাবিক দিনে যেমন যাত্রীর চাপ থাকে। আজকেও ঠিক তেমনি যাত্রীর চাপ আছে। তবে অন্যান্য দিনে ঘুরতে বেড়ানো যাত্রী থাকলেও অবরোধের দিন এসব যাত্রী কম পাওয়া যায়। তবে তেমন একটা অবরোধের প্রভাব বনশ্রী এলাকায় পড়েনি।  

পুরান ঢাকা থেকে রিকশা করে যাত্রী নিয়ে মেরুল বাড্ডায় আসেন রিকশাচালক সুলতান মিয়া। কথা হলে তিনি বাংলানিউজকে জানান, সকালে ৭ টায় পুরান ঢাকার সদরঘাট এলাকা থেকে তিনি যাত্রী নিয়ে আসেন। রাস্তায় গাড়ির চাপ তার কাছে অন্যদিনের মতো স্বাভাবিক মনে হয়েছে। তবে যাত্রীর দেখা কম পেয়েছেন তিনি।

প্রসঙ্গত, গত দুই সপ্তাহে তিন দফায় ১৬০ ঘণ্টার অবরোধ কর্মসূচি পালন করেছে বিএনপিসহ বেশ কয়েকটি দল ও জোট।  গত ২৮ অক্টোবর নয়াপল্টনে বিএনপির মহাসমাবেশ ঘিরে সংঘর্ষের পর বিএনপিসহ সমমনা দল ও জোটগুলো কঠোর কর্মসূচিতে যায়। ওই ঘটনার পরদিন সারাদেশে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল পালন করে তারা। এরপর শুরু হয় অবরোধ কর্মসূচি।

প্রথম দফায় ৩১ অক্টোবর থেকে টানা তিন দিন, দ্বিতীয় দফায় ৫ নভেম্বর থেকে ৪৮ ঘণ্টা ও তৃতীয় দফায় ৮ নভেম্বর থেকে ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ কর্মসূচি পালিত হয়। সরকার পতনের এক দফা দাবিতে রোববার (১২ নভেম্বর) ভোর ৬টা থেকে শুরু হওয়া এই অবরোধ চলবে আগামী মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) ভোর ৬টা পর্যন্ত।

বাংলাদেশ সময়: ১১৩১ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৩, ২০২৩
ইএসএস/এসএএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।