ঢাকা, শুক্রবার, ১২ পৌষ ১৪৩১, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

৩৮ বছরের পুরোনো ভবনে ঝুঁকি নিয়ে চলছে চিকিৎসাসেবা

জাহিদুল ইসলাম মেহেদী, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১২৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৬, ২০২৩
৩৮ বছরের পুরোনো ভবনে ঝুঁকি নিয়ে চলছে চিকিৎসাসেবা হলদিয়া ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র

বরগুনা: বরগুনার আমতলী উপজেলায় ৩৮ বছরের পুরোনো হলদিয়া ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের ছাদ এবং দেয়ালের পলেস্তারা খুলে পড়ছে। এ অবস্থায়ও ভবনটিতে ঝুঁকি নিয়ে চলছে চিকিৎসাসেবা।

প্রতিনিয়তই ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন এ স্বাস্থ্যকেন্দ্রে কর্মরত চিকিৎসক, কর্মকর্তা এবং সেবা নিতে আসা রোগীরা।  

একই অবস্থা আবাসিক ভবনেরও। দীর্ঘদিন ধরে ভবন দুটি সংস্কার না করায় ছাদের পলেস্তারা খসে পড়েছে। যেকোনো সময় ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা।

আমতলী উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ১৯৮৫ সালে আমতলী উপজেলার হলদিয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ তক্তাবুনিয়া গ্রামে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মরহুম মাহবুবুর রহমান ঝন্টু তালুকদারের দান করা দেড় একর জমির ওপর ৩৯ হাজার ২১২ জন মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে সরকার ২৬ লাখ টাকা ব্যয়ে ৫ কক্ষের একটি চিকিৎসাসেবা কেন্দ্র ও ৬ কক্ষের একটি আবাসিক একতলা ভবন নির্মাণ করেন। ভবন নির্মাণের পর এ পর্যন্ত আর কোনো সংস্কার না করায় ভবন দুটি বেহাল দশায় পরিণত হয়েছে। চিকিৎসা দেওয়া ভবনটির ছাদের পলেস্তারা খসে পড়ায় বর্ষা মৌসুমে ছাদ চুয়ে পানি পড়ে মেঝ তলিয়ে যায়। দেয়ালের পলেস্তারা উঠে ইট বেরিয়ে গেছে। কাঠের দরজা জানালা খুলে পড়ছে। ছাদের পলেস্তারা খসে পড়ে সাম্প্রতিক সময়ে এক রোগী আহত হওয়ায় এখন স্যাকমো এবং ভিজিটর ভেতরে বসে চিকিৎসাসেবা দিতে ভয় পাচ্ছেন। রোগীরাও ভেতরে প্রবেশ করতে চান না। চেয়ার টেবিলেরও করুন অবস্থা। ৬ কক্ষের আবাসিক ভবনটিও বেহাল অবস্থার কারণে এখানে এখন আর কেউ বসবাস করেন না।  

সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, ভবন দুটির অধিকাংশ স্থানের পলেস্তারা খসে পড়েছে। কাঠের দরজা জানালা নেই বললেই চলে। ডাক্তার, স্যাকমো, ভিজিটর ও পিয়নের বসার মতো চেয়ার টেবিলও নেই। রোগীরা চিকিৎসাসেবা নিতে গেলে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। আবাসিক ভবনেরও একই অবস্থা।

দক্ষিণ তক্তাবুনিয়া গ্রামের মোশারফ হোসেন মোল্লা জানান, হলদিয়া ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রটি হলদিয়া ইউনিয়নবাসীর চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। এটি জরুরিভাবে সংস্কার করা প্রয়োজন।

একই গ্রামের ষাটোর্ধ্ব আলেয়া বেগম বলেন, এই স্বাস্থ্যকেন্দ্রের পরিবেশ এতোই নাজুক যে এখানে চিকিৎসা নেওয়াও আতঙ্কের বিষয়। দরজা জানালাও খুলে পড়ছে। সেজন্য এখানে আসতে ভয় করে।  

এ বিষয়ে হলদিয়া ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে কর্মরত স্যাকমো অনুজ রায় জানান, আশপাশের এলাকার মানুষের চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করার জন্য এই স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি প্রতিষ্ঠা করা হয়। কিন্তু সংস্কারের অভাবে চিকিৎসা কেন্দ্রের বেহাল দশা। আর এ কারণে এখানে বসে ঠিকমতো চিকিৎসাসেবা দেওয়া যায় না।

এ ব্যাপারে আমতলী উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. আলমগীর হোসেন জানান, হলদিয়া ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র ও আবাসিক ভবন সংস্কারের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১১২০ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৬, ২০২৩
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।