ঢাকা, মঙ্গলবার, ৯ পৌষ ১৪৩১, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

দিনভর চেষ্টার পরও তাড়ানো গেল না বন্যহাতির পাল

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯১৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৮, ২০২৩
দিনভর চেষ্টার পরও তাড়ানো গেল না বন্যহাতির পাল

কক্সবাজার: কক্সবাজারের রামুর কাউয়ারখোপ ইউনিয়নের উখিয়ারঘোনা পশ্চিম গনিয়াকাটা গ্রামের লোকালয়ে চলে এসেছে দুই শাবকসহ ছয়টি বন্যহাতির একটি পাল। হাতির আক্রমণে আহত হয়েছেন দুই ব্যক্তি।


 
বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) ভোর ৬টার দিকে হাতিগুলো লোকালয়ে দেখতে পায় এলাকাবাসী। রাত সাড়ে নয়টা পর্যন্ত হাতিগুলো ঘুরে ফিরে ওই এলাকায় অবস্থান করছে বলে জানায় এলাকাবাসী।

এদিন হাতি দেখতে এলাকায় উৎসুক জনতার ভিড় লেগে যায়। দিনভর বনবিভাগ, পুলিশ, র‌্যাব, বিজিবিসহ প্রশাসনের লোকজন হাতিগুলোকে তাড়ানোর চেষ্টা চালায়। তবে হাতিগুলোকে লোকালয়ছাড়া করা সম্ভব হয়নি। এতে মানুষের মাঝে কিছুটা আতঙ্ক বিরাজ করছে।

কক্সবাজার উত্তর বন বিভাগের বিভাগীয় কর্মকর্তা (ডিএফও) মো. আনোয়ার হোসেন সরকার জানান, বনকর্মীরা নিরাপদে হাতির পালটিকে বনে ফেরাতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

কাউয়ারখোপ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শামসুল আলম জানান, হাতির আক্রমণে ওই এলাকার মোহাম্মদ উদ্দিনের স্ত্রী রাশেদা বেগম (৪৫) ও লিয়াকত আলীর ছেলে মোহাম্মদ জুনাইদ (২০) আহত হয়েছেন। তাদের কক্সবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

রামু উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফাহমিদা মুস্তফা জানান, হাতিগুলোকে নিরাপদে বনাঞ্চলে তাড়ানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। লোকজনের ভিড় থাকায় হাতিগুলো আরও ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে দিগ্বিদিক ছোটাছুটি  করছে। গ্রামবাসীর জানমাল রক্ষা এবং হাতিগুলোকে বনে ফেরাতে চেষ্টা চলছে।  

ঘটনাস্থলে বিজিবি, র‌্যাব, পুলিশ ও বনবিভাগের লোকজন কাজ করছে বলে জানান ইউএনও।
         
বাংলাদেশ সময়: ০৯১৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৮, ২০২৩
এসবি/আরএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।