মাগুরা: আজ ৭ ডিসেম্বর। মাগুরা মুক্ত দিবস।
মাগুরা জেলা মুক্তযোদ্ধা কমান্ডের ডেপুটি কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রহমান জানান, মাগুরাকে শত্রু মুক্ত করতে শ্রীপুরের আকবর হোসেন মিয়ার নেতৃত্বাধীন শ্রীপুর বাহিনী, মহম্মদপুরের ইয়াকুব বাহিনী, মহম্মদপুর-ফরিদপুর অঞ্চলের মাশরুরুল হক সিদ্দিকী কমল বাহিনী, মাগুরা শহরের খন্দকার মাজেদ বাহিনী এবং লিয়াকত হোসেনের নেতৃত্বে মুজিব বাহিনীসহ বীর মুক্তিযোদ্ধারা সাহসীকতার সঙ্গে পাক সেনা ও স্থানীয় রাজাকার আল বদর বাহিনীর সঙ্গে প্রাণপণ যুদ্ধ করেন।
গেরিলা বাহিনীর ব্যাপক আক্রমণের মুখে পাক বাহিনী পিছু হটতে শুরু করে। ৬ ডিসেম্বর মুক্তি বাহিনী ও মিত্র বাহিনী নিজনান্দুয়ালী গ্রামসহ বিভিন্ন পাকিস্তানি ক্যাম্পে আক্রমন চালায়। একই সঙ্গে মিত্রবাহিনীর আগ্রাসনের ভয়ে পাকিস্তানি সেনারা রাতারাতি মাগুরা শহর ত্যাগ করতে বাধ্য হয়। ৭ ডিসেম্বর মাগুরা শত্রু মুক্তির আনন্দে মুক্তিকামি মানুষের ঢল নামে সারা শহরে। জয় বাংলা স্লোগানে মুখরিত হয়ে ওঠে গোটা মাগুরা এলাকা। মাগুরা নোমানী ময়দানে মুক্তি বাহিনী ও মিত্র বাহিনীর সম্মিলিত কুজকাওয়াজের মাধ্যমে আনুষ্ঠনিকভাবে মাগুরাকে পাকহানাদার মুক্ত বলে ঘোষণা করা হয়।
মাগুরা মুক্ত দিবসটি পালন উপলক্ষে মাগুরা জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে দিনব্যাপী নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, ৭ ডিসেম্বর মাগুরা মুক্ত দিবস যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন উপলক্ষে সরকারি, বেসরকারি, স্বায়ত্বশাসিত দপ্তর ও বেসরকারি ভবনে আলোকসজ্জাকরণ, সকালে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে নোমানী ময়দান পর্যন্ত র্যালি, শহরের নোমানী ময়দানে শহীদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিস্তম্ভে পুস্পস্তবক অর্পণ, নোমানী ময়দানে জাতীয় সংগীতের সাথে সাথে জাতীয় পতাকা ও মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের পতাকা উত্তোলন, দিবসটির তাৎপর্য তুলে ধরে বিশেষ আলোচনা সভা, সন্ধ্যায় শহরের চৌরঙ্গী মোড়, ভায়না মোড়সহ প্রধান প্রধান সড়ক ও বাড়ির ছাদে ব্যাপক আউট ও মোমবাতি প্রজ্জলনসহ নানা কর্মসূচি নেয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৭, ২০২৩
এমএম