ঢাকা, বুধবার, ১০ পৌষ ১৪৩১, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

সোনারগাঁয়ে দু’পক্ষের সংঘর্ষে মামলা, গ্রেপ্তার ২

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৪৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১, ২০২৩
সোনারগাঁয়ে দু’পক্ষের সংঘর্ষে মামলা, গ্রেপ্তার ২

নারায়ণগঞ্জ: নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের বারদী ইউনিয়নের নুনেরটেক এলাকায় নির্বাচনী বাগবিতণ্ডা কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় সোনারগাঁ থানায় এক পক্ষের মামলা  গ্রহন করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) রাতে বারদি ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য ওসমান গণি বাদী হয়ে এ মামলা করেন।

শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) ঘটনার সঙ্গে জড়িত দুজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

গ্রেপ্তাররা হলেন- আব্দুল মতিন ও রতন মিয়া। তাদের বাড়ি নুনেরটেক গ্রামে। গ্রেপ্তারদের নারায়ণগঞ্জ আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।

এদিকে সংঘর্ষের ঘটনার উভয় পক্ষ অভিযোগ দায়ের করলেও এক পক্ষের মামলা গ্রহণ করে পুলিশ। এর আগে বৃহস্পতিবার সকালে সংঘর্ষে টেঁটাবিদ্ধ হয়ে উভয় পক্ষের ১২ জন আহত হন।

এলাকাবাসী জানান, উপজেলার বারদী ইউনিয়নের নুনেরটেক এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে বারদী ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান সদস্য ওসমান গণি ও ইউপি নির্বাচনে পরাজিত প্রার্থী শুক্কুর মাহমুদের সঙ্গে আধিপত্য নিয়ে দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। আগামী দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে সাবেক সংসদ সদস্য আবদুল্লাহ আল কায়সারের নৌকা প্রতীকে মনোনয়ন নিয়ে গত বুধবার রাতে নুনেরটেক লালপুরী ওরসে ইউপি সদস্য ওসমান গণির ছেলে মেহেদী হাসান, জাকারিয়ার সঙ্গে শুক্কুর মাহমুদের সমর্থক বাবুলের কথা কাটাকাটি ও তর্কবিতর্ক হয়। এ নিয়ে গত বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে উভয় পক্ষের লোকজন টেঁটা, বল্লম, রামদা, হকিস্টিক, লোহার রড ও চাপাতি নিয়ে একপক্ষ অপর পক্ষের ওপর হামলা চালায়।

হামলায় ইউপি সদস্য ওসমান গণির পক্ষের রমিজউদ্দিন, মোসলেউদ্দিন, চাঁন বাদশা, বাহাউদ্দিন, স্বপন, মোক্তার, মেহেদী ও শুক্কুর মাহমুদের পক্ষের কামরুল ইসলাম, ওমর আলী আব্দুল হক, হামিদ আলী, দেলোয়ার হোসেন টেঁটাবিদ্ধ হয়ে আহত হন। আহতদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।  

আহতদের মধ্যে রমিজউদ্দিন ও মোসলেউদ্দিনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন তাদের স্বজনরা। তারা দুজনেই ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন। সংঘর্ষের পর আহত রমিজউদ্দিনের ভাই ওসমাণ গণি ও অপর পক্ষের আহত কামরুল ইসলামের চাচা মো. মনির হোসেন বাদী হয়ে সোনারগাঁ থানায় অভিযোগ করেন। এ অভিযোগের প্রেক্ষিতে ওসমাণ গণির অভিযোগটি মামলা হিসেবে গ্রহণ করে পুলিশ। মামলার পর নুনেরটেক এলাকায় অভিযান চালিয়ে আব্দুল মতিন ও রতন মিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়।

সোনারগাঁ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুব আলম বলেন, হামলা ও সংঘর্ষের ঘটনায় এক পক্ষের মামলা গ্রহণ করা হয়েছে। অভিযুক্ত দুজনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ২০৪৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১, ২০২৩
এমআরপি/জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।