ঢাকা, শুক্রবার, ৩০ কার্তিক ১৪৩১, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

মহাখালী থেকে দূরপাল্লার বাস ছাড়ছে কম, অধিকাংশ কাউন্টার বন্ধ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২২৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৬, ২০২৩
মহাখালী থেকে দূরপাল্লার বাস ছাড়ছে কম, অধিকাংশ কাউন্টার বন্ধ

ঢাকা: অবরোধের কারণে যাত্রী কম, তাই টার্মিনাল থেকে বাস ছাড়ছে কম। টার্মিনালে বাস রাখার জায়গা নেই।

সড়ক, তেলের পাম্প আশপাশের গলিতে জায়গা হয়েছে বাসের।  

অধিকাংশ কাউন্টারই বন্ধ। যেসব কাউন্টার খোলা সেগুলোর ড্রাইভার, হেলপার ও কর্মীরাও অলস সময় কাটাচ্ছেন।  

বিএনপি-জামায়াতের পঞ্চম ধাপের অবরোধের দ্বিতীয় দিন ও অন্য কয়েকটি দলের হরতালে বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) সকালে মহাখালী বাস টার্মিনালে এমন চিত্র দেখা গেছে।

প্রতিদিন মহাখালী বাস টার্মিনাল থেকে ৭০০’র অধিক বাস-মিনিবাস দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের জেলাগুলোতে ছেড়ে যায়। অবরোধের কারণে ছেড়ে যাওয়া গাড়ির সংখ্যা নেমেছে ৮০ থেকে সর্বোচ্চ ১০০ তে।  

মহাখালী টার্মিনালে এনা পরিবহনের কাউন্টার মাস্টার সুমন মাহমুদ জানান, তাদের গড়ি ছেড়ে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত আছে। কিন্তু যাত্রী না থাকার কারণে ছেড়ে যাওয়া বাসের সংখ্যা চার ভাগের এক ভাগে নেমেছে। স্বাভাবিক কর্মদিবসে প্রতিদিন ১০০ এর বেশি বাস টার্মিনাল থেকে ছেড়ে যায়। অবরোধে সারাদিনে ৩০টি বাসই ছাড়তে পারছি না।

৪০টি সিটের বাস। ২৫-৩০ জন যাত্রী পেলেই বাস ছেড়ে দিচ্ছি। কিন্তু সে যাত্রীও পাচ্ছি না, জানান সুমন।

কথা বলতে বলতে একজন আশা কাউন্টারে হাজির হন। তিনি ময়মনসিংহে যাবেন। মেরাজুল নামের যাত্রীকে কাউন্টার থেকে বলা হয়, বসেন, ৩০ জন যাত্রী হলেই বাস ছাড়া হবে।

এমন অবস্থা দেখা গেলো একতা কাউন্টারেরও।

মহাখালীর অর্ধেকের বেশি কাউন্টার বন্ধ। অবরোধের কারণে এসব কাউন্টার থেকে কোনো গাড়ি ছাড়বে না। টার্মিনালে ড্রাইভার, হেলপার অলস বসে আছেন। কেউ রাতে দেরিতে ঘুমিয়েছেন, সকাল সাড়ে ৯টা বেজে গেলেও ঘুমাচ্ছেন। বাস ছাড়ার তাড়া নেই, যাত্রীর বসার চাপ নেই; আরামে ঘুমাচ্ছেন পরিবহনের শ্রমিকরা। দুয়েকজন যাত্রী এলেও কাউন্টার টার্মিনালে ঘোরাফেরা করছেন।  

নন-এসির সাধারণ যাত্রী কিছু মিললেও তুলনামূলক সচ্ছল যাত্রী, যারা এসি বাসে চলাচল করেন, অবরোধ-হরতালে এমন কোনো যাত্রীর দেখা মেলেনি।  

এসি বাস কাউন্টার বা বিলাসবহুল বাসের কাউন্টারে খোঁজ নিয়ে জানা গেলে এমন কোনো যাত্রীই আসছেন না অবরোধে। তাদের নিজেদেরও এ ধরনের দামি বাস ছাড়ার কোনো ইচ্ছা বা সিদ্ধান্ত নেই।  

এনা বাস কাউন্টারে দেখা যায়, একজনই বিক্রয় কর্মকর্তা বসে আছের। কোনো যাত্রীর অপেক্ষা নেই, নেই সেবা দেওয়ার কোনো লোকও। পুরো কক্ষটি ফাঁকা।      

এদিকে বাস না ছাড়ার কারণে বাস রাখার জায়গা নেই মহাখালী বাস টার্মিনালে। বাস রাখা হয়েছে সড়কের পাশে। একটির পেছনে আরেকটি রাখতে রাখতে বাসের সারি মহাখালি মোড় থেকে রসুলবাগ, তেজগাঁও লিংক রোড হয়ে চ্যানেল আই-এর সামনের প্রধান সড়ক পর্যন্ত পৌঁছে গেছে। মহাখালি বাস টার্মিনালের সামনে সড়াকের ফাঁকা জায়গা পাওয়া মুশকিল হচ্ছে।

অবরোধের সঙ্গে হরতাল যোগ হওয়ার পরও শহরের অভ্যন্তরীণ ব্যক্তিগত যানবাহনের সংখ্যা কমেনি। সংখ্যায় কম হলেও বাস, মিনিবাস, মোটরসাইকেল, সিএনজিচালিত অটোরিকশা, রিকশা চলাচল করছে আজ।  

চলছে পণ্যবাহী ছোট্ট ট্রাকও। অবরোধ-হরতালে মধ্যে সবচেয়ে বেশি চোখে পড়েছে প্রাইভেটকার। বেড়ে গেছে রিকশা চলাচল ও হেঁটে যাওয়া মানুষের সংখ্যা।  

এদিকে মাঝেমধ্যে হর্ন বাজিয়ে সতর্ক টহল দিতে দেখা যাচ্ছে বিজিবির গাড়িকে।

রাজধানীর বিমানবন্দর সড়ক, তেজগাঁও, বেগম রোকেয়া সরণি, বিজয় সরণি-ফার্মগেট- কারওয়ান বাজার ও শাহবাগ সড়কে গাড়ি চলাচল করছে। তবে সংখ্যায় কম। গণপরিবহনের সংখ্যা হাতেগোনা। সবচেয়ে বেশি চলছে প্রাইভেটকার। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সব ধরনের পরিবহনের সংখ্যাও বাড়ছে।

বাংলাদেশ সময়: ১২২৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৬, ২০২৩
জেডএ/এসএএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।