ঢাকা, মঙ্গলবার, ৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৯ নভেম্বর ২০২৪, ১৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

যৌন হয়রানিমুক্ত কর্মপরিবেশ নিশ্চিতে ৭ দাবি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮২৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৯, ২০২৩
যৌন হয়রানিমুক্ত কর্মপরিবেশ নিশ্চিতে ৭ দাবি

ঢাকা: যৌন হয়রানিমুক্ত কর্মপরিবেশ নিশ্চিতে ৭ দফা দাবি জানিয়েছে ‘জেন্ডার প্ল্যাটফর্ম বাংলাদেশ’ নামের একটি সংগঠন।

শনিবার (৯ ডিসেম্বর) নারী নির্যাতন প্রতিরোধ দিবস উপলক্ষে জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে ‘নারীর জন্য বিনিয়োগ, সহিংসতা প্রতিরোধ’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানায় জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ের মানবাধিকার ও শ্রমিক সংগঠনের এই জোট।

সংবাদ সম্মেলনে নারীর প্রতি সংহিংসতা ও নির্যাতনের বিভিন্ন জরিপ তুলে ধরে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব লেবার স্টাডিজের (বিলস) পরিচালক নাজমা ইয়াসমীন বলেন, নারীর প্রতি সহিংসতা নারীর মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠায় অন্যতম বাধা। এটা কোনো একক সমস্যা না। এ বৈশ্বিক সমস্যা। পুরুষতান্ত্রিক মন-মানসিকতা পরিবর্তনের মাধ্যমে নারীর প্রতি সহিংসতা রোধ করতে হবে। নারীর প্রতি এ সহিংসতা রোধে নতুন আইন প্রণয়ন ও পুরাতন আইনগুলোকে সংস্কার করতে হবে এবং সঠিকভাবে আইনের বাস্তবায়ন করতে হবে।

বাংলাদেশ মহিলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি সালমা আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়াজ ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক নাজমা আক্তার, ফেয়ার ওয়ার ফাউন্ডেশনের কান্ট্রি ম্যানেজার বাবলুর রহমান, ইটিআই-এর কান্ট্রি ম্যানেজার আবিল বিন আমিন, ইন্ডাস্ট্রিয়াল বাংলাদেশ কাউন্সিলের সাধারণ সম্পাদক কুতুবউদ্দীন আহমেদ প্রমুখ।

সংগঠনটির ৭ দাবি হলো—
১. যৌন হয়রানিমুক্ত কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ‘কর্মক্ষেত্রে যৌন হয়রানি প্রতিরোধ ও সুরক্ষা আই ‘ প্রণয়ন করা।

২. কর্মক্ষেত্রে সহিংসতা হয়রানি নিরসন বিষয়ক আইএলও কনভেনশন ১৯০ অনুসমর্থন করা।

৩. কর্মস্থলে যাতায়াতের পথে এবং সমাজে নারী শ্রমিকের যৌন হয়রানি থেকে সুরক্ষা প্রদান নিশ্চিত করতে যৌন হয়রানি প্রতিরোধ ২০০৯ সালে প্রদানকৃত মহামান্য হাইকোর্টের নির্দেশনার যাথাযথ বাস্তবায়ন নিশ্চিত করা।

৪. মহামান্য হাইকোর্টের নির্দেশনা যাতে সঠিকভাবে বাস্তবায়িত হয়, সেজন্য সরকারি উদ্যোগে একটি তদারকি কমিটি গঠন করা।

৫. যৌন হয়রানি প্রতিরোধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চত করা এবং নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে নারী ও শিশু নির্যাতনের বিচার নিষ্পত্তি করা ও বৈষম্যমূলক আইন সংশোধন করা।

৬. বাংলাদেশ শ্রম বিধিমালা ২০১৫ এর সংশোধনীতে (১ সেপ্টেম্বর ২০২২ প্রকাশিত গেজেট) উল্লেখিত নারীর প্রতি আচরণ সংক্রান্ত নতুন বিধি ৩৬১ ক এবং এই বিধির ৩৬১ ক (২) এ বর্ণিত অভিযোগ কমিটি গঠন প্রক্রিয়া মহামান্য হাইকোর্টের প্রদানকৃত নির্দেশনার ভিত্তিতে করা।

৭. নারীর প্রতি সংহিংসতামুক্ত সংস্কৃতি চর্চা করা।

বাংলাদেশ সময়: ১৮২৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৯, ২০২৩
এসসি/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।